ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

আদিল ও এলানের মুক্তির দাবিতে ১০৫ লেখক-শিল্পী-সাংবাদিক-শিক্ষক ও অধিকারকর্মীর বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার

(৬ দিন আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৬:১০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর রহমান খান আদিল ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন ১০৫ লেখক-শিল্পী-সাংবাদিক-শিক্ষক ও অধিকারকর্মী। তারা বলছেন, বহু সংগঠন ও নাগরিকের উদাত্ত আহবান উপেক্ষা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ও বাতিলকৃত ৫৭ ধারায় আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সঙ্গত কারণেই মানবাধিকার সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় দুই ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়ার নজিরবিহীন এ ঘটনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় আমরাও বিক্ষুব্ধ ও বেদনাহত। 

তারা বলছেন, স্বনামধন্য ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘অধিকার’ দীর্ঘদিন ধরে গুম, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রকাশ করে আসছে। সরকারের তরফে অধিকারের কণ্ঠরোধের সকল পদক্ষেপের পর সংগঠনটির শীর্ষ দুই ব্যক্তির শাস্তি ও কারাবাস তাই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনা দেশে মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে তীব্র বাধা তৈরি করবে। আমরা মনে করি, আদিল ও এলানের মামলাসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ও বাতিলকৃত ৫৭ ধারায় চলমান মামলাগুলো অব্যাহত রাখা কোনোভাবে সঙ্গত নয়। একই সঙ্গে বাতিলকৃত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেয়া উচিত এবং এ আইনে দায়েরকৃত মামলাগুলো বাতিল করা উচিত। পাশাপাশি, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আদলে নতুনভাবে গৃহীত সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংযুক্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো বাতিলের দাবি জানাই।    

বিবৃতিতে তারা বলছেন, আমরা অবিলম্বে আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন
একই সঙ্গে মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা, অবারিত মতপ্রকাশের সুযোগসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- শামসুজ্জামান হীরা, কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযোদ্ধা; কামাল আহমেদ, সাংবাদিক; রাহমান চৌধুরী, নাট্যকার ও শিক্ষাবিদ; রাণী য়েন য়েন, আদিবাসী অধিকার সুরক্ষাকর্মী ও চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা; ড. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব; ড. হেলাল মহিউদ্দীন, শিক্ষক ও লেখক; আর রাজী, অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক; দিলারা চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক; সৈয়দ আবদাল আহমদ, লেখক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব; আব্দুল লতিফ মাসুম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ইলিয়াস খান, সাংবাদিক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব; মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; মুহাম্মদ কাইউম, চলচ্চিত্র নির্মাতা; মোহাম্মদ আজম, লেখক ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ও গবেষক; জি এইচ হাবীব, অনুবাদক ও সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক; মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, লেখক ও গবেষক; ড. মঞ্জুরে খোদা, লেখক, গবেষক; ড. মোশরেকা অদিতি হক, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; জাহেদ উর রহমান, শিক্ষক, কলামিস্ট ও এক্টিভিস্ট; মাহা মির্জা, লেখক ও গবেষক; রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও অধিকার কর্মী; সাকিব আলি, সাবেক কূটনীতিক; আবুল কালাম আল আজাদ, সমন্বয়ক, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন; সায়ন্থ সাখাওয়াৎ, লেখক ও চিকিৎসক; রাখাল রাহা, লেখক; সাখাওয়াত টিপু, কবি; ফাহমিদুল হক, ভিজিটিং অধ্যাপক, বার্ড কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র; ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সঙ্গীতশিল্পী; সুস্মিতা চক্রবর্তী, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; লতিফুল ইসলাম শিবলী, গীতিকার; জিয়া হাশান, কথাসাহিত্যিক; সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী; খসরু চৌধুরী, লেখক, বাঘ বিশেষজ্ঞ; রায়হান রাইন, লেখক ও গবেষক, শিক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; আব্দুল হালিম চঞ্চল, চিত্রশিল্পী ও শিক্ষক; মুস্তাফা জামান, চিত্র সমালোচক ও শিল্পী; হামীম কামরুল হক, কথাসাহিত্যিক; মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, লেখক ও প্রকাশক; সাঈদ বারী, প্রকাশক; চঞ্চল আশরাফ, কবি; আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি ও প্রাবন্ধিক; মাহবুব হাসান, কবি; ফিরোজ আহমেদ, প্রবন্ধকার; লুনা রুশদী, লেখক ও অনুবাদক; ফাহাম আব্দুস সালাম, লেখক; শওকত হোসেন, কবি ও সম্পাদক, হালখাতা; মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক; বাকী বিল্লাহ, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী; মারুফ মল্লিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক; জিয়া হাসান, লেখক; ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও উন্নয়নকর্মী; অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক; বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী; গাজী তানজিয়া, সাহিত্যিক; দিলশানা পারুল, নারী অধিকার কর্মী; ওলিউর সান, লেখক ও সংগঠক; মাহাবুব রাহমান, কবি ও প্রকাশক; ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক লেখক; সালেহ হাসান নকিব, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; শরৎ চৌধুরী, শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; নুরুল আমিন বেপারী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. কামরুল আহসান, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; কামরুন্নেসা খন্দকার, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; মো. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নসরুল কাদির, অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; মাইনুল হাসান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক, ডিআরইউ; জামাল আবেদীন ভাস্কর, লেখক ও ব্লগার; ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; সাঈদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক, ডিইউজে; ড. হাসান আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. জাহেদ আরমান, অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর, ফ্রামিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; এনায়েত রসুল, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক; আসিফ সিবগাত ভূঞা, লেখক; দিলরুবা শরমিন, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী; সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিশেষজ্ঞ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইউএসএ; মুসা আল হাফিজ, কবি ও গবেষক; কদরুদ্দীন শিশির, ফ্যাক্টচেক এডিটর, এএফপি; মারজিয়া প্রভা, লেখক ও একটিভিস্ট; সাইদা আখতার, সাধারণ সম্পাদক, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা; রেজোয়ান সিদ্দিকী, সাংবাদিক ও লেখক; শামীমা জামান, কথাসাহিত্যিক; হাসান আল মামুন, সাবেক আহবায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন; সালাহ উদ্দিন শুভ্র, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক; মাসুদ কবির, চিত্রশিল্পী; বায়েজিদ বোস্তামী, কবি ও গদ্যকার; পারভেজ আলম, লেখক ও এক্টিভিস্ট; রোজীনা বেগম, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী; নুসরাত জাহান, সাংস্কৃতিক কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট; রেবেকা নীলা, সাংস্কৃতিক কর্মী; এহসান মাহমুদ, লেখক ও সাংবাদিক; দীপক রায়, প্রকাশক ও রাজনৈতিক কর্মী ; সোহেল রানা, লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক; অর্বাক আদিত্য, কবি; নাদিম হাসান, নাট্যকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট; আরিফুল ইসলাম আদীব, অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক ও ড. মোহাম্মাদ আল আমিন, অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পাঠকের মতামত

মত প্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। তবে সেটা হতে হবে সাদাকে সাদা বলা এবং কালোকে কালো বলা। সভা সমাজে জন্মগত বা সাংবিধানিক ভাবে মানুষ স্বাধীন হলেও তাকে তার দেশের রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলতে হয়। স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কেউ যেমন কারো মাথায় সজোরে আঘাত করতে পারেনা, কারো সম্পওি জবর দখল করতে পারেনা তদ্রুপ শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছা হতেই যাকে তাকে অসভ্য ভাষায় গালি গালাজ করা বা কারও চরিত্র হরন করা বা অসত্য তথ্য দিয়ে ব্যক্তি, সমাজ বা জাতিকে বিভ্রান্ত করা যায়না। এ রুপ মিত্যা প্রতিকারের জন্য সব দেশেই আইন আছে এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা স্বার্থে আইনের প্রয়োগও আছে। এখানে যে বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক বা দেশীয় ব্যক্তিবর্গ এত সোচ্চার তারা কেন মিথ্যা তথ্য প্রচারের সমালোচনা করেন না? আইনের দৃষ্টিতে কেউ অপরাধী চিহ্নিত হলে তর সাজা হবে এটাইতো আইন। অরাধী অপরাধ স্বীকার করে আদালতের কাছে দন্ড মওকুফ চাইতে পারেন বা উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইবেন এটা তার মৌলিক অধিকার। আমরা চাই শুধু ' অধিকার ' নয় বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কেউ যেন বিভ্রান্তি মূলক বানোয়াট তথ্য পরিবেশন না করেন।

আমিনুল ইসলাম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৮:০৭ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status