বাংলারজমিন
এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎহীন পদ্মার চরের ৬ গ্রাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবারসাবমেরিন ক্যাবল ছিঁড়ে এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চরের ৬ গ্রামের মানুষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। কবে নাগাদ এ সংকট নিরসন হবে, তা বলতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। জানা গেছে, গত রোববার রাতে পদ্মা নদীর তলদেশে বসানো সাবমেরিনের সব ক্যাবল ছিঁড়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর, দক্ষিণ পাকা, নিশিপাড়াচর ও কদমতলা এবং উজিরপুর ইউনিয়নের সেতারাপাড়া। এ ছাড়া সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের সূর্যনারায়ণপুরে বিদ্যুৎসেবা বন্ধ রয়েছে। সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের আওতায় পদ্মা নদী দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল লাইন টেনে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয় প্রত্যন্ত চরে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকেই বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করতে থাকেন চরের বাসিন্দারা। এতে বদলে যায় চরবাসীর জীবনযাত্রাও। স্থানীয়রা জানান, গত ৭ দিন ধরে চরাঞ্চলে বিদ্যুৎসেবা বন্ধ থাকায় তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বিদ্যুৎ না থাকায় তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না।
এ সমস্যার কথা জানানোর পরও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানান, শিবগঞ্জের পাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহা. আবদুল মালেক। আবদুল মালেক বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের সাহায্যে চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ আসায় এলাকার মানুষের জীবনমান বদলে গেছে। এ মাসের শুরুর দিক থেকেই সাবমেরিন ক্যাবলের দুটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন। লোডশেডিংয়ের সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েছিল। তবু এলাকায় কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এলেও মোবাইল ফোনে চার্জসহ অন্য কাজ করা হয়ে যেতো। কিন্তু গত ৫ দিন ধরে চরাঞ্চলে কোনো বিদ্যুৎ নেই। এলাকার মানুষ পদে পদে ভোগান্তিতে পড়ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, ১০ই সেপ্টেম্বর রাতে সাবমেরিন ক্যাবলের তার ছিঁড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ জনবল অন্য আরেক জায়গায় কাজ করছে। ফলে এখানের সাবমেরিন ক্যাবলটি মেরামতে সময় লাগতে পারে। আপাতত তাদের কিছু করার নেই।