রাজনীতি
আন্দোলন ডাইভার্ট করতে আওয়ামী লীগ নেতারা সংলাপের কথা বলছেন: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ মাস আগে) ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতিকে ডাইভার্ট করতে সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা সংলাপের কথা ছড়াচ্ছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো আমাদের মূল দাবিতে থেকে মনোযোগ ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া, আর বিদ্যুতের সমস্যার বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়া।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ -ইউট্যাব আয়োজিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে। দৃষ্টি ফেরাতে সবসময় অন্য কিছু করে। বিদ্যুৎ থেকে দৃষ্টি সরাতে। তাই আমীর হোসেন আমুসহ অন্যদের সংলাপের বক্তব্য সামনে এসেছে। লক্ষ্য ডাইভার্ট করতে এই ইস্যু তৈরি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। পদক্ষেপ নেন তত্ত্বাবধায়ক দিন পরে দেখা যাবে কি করতে হবে।
তিনি বলেন, লড়াই করছি দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। দেশের মানুষ সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে জানে। নির্বাচন হবে নিশ্চয় কিন্তু সেটি যেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে দাবি আদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, একটি দল আরেকটি দলকে বিশ্বাস করে না। কেউ এসে কিছু করতে পারেনি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করছে অথচ এখন কেন এই অবস্থা। সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। টাকাগুলো গেল কোথায়, কেন কয়লা আনতে পারেন না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন সরকারের টাকা নাই ডলারও নাই বলে সংকট তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, যে দলটি গণতন্ত্রের কথা বলেছে স্বাধীনতার কথা বলেছে তারা গণতন্ত্র হরণ করেছে। একে একে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মানুষ যা চায় আওয়ামী লীগ তার উল্টো কাজ করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। ভাষা প্রকাশ মতপ্রকাশে উগ্র তারা। তারা নিজেরা নিজেরা লড়াই করে, তাদের কোন কিছুই গণতান্ত্রিক না। তবে বিএনপি এই ধ্বংসাত্মক মতবাদে বিশ্বাসী না। সকলে এক প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নেতা মওলানা ভাসানীকে দল থেকে বের করে দিয়েছে, স্পিকার শাহেদ আলীকে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের ভেতর পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা এখনও এগুলোই করছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে বাংলাদেশের সংকট হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকা। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয় তখন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছিলেন, আজকে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চিরস্থায়ী সংকট, সংঘাত শুরু হলো।
তিনি বলেন, আমরা আজকে সবাই একটু সাহস করে দাঁড়াই, না হয় আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ যেভাবে জাতীয়বাদী শক্তির উন্মেষ হচ্ছে, একনায়কতন্ত্রের স্বৈরাচার টিকবে না। আজকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আর কিন্তু বেশি দিন নাই, শেখ হাসিনার কথা অসংলগ্ন। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের যাবে না বলে দিয়েছে তাকে চলে যেতে হবে। শেখ হাসিনার দুঃশাসন আর থাকবে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
এইটা যদি আওয়ামী লীগকে উৎখাতের জন্য বিএনপির আন্দোলন হয় তা হলে অতি দুঃখের সাথে বলতে হয় হেভেন হেল্পস বিএনপি /
নির্যাতীত বাংলাদেশী জনতা চুপ করে এই দানব নেত্রীর শত গজব হজম করছে গিলছে। মিথ্যার সাথে কখনোই সত্যের সমঝোতা হয় না হবে না। নীতির উপর অটল থাকুন। দানবের সাথে কোন যুগেই সাধুরা সমঝোতা করে না তার সাধুতার স্বার্থে। সাধুরা সংগ্রাম করে, কষ্ট পায়, দেরীতে হলেও জিতেছে সবদিন। দানবের মরণ বরণ অবধারিত, জাহান্নাম তাদের ঠিকানা। তারা নিজেরাও জানে তাদের গন্তব্য কোথায়। ফখরুলরা সাধুগোষ্ঠীর মানুষ। আর মুজিব কন্যা অপকর্মে গলা অবধি ডুবে থাকা এক বাস্তবতা। শুরু থেকে আজ অবধি ডাকাতরাই ঐ নেত্রীর সহযোগী, পথ প্রদর্শক। এ নীতিহীন দেশ বিধ্বংসীর এক যুগেরও আগে বাতিল হবার কথা ছিল। পিছন ফিরে দেখলে অতীতে এই দানব আমু হাসিনার নির্দেশে ট্রেন ঈশ^রদী প্ল্যাটফর্মে থামলে, ঈশ^রদী রেলস্টেশনের জনসভার মঞ্চ থেকে মাইকে আওয়ামী লীগ সদস্য আমির হোসেন আমু শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ট্রেনে গুলি করা হয়েছে বলে প্রচার করেন (দ্রষ্টব্য মতিয়ুর রহমান রেন্টুর বই)। এভাবে কয় ডজনবার তারা মিথ্যাচার জমা করে। ব্যক্তিগতভাবে যিনি অসৎ বেঈমান, মিনকহারাম এবং মুনাফেক তিনি কি রাষ্ট্রীয় বা সমাজ জীবনে সৎ ঈমানদার হতে পারেন। কিভাবে একজন গণতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী (?) তার বিরোধী দলীয় নেত্রীর সাথে আচরণ করেছেন আর অন্যদিকে কিভাবে একজন বর্তমানের বিনাভোটের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী (?) একজন বিরোধী নেত্রীর প্রতি অমানবিক হুমকি ধমকির বিধান চালু করেছেন। সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না, জাতির জানা। এতে এই দুজনারই আমলনামা স্পষ্ট হয়ে পড়ছে। এখানেও জাতির জন্য অনেক আশা নিরাশার বাণী লুকিয়ে আছে।এদের চরিত্র আজ দিবালোকের মত স্পষ্ট। তারপরও হাল ছাড়বেন না। এটি জাতির ঘাড়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। যদি প্রাক ইসলামিক মুসলিমরা না লড়তেন না জীবন দিতেন তবে আজ অবধি জাজিরাতুল আরব আইয়ামে জাহেলিয়াতে ডুবে থাকতো। আপনাদের নির্যাতীতের পাওনা অফুরান যা ফুরাবার নয়। আল্রাহর আদালতে সব জমা আছে। গোটা দুনিয়া তার নিরব সাক্ষী হয়ে রইবে।
Don't discuss with Awami league.Surely it is dangerous Trap.
আন্দোলনে ডাইভার্ট,কনভার্ট যাই বলেন না কেন,এই বার ক্ষমতাশিনরা বেকায়দায় আছ।
আমার ও তাই মনে হয়।
আন্দোলন ডাইভার্ট করতে আওয়ামী লীগ নেতারা সংলাপের কথা বলছেন.yes 110% true.