রাজনীতি
মার্কিন ভিসা নীতি দেশের জন্য লজ্জাকর: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবারবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমেরিকা আমাদের ওপর ভিসা নীতি দেয়, স্যাংশন দেয়। মার্কিন ভিসা নীতি দেশের জন্য লজ্জাকর। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটি রাষ্ট্রে অন্য দেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও লুটের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে এমন ব্যবস্থা ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই যেমন-তেমনভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তারা ক্ষমতার জন্য সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে দলীয়করণ করছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার আগে এই দেশে এক দলীয় বাকশাল কায়েম হয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। গ্রাম সরকার, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। উদ্দেশ্যই ছিল তার জনগণকে ক্ষমতায়িত করা। আজকের এই অবস্থানের ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান কিন্তু অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। যখন পাকিস্তানি সৈন্যরা এদেশের মানুষের উপরে নির্মম অত্যাচার, বর্বরতা শুরু করলো, তখন দেশের জনগণ দিশাহারা হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্ব তখন ব্যর্থ হয়েছিল সুনির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে। সেদিন কিন্তু পথ দেখিয়েছিলেন একজন সৈনিক। একজন অখ্যাত মেজর। আমি এখানে কাউকে ছোট করতে চাইনি। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে তো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তিনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। ইট ইজ ট্রুথ। এটা তো ধ্রুবতারার মতো। এটা মিথ্যা বলে কীভাবে? তাকে কীভাবে মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করে।’
তিনি বলেন, দেশে যখন সামরিক শাসন আসলো, যখন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হলো, স্বৈরাচারী এসে গেল, তখন কিন্তু তারই উত্তরসূরি, একজন গৃহবধূ জাতীয়তাবাদের পতাকা, বাংলাদেশের পতাকা, শহীদ জিয়ার সেই আদর্শ পতাকা নিয়েই মাঠে-ঘাটে বেরিয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘ নয় বছর লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি সফল হয়েছিলেন-গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশে রাজনৈতিক দলের দাবিতে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এনেছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ২০১২ সালে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।
আদালত বলেছিলেন, আরও দু’ বার এই ব্যবস্থায় ভোট করা যেতে পারে। কিন্তু তারা তা গায়ের জোরে বাতিল করেছে। এককভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সেদিন কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন প্রেস কনফারেন্সে, ‘এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের মধ্যদিয়ে দেশে দীর্ঘস্থায়ীভাবে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার জন্ম দেয়া হলো’। তা প্রমাণিত হয়েছে প্রতিটা নির্বাচনের পূর্বে আমাদেরকে লড়াই করতে হয়। কীভাবে নির্বাচনে যাবো- নির্বাচনে যাবো কিনা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সেমিনার কমিটি আহ্বায়ক মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও বিএনপি প্রচার সম্পাদক ও সেমিনার কমিটি সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় এতে বিএনপি’র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পাঠকের মতামত
আমেরিকার ভিসা নীতিতে আপনারা ভীষণ খুশি ! লজ্জার বলছেন কেন ?
মন্তব্য করুন
রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন
রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত
১৫ দিনের লাগাতার কর্মসূচি/ পাঁচ বিভাগে রোডমার্চ, ঢাকায় ১২টি সমাবেশ ও কনভেনশন করার ঘোষণা বিএনপির
নয়াপল্টনে কাঁদলেন ফখরুল/ খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর আল্টিমেটাম

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]