বিশ্বজমিন
হার্ট অ্যাটাকের সবথেকে বেশি ঝুঁকি থাকে সাপ্তাহিক ছুটির পরের দিন!
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৫ জুন ২০২৩, সোমবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

সোমবারেই সবথেকে বেশি মানুষ গুরুতর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার ট্রাস্ট এবং রয়্যাল কলেজ অফ সার্জন-এর চিকিৎসকরা এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। এতে তারা দেখতে পান যে, সোমবার অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির পরের দিন হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি ১৩ শতাংশ বেশি থাকে। এ খবর দিয়েছে মিরর।
খবরে জানানো হয়, প্রায় ১৫ হাজার রোগীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এরমধ্যে ১০ হাজার ৫২৮ জন ছিলেন আয়ারল্যান্ড থেকে এবং ৩ হাজার ৪১৬ জন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড থেকে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই মানুষেরা সবথেকে গুরুতর ধরণের হার্ট অ্যাটাক নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ‘সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’ বা এসটিইএমআই যখন হয় তখন শরীরের একটি প্রধান করোনারি ধমনী পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়।
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, সাপ্তাহিক ছুটি যেদিন শেষ হয় তার পরদিনই এসটিএমআই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোতে যেহেতু রোববার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে, তাই সোমবারই হচ্ছে হার্টের জন্য সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ দিন। এছাড়া রোববারেও স্বাভাবিকের থেকে বেশি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রেকর্ড করেছেন গবেষকরা।
সোমবার এভাবে হার্ট অ্যাটাক বেশি হওয়াকে গবেষকরা ‘ব্লু মানডে ফেনোমেনন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে এটি কেনো ঘটে তা এখনও জানতে পারেননি তারা। এর আগে ধারণা করা হয়েছিল যে, মূলত ছুটির দিনের পর হঠাৎ কাজে গেলে মানুষের ঘুমানোর সাইকেল পাল্টে যায়। আর এতেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে এখনও কোনো নির্দিষ্ট কোনো কারণকে চিহ্নিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতি বছর বৃটেনে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ এসটিইএমআই’র কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হার্টের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করা হয় চিকিৎসকদের প্রথম কাজ। এরপর এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। কার্ডিওলোজিস্ট জ্যাক লাফান বলেন, আমরা সপ্তাহের প্রথম দিনের সঙ্গে এসটিইএমআই’র শক্তিশালী যোগাযোগ খুজে পেয়েছি। এর আগেও বিষয়টি অনেকেই জানতেন কিন্তু স্পষ্ট প্রমাণ ছিল না।
এইচএফ-এর মেডিক্যাল ডিরেক্টর প্রফেসর স্যার নীলেশ সামানি বলেছেন, বৃটেনে প্রতি পাঁচ মিনিটে একজন প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাকের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাই কীভাবে ও কেন হার্ট অ্যাটাক হয় তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই গবেষণাটি বিশেষ করে গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সময়ের যোগাযোগ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।