খেলা
এফএ কাপ জিতে ট্রেবল জয় নিয়ে যা বললেন গার্দিওলা
স্পোর্টস ডেস্ক
৫ জুন ২০২৩, সোমবার
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা আগেই ঘরে উঠেছে, এবার এফএ কাপও জিতলো ম্যানচেস্টার সিটি। আগামী সপ্তাহে ইন্টার মিলানকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়নস লীগের অধরা শিরোপাও যাবে ইত্তিহাদে! গত কয়েকদিন ধরেই সিটির ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে সরগরম ফুটবল বিশ্ব। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা অবশ্য এতদিন এ বিষয়ে চুপ ছিলেন।
শনিবার ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে এফএ কাপ জেতে সিটি। এটা সিটির সপ্তম এফএ কাপ শিরোপা। সিটির দুটি গোলই করেন তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান মিডফিল্ডার ইলকাই গুনদোয়ান। ইউনাইটেডের একমাত্র গোলদাতা পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেস। এফফ কাপ জেতার পরই ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খোলেন গার্দিওলা। তার মতে ট্রেবল জয় নিয়ে এখন কথা বলা যায়। চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে জিতলেই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়বে ম্যানচেস্টার সিটি।
এর আগে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্লাব হিসেবে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচ শেষে বিবিসিকে গার্দিওলা বলেন, ‘এটাই প্রথমবার যখন আমরা ট্রেবল জয় নিয়ে কথা বলতে পারি। ইউনাইটেডের বিপক্ষে এটা (জয়) এই শহরের জন্য, সমর্থকদের জন্য বিশেষ ছিল। আমরা আসলেই খুব ভালো খেলেছি, আমি খুবই সন্তষ্ট’’ পেপের অধীনে শেষ ছয় মৌসুমে পাঁচবার প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জিতলো ম্যান সিটি। কিন্তু একবার ফাইনালে গিয়েও অধরা থেকে যায় চ্যাম্পিয়নস লীগের শিরোপা। এফএ কাপ জেতার পর চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ের জন্য মরিয়া ভাবই যেন ফুটে উঠলো তার কণ্ঠে।
গার্দিওলা বলেন, ‘পাঁচটি প্রিমিয়ার লীগ, দুইটি এফএ কাপ এবং কারাবাও কাপ (ইংলিশ লীগ কাপ)- আমরা অবিশ্বাস্য কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের চ্যাম্পিয়নস লীগ জিততে হবে।’এদিন ম্যাচ শুরুর ১৩ সেকেন্ডের মাথায় সিটিকে লিড এনে দেন গুনদোয়ান। সতীর্থ কেভিন ডি ব্রুইনার লম্বা থ্রু ধরে নিখুঁত ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এফএ কাপে দ্রুততম গোলের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০০৯ এফএ কাপ ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর ২৫ সেকেন্ডে গোল করেন এভারটনের ফরাসি স্ট্রাইকার লুইস সাহা। ম্যাচের ৩০তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। সিটি ফুটবলার জ্যাক গ্রিলিশের হাতে বল লাগলে ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি।
স্পট কিক থেকে বল জালে জড়ান ইউনাইটেডের পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেস। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুত লিড পুনরুদ্ধার করে সিটি। গোলদাতা সেই গিনদোগান। ডান দিক থেকে ডি ব্রুইনার ফ্রি কিকে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই জার্মান ফুটবলার। শেষ দিকে ইউনাইটেড ভীষণ চাপ বাড়ায়। যোগ করা সময়ে দুটি সুযোগও পায়, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।