খেলা
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান কাউপার আর নেই
স্পোর্টস ডেস্ক
(১৯ ঘন্টা আগে) ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ১:১৪ অপরাহ্ন

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে হেরে গেলেন বব কাউপার। ৮৪ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সাবেক এই ম্যাচ রেফারি। মেলবোর্নে শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান কাউপার।
এক বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব বব কাউপারের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বব একজন দুর্দান্ত ব্যাটার ছিলেন, যিনি এমসিজিতে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) তার বিখ্যাত ট্রিপল সেঞ্চুরির জন্য এবং ১৯৬০-এর দশকের অস্ট্রেলিয়ান ও ভিক্টোরিয়ান দলে তার শক্তিশালী প্রভাবের জন্য সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘এই দুঃখজনক সময়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে ববের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সাবেক সতীর্থদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।’ ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত অজিদের হয়ে কাউপার ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন। ৪৬.৮৪ গড়ে এই বাঁহাতি ব্যাটার করেন ২০৬১ রান, রয়েছে ৫ সেঞ্চুরি। অফ স্পিনে হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন ৩৬টি। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজে মেলবোর্নে ৩০৭ রানে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেন কাউপার, যা তাকে জায়গা করে দেয় রেকর্ড বইয়ে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটিই ছিল প্রথম কোনো ট্রিপল সেঞ্চুরি ও লাল বলের ইতিহাসে দশম। বিংশ শতাব্দীতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিও এটি। ২০০৩-এ পার্থে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০ রানের আগে কাউপারের সেই ১২ ঘন্টার ইনিংসই ছিলো কোনো অজি ব্যাটারের সর্বোচ্চ ইনিংস। ৭২৭ মিনিট উইকেট রক্ষিত রেখে ৫৮৯ বলে ২০ চারে খেলা এই ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘতম টেস্ট ইনিংসের রেকর্ড হিসেবে এখনও সুরক্ষিত আছে।
২৩ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া কাউপার স্টকব্রোকিং ও মার্চেন্ট ব্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে মাত্র ২৮ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন। দেশের মাটিতে ৯ টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৭৫.৭৮। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তার চেয়ে বেশি গড় আছে শুধুমাত্র স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের (৯৮.২২)। পরবর্তীতে তিনি আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি হিসেবেও কাজ করেন। ২০০৩-এ ক্রিকেটের প্রতি অবদানের জন্য তাকে ‘মেডেল অব দ্য অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ প্রদান করা হয়।