ভারত
অন্তর্ঘাত নাকি মানবিক ভুল- করমন্ডল দুর্ঘটনা নিয়ে রেলের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ৪ জুন ২০২৩, রবিবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৫০ অপরাহ্ন

শুক্রবার সন্ধ্যায় আপ করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাত থাকার সম্ভাবনার কথা একদম উড়িয়ে দিচ্ছে না রেল। মানবিক ভুল নাকি অন্তর্ঘাত এর কারণে করমন্ডল এক্সপ্রেস মেইন লাইনের সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও পয়েন্ট সেটিংয়ের ভুলে কিভাবে লুপ লাইনে গেল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। দুই রেলকর্তার টেলিফোন কথোপকথনের যে বিবরণ মানবজমিনের হাতে এসেছে তা ভয়ঙ্কর। এই প্রতিবেদন এর সঙ্গে সেই টেলিফোন কথোপকথন প্রকাশ করা হচ্ছে যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মানবজমিন।
সেই রাতে ১২৮৪১ আপ করমন্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে ধাক্কা মারে ইতিমধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটিকে। করমন্ডলের একুশটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দেশলাইয়ের বাক্সের মতো ছিটকে পড়ে। প্রথম তিনটি বগি পড়ে পাশের ডাউন লাইনের ওপর। সেখান দিয়ে তখন আসছিলো ১২৮৬৪ ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এই ট্রেনের দুটি বগিও বেলাইন হয়। রেলের তথ্য অনুযায়ী করমন্ডলের তিনটি এবং যশোবন্তপুর এক্সপ্রেসের দুটি বগিতেই মৃতদের অধিকাংশ ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে কে বা কারা করমন্ডল এক্সপ্রেসকে মেইন লাইনের সিগন্যাল দিয়ে পয়েন্ট সেট করল লুপ লাইনের? এটি কি মানবিক ভুল না অন্তর্ঘাত? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলে এসেছেন, যে বা যারা দোষী হোক তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে কঠোর সাজা। যে দুর্ঘটনায় নিরীহ তিনশ’ জনের প্রাণ গেল এর মূল অনুসন্ধান করতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, করমন্ডল এক্সপ্রেসে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ‘কবচ’ কেন ছিলো না? এই কবচ দুটো ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ায় আগে থেকে সিগন্যাল দিয়ে। সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে এ কবচ না থাকাটা বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেন মমতা। দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন করমন্ডল ও যাশোবন্তপুরের স্টপেজ বাহানাগা বাজারে ছিলো না বলে দুটি ট্রেনের গতিবেগই ছিল একশো থেকে একশো কুড়ি কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এই বেগ নিয়েই আছড়ে পড়ে করমন্ডল মালগাড়ির ওপরে। ফল বলা নিষ্প্রয়োজন।