খেলা
৩০ জনে নেমে এলো দল, ক্যাম্প শুরু আজ
স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ জুন ২০২৩, রবিবার
বেঙ্গালুরুতে চলতি মাসে হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য গত ১৩ই মে ৩৫ জনের দল ঘোষণা করেছিল বাফুফে। গতকাল তা আরও ছোট করা হয়েছে। সাদউদ্দিন ও মতিন মিয়ার চোটের কারণে ক’দিন আগে ডাক পাওয়া শেখ মোরসালিন ও সাজ্জাদ হোসেন টিকে গেছেন। বাদ পড়েছেন ইয়াসিন আরাফাত। প্রথমে ৩৫ জনের স্কোয়াড থেকে ২৭/২৮ জনকে নিয়ে ক্যাম্প শুরুর কথা ছিল। কিন্তু হাভিয়ের কাবরেরা ৩০ ফুটবলার নিয়ে আজ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন শুরু করবেন। গত সাফে ভারতের বিপক্ষে গোল করে এক পয়েন্ট এনে দিয়েছিলেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত। আসর জুড়েই নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন তিনি। ৩৫ জনের প্রাথমিক দলে থাকলেও তাকে ৩০ জনের তালিকায় রাখেননি হাভিয়ের কাবরেরা। ইয়াসিন বসুন্ধরা কিংসে গত কয়েকটি ম্যাচ একাদশে থাকলেও তাকে বাদ দেয়ার কারণ জানিয়ে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন, ‘হেড কোচ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় লেফট ব্যাক পজিশনে আরো ভালো বিকল্প পেয়েছেন। তাই ইয়াসিন বাদ পড়েছেন।’ গত লীগের চেয়ে এবার ইয়াসিনের পারফরম্যান্সের তারতম্য অনেক মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
ইয়াসিন আরাফাত ছাড়াও বাদ পড়েছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, আবাহনীর ফরোয়ার্ড মেহেদি হাসান রয়েল, মোহামেডানের ডিফেন্ডার হাসান মুরাদ, এবং শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের মিডফিল্ডার আবু সাইদ। ডাক পাওয়া ৩০ ফুটবলারকে নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে আবাসিক ক্যাম্প। সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর একটি হোটেলে রিপোর্টিং করবেন ফুটবলাররা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আগামী ১০ই জুন পর্যন্ত অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। চূড়ান্ত দল হবে ২৩ জনকে নিয়ে। আগামী ১১ই জুন কম্বোডিয়া যাবে বাংলাদেশ দল। ১৫ই জুন কম্বোডিয়ার বিপক্ষে তাদের মাঠে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে সরাসরি ভারতের বেঙ্গালুরুতে যাবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। সেখানে ২১শে জুন শুরু হবে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। ২২শে জুন এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল লেবাননের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে লাল সবুজ জার্সিধারীরা। পরে ২৫শে জুন মালদ্বীপ ও ২৮শে জুন ভুটানের বিপক্ষে খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ২০০৯ সালের পর আর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার দুুটি অতিথি দল অংশ নেয়ায় সেমিফাইনাল খেলা আরও কঠিন জামাল-তপুদের। তারপরেও আশাবাদী বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ৩৭ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সব প্রতিপক্ষের জন্য আমরা পরিস্থিতি কঠিন করে তুলতে পারি এবং নিজেদের সেরাটা পারফর্ম করে (লক্ষ্য পূরণ করতে পারি)। নিজেদের সামর্থ্য আমরা জানি, সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই করার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। তবে সেমিফাইনালে উঠতে হলে আমাদের যোগ্য দল হয়ে উঠতে হবে, জিততে হবে।’
কাবরেরা বলেন, ‘সাফের আগে আমরা কম্বোডিয়ায় গিয়ে তাদের বিপক্ষে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো। আমি মনে করি, সেটা আমাদের জন্য ভালো একটা চ্যালেঞ্জ হবে। এখানে এক সপ্তাহ প্রস্তুতি নেবো এবং কম্বোডিয়া ম্যাচের পরও দল গুছিয়ে নেবো।’
ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩০ ফুটবলার
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, মিতুল মারমা, শহিদুল আলম সোহেল ও মেহেদি হাসান শ্রাবণ।
ডিফেন্ডার: কাজী তারিক রায়হান, রিমন হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন বাদশা, তপু বর্মন, মেহেদি হাসান মিঠু, রহমত মিয়া ও আলমগীর মোল্লা।
মিডফিল্ডার: মাশুক মিয়া জনি, সোহেল রানা (কিংস), মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা (আবাহনী) শাহরিয়ার ইমন, রবিউল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরসালিন ও মোহাম্মদ হৃদয়, ইসা ফয়সাল।
ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, সাজ্জাদ হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, এলিটা কিংসলে, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রবিউল ইসলাম ও আমিনুর রহমান সজীব।