বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবারনোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাজী মো. দুলালের (৪৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে নিহত দুলালের গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন বাংলাবাজার দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দুই দফায় জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুলালের স্বজনরা তার লাশ বুঝে নেয়। জানাজায় স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্লাহ খান সোহেল সহ দলীয় নেতাকর্মিরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এদিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. সবুজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, একই দিন দুপুরের দিকে আসামি বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। গ্রেপ্তার মো. সবুজ (৩০) উপজেলার মাইজচরা গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আন্ডারচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জসিমের বাড়িতে একটি সালিশ করতে যান দুলাল মেম্বার। সালিশ শেষে সেখান থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাত্রাপথে মোটরসাইকেলটি জসিম চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাংলাবাজারের পূর্বপাশে জাকিরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরপর ছোড়া দুই রাউন্ড গুলি দুলালের পিঠের বাম পাশে এবং ডান হাতে বিদ্ধ হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৪দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা নূরের নেছা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।