বাংলারজমিন
ঝিনাইদহের ‘সুদখোর’ রফির গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ, ঝাড়ু মিছিল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
ঝিনাইদহের বিষয়খালী বাজারে রান সঞ্চয় ও ঋণ দান সমিতির মালিক রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির নির্যাতন বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন নির্যাতিত এলাকাবাসী। গতকাল সকালে শত শত গ্রামবাসী ঝাড়ু হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিষয়খালী বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কার, কানুহরপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন মেম্বার, বিষয়খালী গ্রামের শামীম হোসেন, কেশবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, বিষয়খালী গ্রামের নজির উদ্দীন, দবির উদ্দীন, যাত্রাপুর গ্রামে চম্পা খাতুন, কয়ারগাছি আবাসন এলাকার রেখা খাতুন ও আমজাদ হোসেনসহ শত শত এলাকাবাসী।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নির্যাতিতরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফি অল্প সুদে ঋণ দেয়ার নাম করে চড়া সুদ আদায় করেন। টাকা না দিলে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে বাড়িঘরে হামলা করে। এ ছাড়া ঋণ প্রদানের সময় ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও ফাঁকা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। অনেকে ঋণ শোধের আগেই আবার অনেকের ঋণের টাকা আদায় করতে না পেরে ৬ গুণ টাকা দাবি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে। সুদের টাকা দিতে দেরি হলেই গুণ্ডাবাহিনীর অত্যাচার নেমে আসে ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর। রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির অত্যাচারে মৃত্যুবরণকারী যাত্রাপুর গ্রামের আক্তারুজামানের মা বলেন, আমার ছেলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা শোধ করলেও টাকার জন্য রফি তার অফিসে ডেকে গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে মারধর করে। পরে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।