অনলাইন
মহার্ঘ ভাতা পদ্ধতি চিরতরে দূর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ মাস আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ৭:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

মহার্ঘ ভাতা পদ্ধতি চিরতরে দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা ২০১৫ সালে সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন দ্বিগুন বাড়িয়েছি। তাদের বসবাসের জন্য সুন্দর সুন্দর ফ্লাট তৈরি করে দিয়েছি। যা অতীতের কোনো সরকার করেনি। আমরা আর মহার্ঘ ভাতা বাড়াবো না। এটা একটা পার্মানেন্ট ট্রাপ হয়ে যায়। যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেহেতু সাময়িক ভিত্তিতে তাদেরকে কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে মহার্ঘ ভাতা আমাদের সিস্টেম থেকে চিরতরে দূর করা হবে। এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কী থাকছে-এমন প্রশ্নের জবাবে বুধবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা গ্রামীন প্রকল্পগুলো বেশি বাস্তবায়ন করতে চায়। গ্রামীন সড়ক, সেতু, কালভার্ট, স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো, শিক্ষাক্ষেত্র অগ্রাধিকার পাবে এবং এগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশ ভোটার গ্রামের। আমার আসনে কোনো পৌরসভা নেই। আমি গ্রামে যেয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। গ্রামের মানুষ চায় চোর-ডাকাতের সমস্যা যেনো না হয়। বিভিন্ন ছুতোয় ঘুরাঘুরি করা ছোট অফিসারগুলোর হাত থেকে তারা সুরক্ষা চায়। তারা সুষ্ঠুভাবে কাজ করে খেতে চায়। তারা চাল, ডাল ও ভাতার কার্ড চায়। তিনি বলেন, জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে তেমন প্রকল্প আমরা হাতে নেব। লোক দেখানো কিংবা চোখ ধাঁধানো কোনো প্রকল্প আমরা হাতে নেব না। উন্নয়নমূলক, স্বাস্থ্যসেবামূলক ও দারিদ্র দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে এমন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।
নির্বাচনী বাজেট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্বাচনী হাওয়া স্বীকার করি। নির্বাচনের বিষয়গুলো আমাদের চিন্তায় আছে। আমরা উন্নয়নমূলক কাজ ধারাবাহিকভাবে করে আসছি। এগুলো করে খুব ভালো ফলও আমরা পেয়েছি। সেই ধারাবাহিকতা এবারও থাকবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি একটা চরম ব্যধী। উন্নয়নশীল সকল দেশেই এটি থাকে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মতো মোড়ল দেশগুলোতে আগে কম মূল্যস্ফীতি থাকলেও এখন বেশি মূল্যস্ফীতি রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের প্রথম কাজ হবে গরীব মানুষের পাশে দাড়ানো। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের চাওয়া চাল, ডাল, তেল, মরিচ, নুনের দাম কমানো। এগুলোতে কর বাদ দিয়ে দেন, চলাচল নির্বিঘ্ন করেন, চাঁদাবাজি পুরোপুরি নির্মূল করেন। উৎপাদনে জোর দেন। তাহলে দুই থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে বাজার স্থিতিশীল হবে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ ছিল। সেখানে ঘুরাঘুরি করলে ভালো হতো। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও কোভিডের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। এটা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, বেশি বেশি করে তেল, ডাল ও পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। যাতে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে পারি। যদি আজ মৌলভিবাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে কাল সকালের মধ্যে ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ পাঠিয়ে দিতে হবে। তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সব জায়গায় সিন্ডিকেট আছে। যদিও এটা দেখা যায় না। বাজারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা গেলে বাজার নড়াচড়া করবে না। মূল্যস্ফীতি অনেক কষ্টের বিষয়। সরকার আপ্রান চেষ্টা করছে মূল্যস্ফীতি দমিয়ে রাখতে। কিন্তু আমাদের আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্প পরিচালকরা তাদের জায়গায় থাকে না। তারা সবাই বড় শহর কিংবা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জায়গা ঢাকাতে এসে বসবাস করে। পিডি হলে একখান গাড়ি পাওয়া যায়। সুতরাং ঢাকায় বউ বাচ্চা থাকলো আমিও এসে থাকলাম। তিনি বলেন, আপনার প্রকল্প পঞ্চগড়ে, তাহলে আপনি ওখানে থাকেন। ঢাকায় থাকলে পঞ্চগড়ের প্রকল্প কিভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বলেই যাচ্ছে। কিন্তু এটা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।
পাঠকের মতামত
ভারতে প্রতি বছর মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হয় মূল্য স্ফীতির জন্য । আমরা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা সেই ২০১৬ সাল থেকে বন্চিত । প্রতি বছর মূল বেতনের ৫% বৃদ্ধি করা হলেও তা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় । তাই মহার্ঘভাতাসহ নতুন পে স্কেল ঘোষণা করা হোক ।
১ম-৯ম গ্রেডের বিদেশ ভ্রমণ, জেলা -উপজেলা অফিস পরিদর্শন, সভা সেমিনার প্রশিক্ষন সম্নানি আছে। মাঠ প্রশাসনে দুনীতি আছে। ঢাকায় বসবাসকারী সচিবালয়ের ১০ম-২০ তম কর্মকর্তা / কর্মচারীদের কি আছে?
বেতন স্কেল সংক্রান্ত বিষয় আসলে একটা কথা সকল দায়িত্বশীলকে বলতে শোনা যায় যে, বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি তৈরী করে দিয়েছেন। এগুলো তো কর্মকর্তাদপর জন্য দিয়েছেন। কর্মচারীদের জন্য এসব কোন সুবিধা আছে কি?
গ্ৰাম পুলিশ সের কোনো খবর আছে
মাননীয় মন্ত্রী মহাশয় কে বলতে চাই, গ্রামীণ সড়ক সেতু কালভার্ট স্বাস্থ্য খাতের কাজ করবেন সেখানে তো অনেক মারিং কাটিং হবে টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে না ওখানে। মন্ত্রী এমপি চেয়ারম্যান মেম্বার এবং কিছু কিছু নেতা যাদের জন্যই প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করলে অনেক ভালো হয়। যাতে তারা ভুড়ি ভুড়ি টাকা পকেটে ঢুকাতে পারে
শুধু সরকারি লোকদের নিয়ে সরকার চিন্তা করলে হবে না।সাধারন জনগনকে নিয়ে সরকারের চিন্তা করতে হবে।সরককারি লোকের ভোটে সরকার গঠন হয় না।সাধারন জনগনের ভোটে সরকার গঠন হয়।
দয়াকরে একটা কথাটারও উওর দিন, ২০১৫ সাল থেকে সরকার মূল্যস্ফীতির সাথে সাথে ৫% হারে বেতন বৃদ্ধি করছে। কিন্তু যারা নতুন চাকরিতে যোগদান করতেছে তারা কেনো সেই ২০১৫ সালের বেতনই পাচ্ছেন? তাদের ক্ষেত্রে কেনো মূল্যস্ফীতির হিসাব কেউ করছে না? যদি আর স্কেল না আসে তাহলে কি নতুনরা সারা জীবনই ২০১৫ এর বেতন স্কেলে ঢুকবেন?এই বাজারে ৮২৫০ টাকা নূন্যতম বেসিকে কীভাবে একজন মানুষ চলতে পারে?
শুধু সরকারি কর্মচারীদের কথা বললে হবে না। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কথাও মাথায় রাখুন। তারাই দেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারাই জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
ফ্লাট, গাড়ি এবং বাড়ি কাদেরকে দিয়েছেন এটা কর্মচারীদের বোধগম্য নয়। বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন। তাছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কোন পর্যায়ে গেছে তা সুষ্ঠু মস্তিষ্ককে ভেবে দেখবেন। নিচের গ্রেডের কর্মচারীদের কি অবস্থা তা বাস্তবে একটু ভেবে দেখুন। (Wazib Ahamed)
ফ্লাট, গাড়ি এবং বাড়ি কাদেরকে দিয়েছেন এটা কর্মচারীদের বোধগম্য নয়। বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন। তাছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কোন পর্যায়ে গেছে তা সুষ্ঠু মস্তিষ্ককে ভেবে দেখবেন। নিচের গেডের কর্মচারীদের কি অবস্থা তা বাস্তবে একটু ভেবে দেখুন।
সরকারি চাকরিজীবীদের কে মহার্ঘ ভাতা দিবেন। সাধারণ জনগণ যাবে কোথায়? তাদের জন্য কি করেছেন? জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে আয়েশি জীবন যাপন করবেন। আর কত কায়দায় জনগণের টাকা আত্মসাৎ করবেন? সরকারি চাকরিজীবীরা কি রকম দুর্নীতি করছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের পকেট কেটে চলেছে জানেন? তার পর ও তাদের জন্য মহার্ঘ ভাতা? ঘুরে ফিরে জনগণ বলির পাঁঠা।
৬৪ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে ৷ গ্রাম বাঁচাতে হলে গ্রামের মানুষ বাঁচাতে হবে ৷ আর গ্রামের মানুষ বাঁচাতে প্রতিটি গ্রামে গ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা গ্রাম হাসপাতাল গঠন করা আবশ্যক৷ যে খানে থাকবে ডাক্তার, মেডিকেল এসিসটেন্ট, নার্স সহ ছোট খাটো অপারেশনরের ব্যবস্থা ৷ গ্ৰামের মানুষ অর্থ বাঁচাতে পারতপক্ষে চিকিৎসা করাতে চায়না , হাতুড়ে ডাক্তার বা কবিরাজের কাছে যায়। তাতে রোগ জটিলে যায় তখন ঐ অর্থ খরচের ভয়ে রোগ পুষে তারপর যা হওয়ার তাই হয়। বেশী ভূগে বয়স্ক মানুষ ৷ গ্রাম হাসপাতালে MBBS ডাক্তার থাকলে ভোগান্তি কমতো ৷ রাত্রী কালিন সেবাও পাওয়া যেত ৷ এখন সরকারি বেসরকারি মেডিকেল থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডাক্তার বের হচ্ছেন তাদের কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রামের মানুষের একেবারে হাতের নাগালে পৌঁছানো সহ বেকারত্ব কমাতে সহায়ক হাতো বলা যায়। সবাইতো পাশ করে চাকরি পায় না
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]