ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

মহার্ঘ ভাতা পদ্ধতি চিরতরে দূর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ৭:৫২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

mzamin

মহার্ঘ ভাতা পদ্ধতি চিরতরে দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা ২০১৫ সালে সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন দ্বিগুন বাড়িয়েছি। তাদের বসবাসের জন্য সুন্দর সুন্দর ফ্লাট তৈরি করে দিয়েছি। যা অতীতের কোনো সরকার করেনি। আমরা আর মহার্ঘ ভাতা বাড়াবো না। এটা একটা পার্মানেন্ট ট্রাপ হয়ে যায়। যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেহেতু সাময়িক ভিত্তিতে তাদেরকে কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে মহার্ঘ ভাতা আমাদের সিস্টেম থেকে চিরতরে দূর করা হবে। এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কী থাকছে-এমন প্রশ্নের জবাবে বুধবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। 

তিনি বলেন, আমরা গ্রামীন প্রকল্পগুলো বেশি বাস্তবায়ন করতে চায়। গ্রামীন সড়ক, সেতু, কালভার্ট, স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো, শিক্ষাক্ষেত্র অগ্রাধিকার পাবে এবং এগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দেয়া হবে। সারে, বিদ্যুতে ভর্তুকি থাকবে। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশ ভোটার গ্রামের। আমার আসনে কোনো পৌরসভা নেই। আমি গ্রামে যেয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। গ্রামের মানুষ চায় চোর-ডাকাতের সমস্যা যেনো না হয়। বিভিন্ন ছুতোয় ঘুরাঘুরি করা ছোট অফিসারগুলোর হাত থেকে তারা সুরক্ষা চায়। তারা সুষ্ঠুভাবে কাজ করে খেতে চায়। তারা চাল, ডাল ও ভাতার কার্ড চায়।  তিনি বলেন, জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে তেমন প্রকল্প আমরা হাতে নেব। লোক দেখানো কিংবা চোখ ধাঁধানো কোনো প্রকল্প আমরা হাতে নেব না। উন্নয়নমূলক, স্বাস্থ্যসেবামূলক ও দারিদ্র দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে এমন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। 

নির্বাচনী বাজেট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্বাচনী হাওয়া স্বীকার করি। নির্বাচনের বিষয়গুলো আমাদের চিন্তায় আছে। আমরা উন্নয়নমূলক কাজ ধারাবাহিকভাবে করে আসছি। এগুলো করে খুব ভালো ফলও আমরা পেয়েছি। সেই ধারাবাহিকতা এবারও থাকবে। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি একটা চরম ব্যধী। উন্নয়নশীল সকল দেশেই এটি থাকে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মতো মোড়ল দেশগুলোতে আগে কম মূল্যস্ফীতি থাকলেও এখন বেশি মূল্যস্ফীতি রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের প্রথম কাজ হবে গরীব মানুষের পাশে দাড়ানো। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের চাওয়া চাল, ডাল, তেল, মরিচ, নুনের দাম কমানো। এগুলোতে কর বাদ দিয়ে দেন, চলাচল নির্বিঘ্ন করেন, চাঁদাবাজি পুরোপুরি নির্মূল করেন। উৎপাদনে জোর দেন। তাহলে দুই থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে বাজার স্থিতিশীল হবে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ ছিল। সেখানে ঘুরাঘুরি করলে ভালো হতো। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও কোভিডের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। এটা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, বেশি বেশি করে তেল, ডাল ও পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। যাতে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে পারি। যদি আজ মৌলভিবাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে কাল সকালের মধ্যে ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ পাঠিয়ে দিতে হবে। তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সব জায়গায় সিন্ডিকেট আছে। যদিও এটা দেখা যায় না। বাজারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা গেলে বাজার নড়াচড়া করবে না। মূল্যস্ফীতি অনেক কষ্টের বিষয়। সরকার আপ্রান চেষ্টা করছে মূল্যস্ফীতি দমিয়ে রাখতে। কিন্তু আমাদের আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে। 

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্প পরিচালকরা তাদের জায়গায় থাকে না। তারা সবাই বড় শহর কিংবা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জায়গা ঢাকাতে এসে বসবাস করে। পিডি হলে একখান গাড়ি পাওয়া যায়। সুতরাং ঢাকায় বউ বাচ্চা থাকলো আমিও এসে থাকলাম। তিনি বলেন, আপনার প্রকল্প পঞ্চগড়ে, তাহলে আপনি ওখানে থাকেন। ঢাকায় থাকলে পঞ্চগড়ের প্রকল্প কিভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বলেই যাচ্ছে। কিন্তু এটা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status