বাংলারজমিন
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিতে মৃত ব্যক্তির নাম
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবারপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মোহসেন উদ্দিন নুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিতে মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে মো. মোশারেফ হোসেন খান নামে একই ব্যক্তিকে পর পর তিনবার মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালীর বাউফল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন মো. নূর উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। আদালত সভাপতি ও অধ্যক্ষকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ দিয়েছেন।
বাদী নূর উদ্দীন হলেন ওই মাদ্রাসার জমিদাতা ও সাবেক অধ্যক্ষ এ এস এম মুহিউদ্দিনের ছেলে। গতকাল দুপুরে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে কোনো ব্যক্তির পর পর দুইবারের বেশি থাকতে পারবেন না মর্মে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। অথচ সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে পর পর তৃতীয়বারের মতো মোসারেফ হোসেন খানকে ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। মামলার এজাহার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটির ১৪ নম্বর ক্রমিকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে মো. আফসার উদ্দীন আহম্মদকে। যিনি ২০০১ সালের ২৭শে জুলাই মারা গেছেন।
২০২২ সালের ৭ই মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ৬ই মার্চ পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ওই পরিচালনা কমিটির ২০২২ সালের ৭ই এপ্রিল অনুমোদন দেয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রেজাউল হক। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশিত হলে চলতি মাসের ২৪শে মে আদালতে মামলা করেন নূর উদ্দীন। আদালত ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সভাপতি ও অধ্যক্ষকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ দিয়েছেন।
এসব বিষয়ে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির নাম বর্তমান কমিটির সদস্য তা সত্য। তবে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভুল করেছে। হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে একই ব্যক্তিকে কীভাবে পর পর তিনবার সভাপতি করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় থাকলেও এ সংক্রান্ত পরিপত্র আমি পাইনি। আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্র্রার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। তবে মৃত ব্যক্তির নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই এবং একই ব্যক্তি পর পর দুইবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।