বিশ্বজমিন
উগান্ডায় সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ মাস আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ১:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

সমকামিতার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ঘোষণা করেছে উগান্ডা। মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউরি মুসাভেনি সমকামিতা-বিরোধী নতুন বিলে স্বাক্ষর করেছেন। তবে উগান্ডার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টিকে মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি তিনি উগান্ডার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে জানানো হয়, উগান্ডায় সমকামী সম্পর্ক আগে থেকেই অবৈধ। আফ্রিকার আরও ৩০টির বেশি দেশে সমকামিতা অবৈধ। কিন্তু উগান্ডার মতো এত কঠোর আইন কোনো দেশে নেই। গত সোমবার নতুন এই আইনের ঘোষণা দেয় উগান্ডা সরকার। এতে কেউ সমকামিতায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে উগান্ডার আইনপ্রণেতারা সমকামিতাবিরোধী খসড়া বিল পাস করে। ওই সময় বলা হয়, পশ্চিমা অনৈতিকতা থেকে উগান্ডার মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের বৈদেশিক হস্তক্ষেপ প্রতিহত করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে এরইমধ্যে উগান্ডার কঠোর এই আইনের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইনটির বিরুদ্ধে উগান্ডার উচ্চ আদালতে আবেদন করার ঘোষণা দিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রমোশন ফোরামসহ মোট ১১ মানবাধিকার সংগঠন। জো বাইডেন এ আইন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উগান্ডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক তা সব দিক থেকেই প্রভাবিত হবে নতুন এই আইনের ফলে। তিনি উগান্ডার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করিছি। এরমধ্যে আছে নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ। যারাই এই আইন পাশের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকেই এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত
বিকৃত ,অমানবিক ও নিকৃস্ট কুরুচির সমকামিতাকে "না" বলা প্রত্যেক মানবিক মূল্যবোধে গড়ে ঊঠা মানুষের নৈতিক এবং ঈমানী দায়িত্ব। অতএব এধরনের অনৈতিক কাজ যা পশুরাও করা থেকে বিরত থাকে তা থেকে নিজেরা বিরত হই এবং অন্যদেরকেও এব্যাপারে সুযোগ দেই। পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া নোংরামি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে না পারলে সেজাতির ধংস অনিবার্য। আজাদ
মুসলিম জাহানের উচিত আমেরিকার উপর সর্বাত্তক নিষেধাজ্ঞা দেয়া।
সুনে খুব ভলো লাগলো ........... ধন্যবাদ উগান্ডার পেসিডেন্ট কে .............
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট খুবই সময়উপযোগহী আইন করেছেন সাধুবাদ জানাই আর কোনো নর পশু কি বললো কান না দেয়ায় ভালো ۔শুভকামনা মিস্টার প্রেসিডেন্ট
তাহলেই বুঝুন, ভাওতাবাজ আমেরিকার মানবাধিকারের সংজ্ঞা কি। এই দুনিয়ার সবথেকে মানবাধিকার লংঘিত হয় খোদ আমেরিকাতে, আর সেই আমেরিকাই এখন মানবাধিকারের মোড়ল।
এই জঘন্য কাজের জন্য কওমে লূতের জাতিকে আল্লাহ ধ্বংস করেছেন।
এই আইন সারা বিশ্বেই হওয়া প্রয়োজন । এই নিকৃষ্ট জঘন্য কর্মকে যারা বৈধতা দিচ্ছে তারাই মানবতার শত্রু ।
বিকৃত অমানবিক ও নিকৃস্ট কুরুচির সমকামিতাকে "না" বলা প্রত্যেক মানবিক মূল্যবোধে গড়ে ঊঠা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। অতয়েব এধরনের অনৈতিক কাজ যা পশুরাও করা থেকে বিরত থাকে তা থেকে নিজেরা বিরত হই এবং অন্যদেরকেও এব্যাপারে সযাগ করি। পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া নোংরামি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে না পারলে সেজাতির ধংস অনিবার্য।