অনলাইন
কম্বোডিয়ায় বিরোধী দলকে হয়রানি, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র
তারিক চয়ন
(৫ দিন আগে) ২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ১২:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

আগামী জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান সেন। সেই ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি কম্বোডিয়ার ক্ষমতায়।
ওদিকে, দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা কেম সোখাকে মাস দুয়েক আগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তিনি যেনো নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সেজন্যই এই রায় দেয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এর আগেই অবশ্য (২০১৭ সালে) তার দল কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি) কে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এরপর এ বছরের ১৫ মে কম্বোডিয়ার নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ সঠিক কাগজপত্র না থাকার অজুহাতে দেশের বর্তমান বৃহত্তম বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে।
অনেক আগে থেকেই কম্বোডিয়ার গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন, এই পরিস্থিতিতে কম্বোডিয়ার নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে না বলেও জানিয়েছে দেশটি। তাছাড়া দেশটির বিরোধী দল, স্বাধীন গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজকে লক্ষ্য করে আইনি পদক্ষেপ, হুমকি, হয়রানি এবং মামলার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে কম্বোডিয়ান কর্তৃপক্ষ দেশটির বৃহত্তম বিরোধী দল- ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে ২০২৩ সালের জুলাই মাসের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল, স্বাধীন গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজকে লক্ষ্য করে কল্পিত আইনি পদক্ষেপ, হুমকি, হয়রানি এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফৌজদারি অভিযোগগুলো বহুদলীয় গণতন্ত্র হিসেবে বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারকে দুর্বল করছে। তদনুসারে, জুলাইয়ের নির্বাচনে কম্বোডিয়ায় অফিসিয়াল পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের, যা কিনা এমন এক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ যেটিকে বহু স্বাধীন কম্বোডিয়ান এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অবাধ বা সুষ্ঠু বলে মূল্যায়ন করছেন না।
বিবৃতিতে বলা হয়ঃ আমরা কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষকে দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি যাতে তার নাগরিকরা দেশের সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি ন্যায্য, বহুদলীয় গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং প্রতিশোধ গ্রহণের ভয়ভীতি ছাড়াই সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ অবাধে তাদের মানবাধিকারগুলো ভোগ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, কম্বোডিয়ায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।