ভারত
পর্যটকদের জন্য খুলছে লাদাখের দরজা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(৫ দিন আগে) ২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩৯ অপরাহ্ন

পূর্ব লাদাখে ভারত এবং চীনা সেনাদের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর লাদাখের দরজা বন্ধ হয়েছিল পর্যটকদের জন্যে। প্রায় চার বছর পরে সেই বন্ধ দরজা খুলতে যাচ্ছে পর্যটকদের জন্যে। চ্যাং চেনমো অঞ্চলে প্রথম পর্যায়ে পর্যটকরা যাবেন। পূর্ব লাদাখের পাঙ্গগ লেকের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত যেতে পারবেন তারা। এর জন্য প্রয়োজনীয় ইনার লাইন পারমিট দেয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে লে থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে মার্সিমিক লা অথবা পাস খুলে দেয়া হবে পর্যটকদের জন্যে। ১৮ হাজার ৩১৪ কিলোমিটার উচ্চতায় এই লা।
এই পর্যায়ে গোগরা হট স্প্রিং পর্যন্ত যেতে পারবেন পর্যটকরা। দেখতে পারবেন সগৎসালোতে ১৯৫৯ সালের দশ সিআরপিএফ প্রহরীর সমাধি স্তম্ভ। ওই সালের ২১শে অক্টোবর পাট্রোলিং করার সময় চীনা বাহিনীর আক্রমণে শহীদ হন এই দশ সিআরপিএফ প্রহরী। পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে লাদাখের স্থানীয় মানুষ জনের চাপটিও ছিল।
পাঠকের মতামত
আমরা ১৪জনের একটা গ্রুপ মানালি থেকে লে লাদাখ গিয়েছিলাম। সেখানে ২রাত অবস্থান করেও নির্ধারিত কিছু অংশে যেতে পারি নাই। বাংলাদেশ সহ কয়েকটি সার্ক ভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য প্রবেশাধিকার নাই।আমাদের বর্তমান সরকার ভারতের এতো আপনজন মনে করে অথচ ভারতীয় সরকার আমাদের শত্রু দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। আমাদের সরকারের উচিত ভারতীয় নাগরিকদের আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে প্রবেশ করতে না দেওয়া।
২০১১ সালের অগাস্ট মাসে লাদাখ ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আমরা দু'জন ছিলাম। ভ্রমণ পথটি নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছিলাম। শিলিগুড়ি থেকে নর্থইষ্ট এক্সপ্রেস ট্রেনে দিল্লী পৌঁছে সেখান থেকে বাসে অমৃতসর রওনা হই। পরদিন জালিয়ানওয়ালাবাগ স্বর্ণমন্দির দেখে বিকালে ওয়াগাহ বর্ডারের বৈকালিক শো দেখে রাতে অমৃতসরে থেকে পরদিন বাসে জ্ম্মু রওনা দিয়ে বিকেলে জম্মু পৌঁছে রাতে সেখানে থাকি। পরদিন সেখানে থেকে বাসে শ্রীনগর যাই। শ্রীনগরে তিনদিন থেকে বাসে কার্গিল যাওয়া । কার্গিলে একদিন থেকে বাসে লাদাখের মূল শহর লে তে যাই। লে তে খোঁজ খবর নিয়ে জানি আমরা যে দু'টি পর্যটন স্হান খারদুং লা ও প্যাংগং লেক যেতে চাই সেখানে বাংলাদেশ পাকিস্তান চীন ও বার্মার নাগরিকদের যাওয়ার পারমিট দেয়া হয়না। এই পারমিট নিতে হয় লে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট অফিস থেকে। পাঁচজন মিলে একটা অনুমতিপত্র দেয়া হয়। লে এর এক ভ্রমণ সংস্থা আশ্বাস দিল তারা চেষ্টা করবে। সে চেষ্টা তারা করেছিল। একজন মার্কিন, একজন ইসরাইল ও একজন ইতিলিয়ান নাগরিকের সাথে আমাদের দু'জনের নাম শেষে লিখে অনুমতি পত্রের আবেদন করেছিল। আমাদের জন্য স্হানীয় একটা ঠিকানা ব্যবহার করেছিল তারা।কিন্তু অনুপত্র নিতে পারেনি। লে'তে দুদিন থেকে বাসে কেলং এসে একদিন থেকে পরে রোটাং পাস পেরিয়ে কুলু মানালি শিমলা কালকা দিল্লী হয়ে শিলিগুড়ি ও দেশে ফিরি। তখন অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে হিমালয়ের উত্তর ঢালে বার থেকে আঠারো হাজার ফুট উচ্চতায় ভারতের "শত্রু" রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হয়ে আছে !!! গত বার বছরে এই অবস্হার অবসান ঘটেছে কিনা জানিনা।