অনলাইন
মার্কিন ভিসা নীতিকে দেশবাসী ইতিবাচক ও উৎসাহব্যাঞ্জক হিসেবে দেখছে: এবি পার্টি
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ দিন আগে) ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২০ অপরাহ্ন

গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সুষ্ঠু নির্বাচন, মৌলিক মানবাধিকার, স্বাধীন মত প্রকাশ ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার চলমান সংগ্রামের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায়কে দেশবাসী ইতিবাচক ও উৎসাহব্যাঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি, এবি পার্টি। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে এবি পার্টি সে প্রসঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া ও আনুষ্ঠানিক মতামত ব্যক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যদিও এটা খুবই দূঃখজনক যে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর এরকম ভিসা নীতি আমাদের দেশের জন্য অবমাননাকর। কারণ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক ব্যপার। এটা এমন এক মৌলিক অধিকার যা পেতে আমাদেরকে দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘসহ বন্ধুপ্রতিম উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহ বার বার বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহনমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ করে আসছিল। ঘোষিত এই ভিসা নীতি তারই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিধ্বনি বলে আমরা ধারণা করছি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী নতুন যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এই নীতি অনুসৃত হলে দীর্ঘমেয়াদে নির্বাচনী সংস্কৃতিতে একটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার রাতে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চাকে সহিংসতার মাধ্যমে বাধাদান। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপও এর অন্তর্ভুক্ত।
নেতৃদ্বয় বলেন, কারা গত ১০ বছর যাবত বাংলাদেশে এই অপকর্মগুলো করছে, সেই তথ্য ও প্রমাণ দেশের সীমানা পেরিয়ে আজ দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কিছু গণতান্ত্রিক বিশ্ব জেনে গেছে এবং তারা এখন ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। যারই অংশ হিসেবে তারা নানান নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান ও নিষেধাজ্ঞা প্রণয়ন ও জারি করছে।
পাঠকের মতামত
বৃিটিশ কবে এইদেশ থেকে চলে গিয়েছে কিন্তু তারা আমাদের ভিতরে উপনিবেশবাদি মনভাব রেখে গেছে। আমেরিকা সরাসরি আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় এ নাক গলাচ্ছে আর আমরা তাদেরকে আহ্লাদ করে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসছি।
আামরা লডাই করে স্বাধীনতা এনেছি,কিন্তু লডাই করে ভোটাধিকার আর্জন করতেপারিনাই।আামাদের দেশপ্রেম,নৈতিকত,সততা,সাহস,আধিকার সবকিছু ধীরে ধীরে কেড়ে নিয়েছে আামাদের শাসকরা,তারা আামাদের ভেডার জাতিতে রুপান্তাতর করেছে।তারা শাসক হয়েছেন আামাদের নেতা হতে পারেন নাই।তারা দলীয় পদ আার রাষ্টীয় পদের মধ্যে পার্থক্য করতে জানেন না।তারাUSA এর নিকট নতজানু আামাদের কাছে না।