অনলাইন
মার্কিন দূতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাপার বৈঠক: নির্বাচন ও ভিসানীতি নিয়ে আলোচনা
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ মাস আগে) ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বৈঠকটি শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা পৌনে ২টায়। পরে বৈঠকের ব্যাপারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এই নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।’
বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত, বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অবঃ) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জন্য যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। প্রতিটি দলই তাদের মতামত দিয়েছে। নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একদল আরেক দলের সম্পর্কে বলেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতির উদ্দেশ্য বোঝা গেছে, তারা একটা ফেয়ার ইলেকশন চায় এবং নির্বাচনটা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। এই ব্যাপারে আমাদের দলও একমত। আমরা বলেছি, মার্কিন সরকার যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যারা এ ধরনের কাজ করবে, ইলেকশন আনফেয়ার করার জন্য জোর-জবরদস্তি করবে, সে যেই হোক মার্কিন সরকার যদি কোন ব্যবস্থা নেয় ভিসার বিষয়ে সেটা সেই গভর্নমেন্টের বিষয়।
এদিকে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তারই প্রতিফলন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। যারাই ভোট চুরির সঙ্গে ডিরেক্ট এবং ইনডিরেক্ট জড়িত, তাদের সবার জন্যই এটা প্রযোজ্য।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অলরেডি ভোট চুরি চলতেছে, এটাকে নির্বাচন বলে না।
আমির খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই মেসেজ আওয়ামী লীগ না ভাবলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পাঠকের মতামত
Party slaves are shameless, they failed to realize that even after 50 years of separation of Pakistan, the politicians failed to hold a credible election. Yet they support this or that party blindly
আওয়ামী লীগ যে বিএনপি কে গোনার মধ্যে রাখে না তা বিএনপির বোকা গুলো এতোদিনে বুঝতে পারলো? আমেরিকা, আওয়ামী লীগ, ভারত, চীন, রাশিয়া সব এক হয়ে যাবে, আর বিএনপির এতিম গুলো রাস্তায় দাড়িয়ে ভ্যা ভ্যা করে কাদতে থাকবে। সবাই শক্তির পুজারী। সবাই বুঝে গেছে এখানে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের বিকল্প কেউ নাই।
They want only the treaty to sign by Bangladesh to join in their team against China and our leader want visa to their country, all other is eye wash !
আওয়ামী লীগের উৎসব পালন করা উচিত, আমেরিকা আর আওয়ামী লীগের পতন একই অবস্থায় রয়েছে উভয় জালিমের দিন নিভু নিভু করছে
জনাব আরাফাত আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। জামাত বিএনপির বিরুদ্বে বিশ্লেষণ ধর্মী কথা বলেন তাই ওনাদের ভালো লাগে না।
আমিরকাকে বিএনপি আওয়ামীলীগ কারোই অভিভাবক হিসেবে নেয়া ঠিক নয়। নিজেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা ভালো। আরাফাত নামের লোকটা আওয়ামীলীগের দালাল বা অন্ধ ভক্ত, তাতে সমস্যা নেই, যে কেউ কারো দালাল বা অন্ধ ভক্ত হতেই পারে। কিন্তু আরাফাত একজন নির্লজ্জ কূটতর্কবাজ, মিথ্যা দাবী নিয়ে বার বার প্রচূর বিতর্ক করতে মোটেও লজ্জা পান না । টকশোতে দেখেছি তার কুকীর্তি।
মো. এ আরাফাত সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান নাকি কুচিন্তা ফাউন্ডেশনের? আজ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের দালালি ছাড়া আর কি করেছেন বা কি পরামর্শ দিয়েছেন? তাছাড়া তিনি যে ফাউন্ডেশন চালান তার অর্থ কোথা থেকে আসে ?
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণ মুলক ও অবাধ সুষ্ঠু করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রকে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নিন।
টিউলিপ, দেশের ১২ টা এমনিতেই বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে বাজানো হয়ে গেছে তাই ভবিষ্যতে অন্য গভর্নমেন্টের জন্য ১৩ টা বাজাবার কিছু বাকি আছে বলে দেশবাসী মনে করে না।
বিএনপি-জামাতিরা মোঃ এ আরাফাত সাহেবকে কি পরিমাণ ভয় পায় কমেন্ট দেখে বুঝতে পারছি।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ? আরাফাতের আওয়ামী লীগের পদ আছেে সেটা উল্লেখ করেন নাহয় পাঠক বিভ্রান্ত হয়
দেশটা সর্ব শেষ করে দিতে চায় বিএনপি.বিএনপি বিশ বসর ক্ষমতায় থেকে.দেশের উন্নয়ান কিছুই করে নাই.তাদের মূখে সুধু চাপাবাজি..
আমাদের কর্তব্য ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন থাকলে আমরা আমরা বসেই আমাদের সমস্যার সমাধান করতে পারতাম। দুর্ভাগ্য, জানিনা আমরা কোন দিকে ধাবিত হচ্ছি! আমাদের সবাইকে কার্যকারণ তত্ত্ব ও তথ্য আরো বেশি করে পড়তে হবে। anyway "if Winter comes, can Spring be far behind? "
আরাফাত থাকায় স্বস্তি।
ড. আরাফাত সাহেব যদি দলকানা হয় তাহলে বিএনপি জাতীয় পারটী থেকে যারা গিয়েছিল তারা তাহলে কি দল ঢ্যাঁড়া? আমেরিকার কাজ হল সারা দুনিয়ায় যারা তাদেরকে ডড়ায় তাদেরকে ক্যামোফ্লাজ করে তাদের সুবিধা আদায় করে নেয়। এখন প্রশ্ন হলো, যেভাবেই হোক বিএনপি আগামী নির্বাচন এ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করল। তখন আমেরিকা কিন্তু তাদের ন্যায্য হিস্যা দাবি করবে বিএনপি জামায়াত এর কাছে। তখন বিএনপি জামায়াত কি সেই ঠ্যালা সামাল দিতে পারবে? আবার আরও বিপদ হল, তখন তো আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার কারণে আমেরিকার চাপ থাকবে না এবং রাজপথ খোলা। বিএনপি জামায়াত বিরোধী আন্দোলন সামাল দেওয়ার মত সক্ষমতা কি তাদের আছে। বেলা শেষে জয় কিন্তু আওয়ামী লীগেরই।
ঠেলার নাম বাবাজী।এক সিদ্ধান্তে এক বৈঠকে সবাই হাজির।চাপে পড়ে কাবু যে বাবু।
আমার ধারণা সরকার ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে ,ক্ষমতা ছাড়লে বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের উপর চড়াও হয়। সেই জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের ঘোষণা
দলকানা আরাফাত এর কাজ কি !???
বিএনপি যদি আগামী নির্বাচন বয়কট করে এবং প্রতিহত করার চেষ্টা করে তা'হলে কি বিএনপি নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন ?
আলোচনা আরো ভাল কার্যকর হতো, যদি সেখানে আরাফাত না থাকতো।
আওয়ামীলীগের পক্ষে দুই বান্দর যোগ দিয়েছে। এর চেয়ে আরো ভালো কাউকে পাঠালে ভালো হতো। বুঝা যাচ্ছে আওয়ামীলীগে রাজনৈতিক নেতা নেই সব বেনিফিশিয়ারী নিয়ে চলে।
Mr. Arafat is the member of Aawamileague international sub committee.
একটি সুন্দর বাগান নষ্ট করার জন্য একটি বানর যথেষ্ট ঠিক তেমনি একটি সুন্দর আলোচনা নষ্ট করার জন্য আরাফাত যথেষ্ট।
বয়স ৩৫ চলতেছে, এখনও একটা ভোট দিতে পারিনাই! আমাদেরকে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তার পর জনগন কি করবে তা জনগনই করবে। নেতারা জনগনের ভাষা বুঝেনা ১০০%
Mr. Arafat is a member of central executive committee for Awamileague.
এ আরাফাত ?
আরফাত আগামী দিনের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা হচ্ছে বিএনপিকে নির্দেশ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রণ করার। বিএনপির দাবি মেনে নিলে এই ঘোষণার তো কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
দেশের বড় ক্ষতি হওয়ার আগেই একটা সুরাহ যেন হয়, আমাদের নেতা/নেত্রীদের মনে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক -এই কামনা করা ছাড়া আমাদের মতো আম-জনতার আর কিছুই চাওয়ার নেই!
আরাফাত আওয়ামী লীগের কি?আরাফাতকে নিমন্ত্রণ আমার কাছে অবাক লাগছে। সে কোন পক্ষের প্রতিনিধি। সবচেয়ে বিতর্কিত ও একচোখা ব্যক্তি।
আমার বয়স ৩০ বছর। এই বয়সে ২ টি জাতীয় ভোট দেয়ার সুযোগ পেলেও সেন্টারে গিয়ে শুনতে পাই আপনার ভোট হয়ে গেছে, বাসায় গিয়ে বিশ্রাম করেন। আলোচনান্তে এমন সিদ্ধান্তে পৌছান যাতে ৩০ বছর বয়সে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি।
আমার দেশের নেতৃবৃন্দ আমেরিকার ভিসা এবং ওখানে যেতে কত আগ্রহী!! বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত সবাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত এর সাথে বৈঠকে দৌড়াতে দৌড়াতে গেল। আরো কত কিছু দেখার বাকি, , , , , অপেক্ষায় রইলাম!!!
আমাদের দূর্ভাগ্য যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেশপ্রেম সহনশীলতা সম্প্রীতি কোন কিছুই নেই, আছে শুধু ক্ষমতার লোভ।
হায়রে আন্ডালিব, সমস্যাকে সমস্যা না ভেবে দেশ আজ এই পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। আপনারা খোশ মেজাজে থাকেন। তবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন সামনে দু:স্বপ্নে পরিণত হতে খুব বেশী দেরী নেই।
আরাফাত কে কি পাঠানো হয়েছে নাকি উনি নিজেই স্বপ্রনদিত হয়ে গেছেন। আরাফাত আওয়ামী লীগের একজন অন্ধ সমর্থক।
ক্ষমতা থেকে নির্বাচন করলে জয় নিশ্চিত?
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা ও নির্বাজন নিয়ে যে কথা বলেছে তা যদি আওয়ামিলীগ ও সরকার মেনে নেয় তাহলে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে নির্বাচনতো পরের বিষয়। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, বিরোধী দল, পুলিশ নাই কে এতে।
কারণ ড. সেলিম মাহমুদ, মো. এ আরাফাত এরা discussion এ ভালো!!
আ'লীগের নেতাদের মধ্যে একমাত্র ইংরেজি জানা লোক এ,আরাফাত যদিও উনি কোন স্তরের নেতা তা প্রশ্নবিদ্ধ।
এই বৈঠকটাই আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ছাড়া হলে কতই না ভালো হতো,আমাদের সমস্যা আমাদেরই মেটানো উচিত, আমেরিকার মতো বন্ধু থাকলে যে আর শত্রুর দরকার হয় না এটা আমাদের রাজনৈতিক নেতারা কবে বুঝবে!
আওয়ামী লীগ যে স্তরের নেতাদের পাঠিয়েছে তাতে মনে হয় না তারা এ মিটিংকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। Blinken সাহেবের বার্তায় আওয়ামী লীগ এখন খোশ মেজাজে আছে এবং বিএনপির জন্য একটি কঠিন সময় আসছে।
@Imran আমি আপনার সাথে একমত, আওয়ামী লীগে অনেক বড় বড় নেতা থাকতে উনি কেন?
বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার ফেরত পাবে কি?
নতুন খেলা ?? এ আরাফাত কি আওয়ামীলীগ নেতা ???