বাংলারজমিন
৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুই এসআই বরখাস্ত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
(৪ মাস আগে) ১৭ মে ২০২৩, বুধবার, ১:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে কাজিপুর থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম শহিদকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত ১৩ই মে সদর থানার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাভলু ইসলামকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ মে) বেলা ১২টার দিকে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় লাভলু ইসলাম গত সোমবার (১৫ মে) সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (রাজশাহী) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর সার্কেল) অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাজিপুর থানার দুই এসআইকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাজীপুর থানার উপপরিদর্শক আবুল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম শহিদসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাভলু ইসলামের বাড়িতে অভিযান করে। পরে লাভলু ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যায়। স্থানীয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন লোকের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালায়। এ সময় লাভলু ইসলাম এমন তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে এসআই আবুল হোসেন তাকে অশ্রাব্য ভাষায় বকাঝকা করে ও হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স চেক করতে হবে বলে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে মহিষামুড়া চৌরাস্তা বাজারের পূর্বপাশে মহিলা মাদ্রাসার পেছনে নিয়ে আটকে রাখে। তার কাছে থাকা সিমেন্ট বিক্রির ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের ক্লোজড করে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ লাইলে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল (বিপিএমবার পিপিএমবার) বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত
এটা কেমন শাস্তি?? এটা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। এদের কে ১-২ বছর ওএসডি অথবা চাকরিচ্যুত করলে শাস্তি ঠিক হবে।
আজকাল এত কম টাকা ঘুষেও কাজ হয়!
এটা এদের জীবনে মুদ্রাদোষ তুল্য যা এরা করতে মোটেই লজ্জাবোধ করেনা। উপর থেকে নীচ পর্যন্ত প্রায় সবাই এগুলোতে দারুন অভ্যস্ত। এদের পরিবার পরিজনও তাদের এই দুর্নীতির নোংরা অর্জনকে প্রচন্ডভাবে ভালেবাসে।
কয়েকদিন পর স্বপদে পদোন্নতি সহকারে ফেরত আসবেন।
ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা কোন শাস্তি নয়। কিছু দিন পর বদলি হয়ে অন্যত্র গেলে আবার একই অভ্যাস চালু হবে । বরখাস্ত করা হয়েছে, তদন্ত করে প্রমাণিত হলে চিরদিনের মত বরখাস্ত করা সঠিক সাজা হবে । এতে অন্যরাও বার্তা পাবে অপরাধ করলে রেহাই নাই ।
মন্তব্য করুন
বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন
বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]