শেষের পাতা
খুঁড়িয়ে চলছে শিক্ষা প্রকৌশলের প্রকল্প
সাড়ে ৯ বছরেও শেষ হয়নি জমি অধিগ্রহণ
মো. আল-আমিন
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবারশিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করতে ২০১৪ সালে ঢাকায় সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। লক্ষ্য ছিল আড়াই বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা। কিন্তু এই কাজ শেষ হয়নি সাড়ে ৯ বছরেও। এখনো পাঁচটি জেলায় জমি অধিগ্রহণের কাজই শেষ করতে পারেনি তারা। ফলে আবারো মেয়াদ বাড়াতে চায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একটি আদর্শ ও দক্ষ সংস্থা হিসেবে গঠন করতে ঢাকায় সদর দপ্তর ও ৩২টি জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস চালু করতে সরকার ‘সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পটি গ্রহণ করে। জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০১৬ মেয়াদে ১১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদিত হয় প্রকল্পটি। পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করে ৩৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদিত হয়। এর মধ্যেও কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের মেয়াদ আবারো বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হতে বাকি আছে মাত্র ৩ মাস।
জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সদর দপ্তরটির ভবন ১৫ তলা বিশিষ্ট হবে। যেটি নির্মাণ করা হচ্ছে শেরে-বাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে। সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সদর দপ্তরের নির্মাণকাজ এখনো অর্ধেকও শেষ হয়নি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও মাত্র ৫ তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্যই মূলত প্রকল্পের কার্যক্রম অনেক ধীরে চলছে। এখনো ৫টি জেলার জমি অধিগ্রহণের কাজ বাকি রয়েছে। এই জমি পাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই জমি পেয়ে যাবো। তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আর তিন মাস আছে। এরমধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব না। আবারো মেয়াদ বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা পরিকল্পনা কমিশনে আবেদন জানাবো। মেয়াদ বাড়বে কিনা সেটা ওনারাই ভালো বলতে পারবেন। ওনারা যদি বলে কাজটি আর করা লাগবে না, তাহলে তো আমাদের কিছু করার থাকবে না।