ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

খুঁড়িয়ে চলছে শিক্ষা প্রকৌশলের প্রকল্প

সাড়ে ৯ বছরেও শেষ হয়নি জমি অধিগ্রহণ

মো. আল-আমিন
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করতে ২০১৪ সালে ঢাকায় সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। লক্ষ্য ছিল আড়াই বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা। কিন্তু এই কাজ শেষ হয়নি সাড়ে ৯ বছরেও। এখনো পাঁচটি জেলায় জমি অধিগ্রহণের কাজই শেষ করতে পারেনি তারা। ফলে আবারো মেয়াদ বাড়াতে চায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।   
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একটি আদর্শ ও দক্ষ সংস্থা হিসেবে গঠন করতে ঢাকায় সদর দপ্তর ও ৩২টি জেলা পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস চালু করতে সরকার ‘সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পটি গ্রহণ করে। জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০১৬ মেয়াদে ১১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদিত হয় প্রকল্পটি। পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করে ৩৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদিত হয়। এর মধ্যেও কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের মেয়াদ আবারো বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হতে বাকি আছে মাত্র ৩ মাস।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু কাজ বাকি আছে এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ। আইএমইডি জানায়, মূল প্রকল্প পিডব্লিউডি রেইট শিডিউল ২০১১ অনুসরণে তৈরি করা হয় এবং জানুয়ারি ২০১৪ হতে জুন ২০১৬ পর্যন্ত সময় নির্ধারিত হয়। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে জানুয়ারি ২০১৪ থেকে পিডব্লিউডি রেইট শিডিউল সংশোধন করে। সংশোধিত রেইট শিডিউল অনুযায়ী প্রকল্পের মূল্য সংশোধন করা হয় এবং মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পের মূল বরাদ্দ ছিল ১১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং সংশোধিত অনুমোদিত মূল্য ৩৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। মার্চ ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে সংশোধিত অনুমোদিত ব্যয়ের ৪০ দশমিক ৯৯ শতাংশ অন্যদিকে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬৩ শতাংশ। 
জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সদর দপ্তরটির ভবন ১৫ তলা বিশিষ্ট হবে। যেটি নির্মাণ করা হচ্ছে শেরে-বাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে। সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সদর দপ্তরের নির্মাণকাজ এখনো অর্ধেকও শেষ হয়নি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও মাত্র ৫ তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। 
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্যই মূলত প্রকল্পের কার্যক্রম অনেক ধীরে চলছে। এখনো ৫টি জেলার জমি অধিগ্রহণের কাজ বাকি রয়েছে। এই জমি পাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই জমি পেয়ে যাবো। তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আর তিন মাস আছে। এরমধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব না। আবারো মেয়াদ বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা পরিকল্পনা কমিশনে আবেদন জানাবো। মেয়াদ বাড়বে কিনা সেটা ওনারাই ভালো বলতে পারবেন। ওনারা যদি বলে কাজটি আর করা লাগবে না, তাহলে তো আমাদের কিছু করার থাকবে না।

 

 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status