অনলাইন
এই প্রথম বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করবে ভারতের রেলওয়ে?
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ১:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০০ অপরাহ্ন

১৫ কিলোমিটার লম্বা রেললাইনের মাধ্যমে কমে যাবে ১১০০ কিলোমিটারের দূরত্ব। ৩৬ ঘন্টার জায়গায় মাত্র ১০ ঘন্টা লাগবে কলকাতা থেকে আগরতলা যেতে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প। উত্তর-পূর্ব ভারতে এই প্রথম তৈরি হবে আন্তর্জাতিক কোনো রেলওয়ে স্টেশন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এক ভারত নিউজ’-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
উত্তর-পূর্ব ভারতকে রেলওয়ে কানেক্টিভিটি দেয়ার জন্য ভারত সরকার এমন এক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে, যার ফলে ১৫.৫ কিলোমিটার লম্বা রেলাইনের মাধ্যমে ১৬৫০ কিলোমিটারের দূরত্ব মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার হয়ে যাবে অর্থাৎ ১১০০ কিলোমিটার কমে যাবে। ফলে, ৩৬ ঘন্টার ট্রেনযাত্রা হয়ে যাবে ১০ ঘন্টার, মানে ২৬ ঘন্টা কম।
হ্যা, আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পের কথাই বলা হচ্ছে, যেটি সম্পন্ন হলে ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পুরো উত্তর-পূর্ব ভারত চমৎকার এক রেলওয়ে কানেক্টিভিটি পেয়ে যাবে। কলকাতা থেকে আগরতলা যেতে আসাম নয় বাংলাদেশের রাস্তায় সফর করা হবে। সাড়ে ১৫ কিলোমিটার লম্বা এই রেললাইন ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত বানানো হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ কিলোমিটার হবে বাংলাদেশের ভেতরে আর বাকি সাড়ে ৫ কিলোমিটার ভারতে। এই রেললাইনের সম্পূর্ণ খরচ ভারত সরকার বহন করছে।
এখন আগরতলা থেকে ট্রেন গুয়াহাটি হয়ে কলকাতায় যায়। যেখানে নতুন রেললাইন চালু হলে ট্রেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়ে কলকাতায় যাবে। এর ফলে ১৬৫০ কিলোমিটারের এই বর্তমান দূরত্ব মাত্র ৫৫০ কিলোমিটারে পরিণত হবে। রেললিংক বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের নিশ্চিন্তপুর এবং নিশ্চিন্তপুর থেকে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাবে।
নিশ্চিন্তপুর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন। সেখানে ইমিগ্রেশন কাউন্টার হবে, যেখানে যাত্রীদের নিজেদের কাগজপত্র দেখাতে হবে। নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনেই উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড বানানো হচ্ছে। আগরতলা-আখাউড়া রেলওয়ে প্রকল্পের এখনো অনেক কাজ বাকি। কিন্তু, এ বছরই সেগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই প্রকল্প উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি দেয়ার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বারও খুলে দেবে। উত্তর-পূর্ব ভারতে কোনো বন্দর না থাকলেও এই রেললাইন হওয়ার পর বাংলাদেশের রাস্তা ধরে সোজা কলকাতা বন্দরের সাথে জুড়ে যাবে। যার ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের স্থানীয় পণ্য বিশ্ববাজারে প্রবেশ করে নিজের চমক দেখাবে।
ভেবে দেখুন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন জীবন পেলেও উত্তর-পূর্ব ভারতকে বছরের পর বছর ধরে একা ফেলে দেয়া হয়েছিল। যদি (ভারতের) আগের সরকারগুলো বাংলাদেশের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাকি ভারতের সাথে জুড়ে দিতো তাহলে আজ উত্তর-পূর্ব ভারত বিকাশের এক নবরূপ লিখতো। কিন্তু, এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের ভাগ্য বদলে গেছে। সেখানে অনেকগুলো অবকাঠামো প্রকল্প চলছে। সেগুলোর মধ্যেই একটি হচ্ছে এই আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প যা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদের চেয়ে কম কিছু নয়।
পাঠকের মতামত
The seven sisters should quit India and join Bangladesh under a lose confederation.
জাতীয় নিরাপত্তার কথা না ভেবে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা ঘটে না। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কে জ্যে কেবল ভারতেরই লাভ হচ্ছে।
যোগাযোগ সহজ হোক। আমরা কেন ৯ কিলোমিটারের দুরত্তের নেপালের সড়ক যোগাযোগের করিডোর পাচ্ছিনা? আমরা বাংলাদেশ নেপাল সরাসরি ট্রানজিট সুবিধা চাই। বর্তমান সরকারকে অনুরোধ ভারতকে অনুরোধ বা বাধ্য করা হোক ট্রানজিট দিতে। ভারত তিস্তা সমস্যার সমাধান না করলে, বিকল্প বাধের ব্যবস্থা নেয়া হোক।
হায়রে বাংলাদেশ! বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করবে বিদেশী ভারতের রেল, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মাঝখান দিয়ে কলকাতায় যাবে।---সার্বভৌমত্ব সম্পর্কিত এত বড় একটা সিদ্ধান্ত কখন হলো কিভাবে হলো কিসের বিনিময়ে হলো জনগণ তা জানেই না। দেশের মালিক জনগণ, অথচ জনগনের জানার কোন অধিকারই নেই?
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়ে কলকাতায় যাবে।---সার্বভৌমত্ব সম্পর্কিত এত বড় একটা সিদ্ধান্ত কখন হলো কিভাবে হলো জনগণ তা জানেনা;সাউথ এশিয়া- ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর মত নয় এখানে অবাধে একদেশ থেকে আরেক দেশে যান চলচল করতে পারে না। দেশের নিরাপত্তা বিনষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে! সবচাইতে বড় কথা ভারতের কোটি কোটি মানুষ আছে যারা দুবেলা খেতে পায় না, সেই এলাকার মানুষ বাংলাদেশে এসে চুপিচুপি ট্রেন থেকে নেমে জনারণ্যে হারিয়ে যাবে ,এটা আশ্চর্যের কিছু নয়! এছাড়া আরো অনেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে ,খোলাখুলি ভাবে যা এখানে বলা যায় না। বাংলাদেশের সরকারকে বিষয়টা গভীরভাবে অনুধাবন করা উচিত ছিল; এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ক্রচ করে ভারতীয় যান চলাচল কোনক্রমেই সমর্থনযোগ্য নয়, এই ব্যাপারে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের মতামত নেওয়া খুবই জরুরী!খ্রিস্টান অধ্যুষিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আর মুসলিম, হিন্দু(বিষেশ করে ভারত)-বৌদ্ধ অধ্যুষিত সার্ক রিজিওন নিয়ে একই রকম চিন্তা করার সময় এখনও আসেনি।ভারতীয় রেল বাংলাদেশের উপর দিয়ে পার হওয়ার খবরে জনগণ আতঙ্কিত!
নেপাল, ভুটান যাবার অনুমতি আগে নিন। তার পরে উদের চলাচলের রাস্তা দিন। ভারত কে বিশ্বাস করলে ভুল হবে। তিস্তা নদী থেকে পানি নিয়ে নিচ্ছে।। নেপালের, ভুটানের সাথে সুরাসরি যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না।। আমাদের টা আগে দিক,তার পরে আমরা ভেবে দেখবো।।
বাংলাদেশ কি পাবে এর বিনিময় ? বাংলাদেশের জনগণের টাকায় তৈরি করা অবকাঠামো রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভারত ১৬৫০ কিঃ মিঃ পথ কমে যাবে এর বিনিময় বাংলাদেশ কি পাবে ? বাংলাদেশ নেপাল ভুটান মাত্র ২৫ কিঃ মিঃ রাস্তা ভারত বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেনা !! আমরা কি শর্তে ভারত কে এই রাস্তা ব্যবহার করতে দিচ্ছি ? আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি র বিনিময় এমন দেশ বিরুদি কর্ম কাণ্ড দেশের জনগণ মেনে নিবেনা ইনশাল্লাহ। আমরা ১ এর বিনিময় ২ আদায় করতে না পারলে এই সিদ্দান্ত বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। তিস্তা ফারাক্ষা পানির ন্যায্য হিস্যা ও নেপাল ভুটান করিডোর না ফেলে ভারতের রেল বাংলাদেশের বুকেউপর দিয়ে চলতে দেয়া হবেনা।
এটা কখনো বাংলাদেশের জনগণ হতে দিবে না ইনশাল্লাহ
দেশ ধংশ হয়ে যাক তবু ক্ষমতাতে থাকতে হবে ।
সম্ভব অসম্ভব সব রকম সুবিধাই ভারত নিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ এক তিস্তাই পাচ্ছে না।
দিলাম দাদাদের কিন্তু দাদারা কি দিলো?
আমি মনে করি ভারতকে দেওয়া এই সুবিধা আজই বন্ধ করে দেওয়া উচিত যতক্ষণ না তারা বাংলাদেশের রেললাইন আসাম ও অরুণাচল হয়ে চীনে প্রবেশের সুযোগ দেয় যতক্ষণ পর্যন্ত নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের ট্রেন অবাধে প্রবেশ করার সুযোগ ভারত হলো বিশ্বের একটা বড় স্বার্থপর দেশ।
আমরা তো নিজেকে উজাড় করে দিতেই বেশী পছন্দ করি। এখানে ভারতেরই লাভ হবে এদের যাতায়াতের দুরত্ব কমে যাবে। তবে বাংলাদেশের কি লাভ হবে? নিজেদের লাভের কথা বলতে তো আমাদের বিবেকে বাধে। নাকি আদানীর বিদ্যুতের মত লাভটা ভারতেই শেয়ার হবে ওদিক থেকেই বিদেশী ব্যাংকে পাচার হবে।
যেখানে ভারতের বাধায় ঢাকা চট্টগ্রাম লাইনের কসবা এলাকায় ডাবল লাইনের কাজ বন্ধ সেখানে বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে ট্রেন যাওয়ার আগে এই ডাবল লাইনের ব্যপারে সিদ্ধান্ত আগে আসা উচিত। সেই সাথে বাংলাদেশ থেকে ভুটান, নেপাল যাওয়ার ব্যপারটাও পরিস্কার হওয়া উচিত। আমরা শুধু দিয়েই যাবো, কিছু পাবো না তা তো হতে পারে না।
Good news. Humanity will be benefited.
ভারত আম খাবে আর বাংলাদেশ বসে বসে আটি চুষবে!
I love পেম পেম খেলা !
সব সুবিধা ভারতেকে দিল বাংলাদেশ কি পেলো?
বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত চোয়ান্নটি নদির পানি প্রায় বন্ধ করে দিয়ে ব্যপক ক্ষতি সাধনের পরেও সবকিছু ভারতের উপকারই করা হলো।
সব সময় সব সুবিধা তো ভারতেরই । ন্যায্য পাওনা তিস্তা সহ অন্য গুলোর কি হবে?
ভারতের অনেক লাভ হবে। বাংলাদেশের কতটা লাভ হবে ? ট্রানজিট ফি কি হারে পাওয়া যাবে ? সীমান্তে হত্যা কি বন্ধ হবে ? ভারতের অভ্যন্তরে মুসলিম নির্যাতন কি বন্ধ হবে ? পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন শুধু হিসাব করে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ভারতের কতো লাভ হয়।
বাংলাদেশের ভিতর যে রাস্তা ব্যবহার করবে তার জন্য কত রয়ালটি দিবে ভারত? ট্রেন চলাচল করলে রেললাইনের মেরামত ঘন ঘন প্রয়োজন হবে, খরচ ও বাড়বে । ভারত কি তা বহন করবে ?
এর আগে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করা জরুরি,,