রাজনীতি
বিএনপি থেকে বহিষ্কার, শওকত মাহমুদ বললেন দুঃখজনক
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৫২ অপরাহ্ন

দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শওকত মাহমুদ বললেন দুঃখজনক
এ ব্যাপারে শওকত মাহমুদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে কেন দুঃখজনক তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি। তিনি বলেন, দু-একদিন পর বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাবো।
উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে নৈশ ভোজের আয়োজন করেছিল জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি। এই কমিটির আহবায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। এই কমিটির সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ।
নৈশ ভোজের অনুষ্ঠান হলেও কমিটির পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। ওই প্রস্তাবে অন্তবর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠন করে সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে আরো আগেই। এই প্রস্তাবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ এর ইনসাফ কায়েম কমিটি যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগেই একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। তাদের এই প্রস্তাব বিএনপি’র প্রস্তাবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
পাঠকের মতামত
আমারতো মনে হয় শওকত সাহেবের প্রস্তাব টা খারাপ না ! নির্বাচনের আগেই সব দল নিয়ে একটা একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে সবার অংশগ্রহনের একটা আগ্রহ থাকবে !
শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার দলের সঠিক সিদ্ধান্ত। এই ধরনের নেতাদের বয়কট করা উচিৎ। দলের আদর্শ ও নীতিকে যারা অমান্য করে তাঁদেরকে দলে রাখার কোন যুক্তি নাই। এই ধরনের নেতা আরও কে কে আছে তাদেরকে তদন্ত করে ব্যবসথা নেওয়া উচিত। ধন্যবাদ।
বিএনপির মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তারের মতো লোকে ভরে গেছে। কিভাবে এই আবদুস সাত্তার মার্কা লোক দিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন করবে তা ভেবে পাচ্ছি না। আসলে আমাদের সাধারণ জনগণের দুঃখ-দুর্দশা, কষ্ট সহসা যাবে বলে মনে হয়না। আল্লাহ তুমি আমাদের এই দেশের সাধারণ জনগণের উপর রহমত করো।
বিএনপি চায় না এই সরকারের পতন।আর শওকত মাহমুদ চান,আগামী নির্বাচনের আগেই সরকারের পতন ও একটি জাতীয় সরকারের অধিনে আগামী নির্বাচন। আর বিএনপি চায় এই সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন(,যদিও বলে পতন ঘটিয়ে)একটি নির্বাচনকালীন একটি সরকারের অধিনে হওয়ার পর বিএনপি জয়লাভ করলে এরপর জাতীয় সরকার গঠন।বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কে বিএনপি কি এতো বেকুব বা আবালের দল ভাবে তাদের প্রস্তাবে সব সরকার বিরোধী দল তার পেছনে ছুটে আন্দোলন করবে? কারন সরকার বিরোধী সব দল ও জনগন জানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগে ১৭ বছরের প্রতিশোধ নিবে।তাই বিএনপি এই জাতীয় সরকারের প্রস্তাব আর নদী পার হওয়ার পর শালার মাঝির গল্পের মতোই বলে সবাই মনে করেন।তাই শওকত মাহমুদের ইনসাফ কমিটির প্রস্তাব বিএনপির কাছে পছন্দ হয়নি।কারন বিএনপিই এখন সরকারের সব চেয়ে বড় বন্ধু ও সরকার কে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে এবং আগামী নির্বাচন পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে চায় এটা তাদের আড়াই মাসের বিভাগীয় সমাবেশ করে ঢাকায় নানা টাল বাহানা করে শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগেই সমাবেশ করে রাতের ভোটের সংসদ থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূল কর্মীদের শান্তনা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।নির্বাচনের যত সময় ঘনিয়ে আসবে আস্তে আস্তে বিএনপিতে থাকা সরকারের শেয়ারহোল্ডারদের মুখোশ তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে উন্মোচিত হতে থাকবে কারা সরকার কে টিকিয়ে রেখে মাঠ পর্যায়ে তাদের ব্যবহার করে নির্বাচনী ফায়দা হাসিল করছে।আর তাদের তৃণমূল নেতাকর্মীরাই তখন দলে থাকা দালালদের গণধোলাই শুরু করবে।সেই দিন বেশী দূরে নয়।সময়ই বলে দিবে।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তার এইরকম কাজ হতাশাজনক!!
বিএনপি জাতিয় সরকারের একটি রুপরেখা প্রকাশ করেছে।শওকত মাহমুদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে আরেকটি নতুন দলের ব্যানারে সদস্য সচিব হয়ে নতুন ফর্মুলায় প্রস্তাব করাটা কি বহিস্কার হওয়ার মতো অন্যায় করেনি?এখানে দূরভিসন্ধি থাকতে পারে ভাবাটা কি বিএনপির অন্যায়?
সঠিক সিদ্ধান্ত।
বিএনপি আশায় বসে আছে শেখ হাসিনা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করিয়ে তারেক রহমানকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে তাই নির্বাচনের আগে তারা জাতীয় সরকার গঠন করতে রাজী না। যারাই নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন বর্তমান বাস্তবতায় এটা একটা ভাল পদক্ষেপ। অন্য কোন ব্যক্তি বা কমিউনিটির কোন প্রস্তাব থাকলে সেটাও উপস্থাপন করুক। জনগণ যে প্রস্তাবকে টেকসই ও কল্যাণকর মনে করবে সেটার উপর তাদের মতামত জানাবে।
বিএনপিতে তেমন যোগ্য মানুষ নেইও। যোগ্য কেউ থাকলে আজ ভিখারির দলে পরিণত হতোনা। শধু জন সমর্থন থাকলেই হবেনা সাংগঠনিক দক্ষতা নেতৃত্ব সব থাকতে হবে। শওকত মাহমুদ সাহেব আপনি দুঃখ করবেন না আপনার জন্য মংগল হয়েছে অথর্ব এই দলটার জন্য জীবনটা নষ্ট করেছেন। আপনি একজন ভালো সাংবাদিক আপনার উচিৎ রাজনীতি থেকে দূরে থাকা।
পরীক্ষিত যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাদেরকে বাড়ি পাঠাও! আর দলের কঠিন পরিস্থিতিতে পদ বেচা কেনা করো!! এই হল বিএনপি!! অযোগ্য ভিতু নেতা দিয়ে ভর্তি!! করো দালালির রাজনিতি!! জনগণের দারস্থ না হয়ে যাও আমেরিকার কাছে ব্রিটেনের কাছে!! বিএনপি আর আওয়ামীলীগের মাঝে আসলে কোন পার্থক্য নাই!
এগুলো বিএনপির বাড়াবাড়ি।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ! দলের জন্য প্রায় ১ বছর কারাগারে থাকা, রাজপথ এবং টক শো দলের পক্ষে কাজ করার পুরস্কার হলো বহিষ্কার! সঠিক তথ্য জানানো উচিত। দিনে বিএনপি, রাতে আওয়ামী লীগ। তাদের কি হবে? সামনে জাতীয় নির্বাচন। এসি রুমের নয়, কারাগারে-রাজপথের নেতৃত্ব এখন প্রয়োজন।
দীর্ঘদিন ধরে একটা কথা চালু আছে বিএনপির ভেতর এমন লোকও আছে, যে শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারণ করে না। এরা ধীরে ধীরে বিএনপির শীর্ষ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। অথবা এমনও হতে পারে বিএনপি করতে করতে একসময় প্রতিপক্ষের লোভনীয় অফারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। এধরনের লোক দলের জন্য পরীক্ষিত না। এরা সুবিধা বাদী। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ টোপ হবে কথিত উকিল মডেল। বিএনপি থেকে সুবিধা বাদীদের ভাগিয়ে নিয়ে নির্বাচন করতে পারলে বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা শুধু নয় একটা ভালো মার দেয়া হবে। তাই বিএনপির উচিত এধরনের সুবিধাবাদীদের ওপর নজর রাখা এবং নির্বাচনের আগেই আগাছা পরগাছা পরিষ্কার করা। দলের জন্য জানমান উৎসর্গ কারীদের খুঁজে খুঁজে সামনে নিয়ে আসতে হবে। যারা শহীদ জিয়ার আদর্শ বুঝেনা তাঁদের বিএনপি করার কি অধিকার আছে?
মন্তব্য করুন
রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন
