বিশ্বজমিন
বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম, অপহরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যা বলেছে
মানবজমিন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম, অপহরণের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব গুম, অপহরণের শিকার বেশির ভাগই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ভিন্ন মতাবলম্বী। এসব অপরাধ প্রতিরোধে, তদন্তে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে সীমিত প্রচেষ্টা নিয়েছে সরকার। ওদিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে বলা হয়েছে, ঘন ঘন এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করে সরকার। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বাংলাদেশ অধ্যায়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরে। ২০২২ সালের ঘটনার ওপর তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে গুম নিয়ে বলা হয়েছে, মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ এবং মিডিয়ার রিপোর্টে অব্যাহত গুম এবং অপহরণের তথ্য উঠে এসেছে। নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা এসব সংগঠিত করেছেন বলে অভিযোগ আছে। স্থানীয় একটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো বলেছে, জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, অধিকারকর্মী এবং ভিন্ন মতাবলম্বী। গুমের অভিযোগ উঠার পর কোনো অভিযোগ ছাড়াই কিছু ব্যক্তিকে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের ছেড়ে দিয়েছে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী।
ফটো সাংবাদিক ও নিউজ এডিটর শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম জুনে স্থগিত করে হাইকোর্ট। সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে জোর করে ২০২০ সালে আটক করে সরকার এবং গোপনে আটকে রাখে ৫৩ দিন। মানহানির অভিযোগে তিনি মোট ২৩৭ দিন জেলে কাটান। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পান।
মে মাসে পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্সেস। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের মোট ৮১টি ঘটনা তদন্ত করছে। বছরের শুরুতে তারা জোরপূর্বক গুমের কিছু ঘটনায় সরকারের কাছে তথ্য চায়। কিন্তু ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্সেস বলেছে, গুমের শিকার মানুষগুলোর পরিণতি কি হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য ওই তথ্যগুলো পর্যাপ্ত ছিল না। সংস্থাটি রিপোর্ট করেছে যে, তারা নিয়মিতভাবে গুমের অভিযোগ পাচ্ছিল। এর শিকার বেশির ভাগই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানে সংবাদ মাধ্যম এবং মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঘন ঘন এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করে সরকার। অনলাইন এবং অফলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত ছিল। হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে মিডিয়ার সদস্যরা এবং ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সরশিপ চালিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে সংবিধানের সমালোচনাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এমন অপরাধে অভিযুক্ত হলে তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন শাস্তি হতে পারে। ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য সীমিত করা হয়েছে আইন দিয়ে। কিন্তু ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্যের বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এর ফলে সরকার ব্যাপকভাবে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে। সাইবার অপরাধ কমিয়ে আনার জন্য পাস করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানোর অপরাধে যাবজ্জীবন জেলের বিধান আছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নে করা সহ সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে এই আইন ব্যবহার করেছে সরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ওয়েবসাইট অথবা অন্যান্য ডিজিটাল প্লাটফরমে পাওয়া বক্তব্য, বিশেষ করে দেশের বাইরে থেকে যারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবহার করা হচ্ছে এই আইন। এপ্রিলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮৯০টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২২৪৪ জন মানুষ। এর বেশির ভাগই সাংবাদিক এবং রাজনীতিক। ওই রিপোর্টে বলা হয়, প্রতি মাসে গড়ে এই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩২ জনকে। ২০২১ সালে এই আইনে গ্রেপ্তারের হার বাড়তে থাকে। পরের বছর তা অব্যাহত থাকে। আলাদা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের মুখোমুখি শিশুরাও। দেশের ১২টি জেলায় ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২০টি শিশুর বিরুদ্ধে এমন কমপক্ষে ১৮টি মামলা আছে। মার্চে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট করে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, মানবাধিকারের পক্ষের কর্মীসহ ভিন্ন মতাবলম্বীদের কণ্ঠকে টার্গেট করে ও হয়রানি করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ নম্বর, ২৯ নম্বর এবং ৩১ নম্বর ধারা ব্যবহার করা হয় সিস্টেম্যাটিক্যালি। ইন্টারন্যাশনাল কোভ্যানেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস এবং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ, এসব কর্মকাণ্ড তার বিপরীত। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনসহ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালায়। হয়রান করে। ভীতি প্রদর্শন করে। এর মধ্য দিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীনরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে এই আইন ব্যবহার করছে বলে মানবাধিকারকর্মীদের পর্যবেক্ষণ। সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস কাউন্সিল বলেছে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কণ্ঠরুদ্ধ করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সংগঠনটির সদস্যরা এ নিয়ে প্রকাশ্যে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছেন। গ্রেপ্তারের হুমকিতে ছিলেন বেশ কিছু মানুষ। বিচারের আগেই অনেককে আটক রাখা হয়। তাদেরকে ব্যয়বহুল ক্রিমিনাল বিচারের মুখোমুখি করা হয়। জরিমানা করা হয় জেল দেয়া হয়। এডিটরস কাউন্সিলের মতে, এই আইনে অপরাধ এবং শাস্তি সম্পর্কিত ২০টি ধারা বা ক্লজ আছে। এর মধ্যে ১৪টি জামিন অযোগ্য। ৫টি জামিনযোগ্য। একটি সমঝোতাবিষয়ক।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যেসব মিডিয়া সরকারের সমালোচনা করেছে, তাদেরকে চাপ দেয়া হয়েছে। মুক্তভাবে অথবা বিধিনিষেধ না মেনে কোনো নিরপেক্ষ মিডিয়া কাজ করতে পারে না। দেশটির সরকারি টেলিভিশন স্টেশনে সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে সরকার। অভিযোগ আছে বিনা খরচে সরকারি কন্টেন্ট সম্প্রচার করতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বাধ্য করা হয়েছে। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো বলেছে, লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে। কারণ, সব টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স অনুমোদন দেয় সরকার। আর এসব চ্যানেলের সমর্থকরা ক্ষমতাসীন দলের। রিপোর্টে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ঢাকার একটি আদালতে অক্টোবরে পুলিশ রিপোর্ট দেয় যে, তার বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। রোজিনা অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের অধীনে মামলার মুখোমুখি। ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের অধীনে ২০২১ সালের মে মাসে তাকে গ্রেপ্তার করে সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গিয়ে তিনি এমন অবস্থার শিকার। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায়ও অভিযোগ করা হয়েছে। মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি ডকুমেন্টের ছবি তোলার কারণে ঢাকায় সরকারি অফিসে ৫ ঘন্টা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এ সময় তিনি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত হলে তার ১৪ বছরের জেল বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় ও ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করেন যারা তার বাইরে বিস্তৃত মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বেসরকারি সংবাদপত্রগুলো সাধারণত স্বাধীন। রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং সেলফ সেন্সরশিপ অব্যাহতভাবে একটি সমস্যা রয়ে গেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা মাঝে মাঝেই অভিযোগ করেন তাদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারা বলেন, সরকার ও তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চাপের ভয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের রিপোর্ট ‘কিল’ করেন। রিপোর্ট প্রকাশের পর হুমকি পেয়েছেন অনেক সাংবাদিক। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের প্রতিশোধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে বিচার এমনকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার ভয়ে সাংবাদিকরা নিজেরাই সংবাদে সেলফ সেন্সরশিপ চালান। এ অভিযোগ সাংবাদিক ও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলোর। যদিও জনগণের মধ্যে সরকারের সমালোচনা সাধারণ ব্যাপার এবং জোরালো, তবু কিছু মিডিয়া সরকারের হয়রানির আশঙ্কা করেছে। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে তিনজন মিডিয়াকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে জুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আর্টিক্যাল ১৯। তাদের রেকর্ড অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সারাদেশে ৬২টি ঘটনায় সাংবাদিকরা শারীরিক নির্যাতনের শিকারে পরিণত হয়েছেন।
ইন্টারনেট ফ্রিডম বা ইন্টারনেটে স্বাধীনতা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ওই রিপোর্টে বলেছে, ইন্টারনেট সুবিধায় বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার বা এই সুবিধায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে। বহু ঘটনায় তারা অনলাইন কন্টেন্ট সেন্সর করেছে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট অনেক নেটওয়ার্ক এবং ভিওআইপি ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে আইন দিয়ে। আইনগত যথাযথ কর্তৃত্ব না থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে বেসরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ মনিটরিং করছে সরকার। বিরোধী দলগুলো যেসব শহরে র্যালি ডেকেছিল সেখানে সরকার অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল অথবা গতি কমিয়ে দিয়েছিল। অস্পষ্ট ক্রাইটেরিয়ার ওপর ভিত্তি করে অনেক ওয়েবসাইট স্থগিত বা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইলে তৈরি নজরদারি অ্যাপ্লিকেশন পেগাসাস ব্যবহার করছে বাংলাদেশ। তবে এই সফটওয়্যার কেনার কথা অস্বীকার করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী। আন্তর্জাতিক গবেষণা বিষয়ক ল্যাবরেটরি ‘দ্য সিটিজেন ল্যাব’ দাবি করেছে তারা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের নেটওয়ার্কে এই স্পাইওয়্যার শনাক্ত করেছে। একজন মন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সুইডেনভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বরেও ওই সাইটটি ব্লক করা অবস্থায় ছিল। সেপ্টেম্বরে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের এশিয়া ডেস্ক রিপোর্ট করে যে, মানবাধিকারকর্মী ও ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম পরিচালিত দৃকনিউজের ওয়েবসাইটে প্রবেশ স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে ব্লক করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পাঠকের মতামত
১৯৭১ সালে গণহত্যার সমর্থক কোন মুখে সমালোচনা করে ? অনেকেই আমেরিকার বক্তব্যে আহ্লাদিত হন । কিন্ত তারা যে সত্য উপলব্ধি করতে পারছেন না - তা হল আমেরিকা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করতে পারছে না । লিবিয়া, ইরাক ও ইরানের ঘটনা প্রবাহ যাচাই করুন আর ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তুলনা করে যাচাই করুন তারা শত্রু না মিত্র । কোন উন্নত বা উন্নয়নে সফলতা অর্জন করছে এমন মুসলমান দেশের মিত্র নয় আমেরিকা ।
Mr or Ms Tulip get out of your ... wet dream. You really want to see the American demise, I guess you have to wait for another millennia or so. Just for your info, a dead elephant is worth more than many other live ones. Your China, Russia and hindustan combine will have to wait also thousand years to come close to American power.