অনলাইন
এবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আক্রমণ করে ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাসের ব্যঙ্গচিত্র
তারিক চয়ন
(১ মাস আগে) ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ৯:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

বিদায়ী বছরের একেবারে শেষের দিকে বাংলাদেশকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশ্য বিরোধে লিপ্ত হয়েছিল ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার দূতাবাস। বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের দুই শীর্ষ প্রভাবশালী দেশের দূতাবাসের মধ্যে এরকম পাল্টাপাল্টি আক্রমণের ঘটনা অতীতে আর কখনোই ঘটে নি বলে সে সময় নড়েচড়ে বসেছিলেন সচেতন মহল।
গত ২০শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের স্বপ্রণোদিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, মস্কো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি গ্রহণ করেছে। বিবৃতিতে কারও নাম উল্লেখ না করে বলা হয়েছিল, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার অজুহাতে যারা নিজেদেরকে ‘বিশ্বের শাসক’ বলে মনে করে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কাজ চলছে যা স্পষ্টতই বিশ্বব্যবস্থার স্থায়িত্বকে হ্রাস করে, বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় ডেকে আনে। ওই বিবৃতিতে কারও নাম উল্লেখ না করলেও সেটি যে এর আগে (১৪ই ডিসেম্বর) গুমের শিকার স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের রাজধানীর শাহীনবাগের একটি বাড়িতে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেই প্রচার করা হয়েছিল তা বলাবাহুল্য।
রুশ দূতাবাসের ওই বিবৃতির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই (২১শে ডিসেম্বর) এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এক টুইটে প্রশ্ন করেছিল, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়া, এটা (এই নীতি) কি ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? তারপর, ওইদিন রাতেই রুশ দূতাবাস পাখির ছবি দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে কটাক্ষ করে একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র যে পশ্চিমা বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছে, এমনটিই তুলে ধরা হয়েছিল টুইটারে প্রচারিত ওই ব্যঙ্গচিত্রে।
ঢাকাস্থ দুটি দূতাবাসের মধ্যেকার কূটনৈতিক বচসা সেখানেই শেষ বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, না! নতুন করে সেটি আবার শুরু করেছে রুশ দূতাবাস। এবার সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। আজ (সোমবার) রুশ দূতাবাসের পোস্ট করা নতুন ব্যঙ্গচিত্রে দেখা যাচ্ছে, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তানের নাগরিকদের লাশের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং মুখে কালো মুখোশ পরিহিত অন্য একজন ব্যক্তি। তিনজনেরই হাত লাল রক্তে রঞ্জিত। আর, বাইডেন বাকি দুজনকে ইশারা দিয়ে বলছেন, রাশিয়ার মানুষ খারাপ। রুশ দূতাবাসের এমন পোস্টের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় কিনা সেটি দেখার অপেক্ষায় এখন অনেকেই।
।পাঠকের মতামত
মানবতার পক্ষে কেউ কোনদিনও ছিলো না! পশ্চিমারা গণতন্ত্রের নামে অন্য দেশে মারছে আর রাশিয়া সেখানে ঢুকে সেই শাসককে বাচানোর কথা বলে মারছে। একটা স্বাধীন দেশকে নিজের মত চাপিয়ে দেয়ার জন্যে স্বেচ্ছায় হামলা করে জবর দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তারা যথেষ্ট ভাগ্যবান যে তাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নেই। তারা আমাদের মতো ডিজিটাল এবং স্মার্ট নয়।
এমন ন্যক্কারজনক কার্টুনেরন প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য সঠিক চিত্র। বর্তমান বিশ্বের এটাই বাস্তবতা। :'(
পেছনে ওইটা ট্রুডো, কাধের স্টিকার দেখেন।
বিশ্বের মাঝে গনতন্ত্রের ফিরিওয়ালা আমেরিকা ইরাক সিরিয়া লিবিয়া ভিয়েতনাম আফগানিস্তানে লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তে ক্ষতবিক্ষত লাখ লাখ শহীদি কারবালা বানিয়েছেন আমেরিকা ফিলিস্তিনে জঘন্যতম বর্বরতা চালাচ্ছে আমেরিকার অস্ত্রে অর্থে সজ্জিত ইসরাইল। লাখো শহীদের কবরস্থানে পরিণত করেছেন ফিলিস্তিনের মাঠি হাজার হাজারো বাড়ি ঘরের ধ্বংসযজ্ঞের উপর অবিরাম বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছেন বাধা হীন ভাবে ইসরাইলী যুদ্ধ বিমান গুলো। জাতীয় সংঘ ওআইসি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমেরিকার গনতন্ত্রের ভয়ে মার্কিন ডলারের ভয়ে সবাই জ্বী হুজুরের ভূমিকায়। রাশিয়ার ব্যাঙ্গ চিত্র নয়। এটি সত্যিকার চিত্রের ক্ষুদ্র অংশ। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ইরাকের উপর অবৈধ অস্ত্রের অজুহাত মার্কিন বাহিনীর গনহত্যা ধ্বংসযজ্ঞে পৃথিবী নিরভছিল। ইদুল আযহার দিনেই ইরাকের প্রেসিডেন্ট কে ফাসি দিয়েছিল আমেরিকা। পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বরতম নিকৃষ্ট উদাহরণ পাওয়া যাবেনা। আমেরিকার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদমুখর হওয়া লাশের ছবি বিশ্বের বিবেকবান মানুষ কে বিচলিত হতবাক করলেও আমেরিকার কিছু যায় আসেনা। গনতন্ত্রের দোকান খুলেছেন।ঐ গনতন্ত্রের দোকানে আমেরিকা গনতন্ত্র সম্মেলনে দক্ষিণ অনেক দেশ স্থান পান না। ইসরাইল গনতন্ত্রের ঠিকাদার তারা ঠিকই পান। আমেরিকার ন্যাক্কার জনক জঘন্যতম বর্বরতার চিত্রক প্রকাশ করার জন্যে অসংখ্য অসংখ্য বার অভিনন্দন। রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম ১৪ হাজার পরমানু বোমার শক্তিশালী ১ নম্বর দেশ। বিশ্বের দ্বিতীয় পরাশক্তি। ইরাক কিংবা লিবিয়া আফগানিস্তান ভিয়েতনাম নয়। এটি রাশিয়ার লৌহ মানব পুতিনের দেশ। রুশ দুতাবাসের সত্যিকার চিত্র ব্যাঙ্গ চিত্র নয়। পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার্থে চীন রাশিয়ার ভূমিকা সত্যিকার অর্থে আরো জোরালো হওয়া উচিৎ। ধন্যবাদ।দুতাবাসকে।
রাশিয়া নিজেই আক্রমণ করে ইউক্রেনে অনবরত হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন একটি স্বাধীন দেশ তারা ন্যাটোতে যোগ দেয়া না দেয়া তাদের ব্যাপার। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছার কারণে রাশিযা ইউক্রেনে হামলা করে বসলো। একটি দেশের উপর পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসন কোন দেশই মেনে নেয়ার কথা নয়। পশ্চিমারা তা-ই করেছে। এখন রাশিয়া বলছে পশ্চিমাদের কারণেই ইউক্রেনে হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে। এ যেন লেজ পারা দিয়ে ঝগড়া বাধানোর ইচ্ছা।
মানি মানুষের মান ঝাঁটা দিয়ে পেটালেও যায় না।
সময়ের উপযোগী সঠিক চিত্র।