ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

কোরিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য রেকর্ড ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে, বাংলাদেশে ডিজেল আমদানি বৃদ্ধি

তারিক চয়ন

(১ বছর আগে) ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ৪:৩৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল রেকর্ড ৩.০৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে যা ছিল ২.১৮৮৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৮.৭১% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে কোরিয়াতে বাংলাদেশের রপ্তানি ২২.৯% বেড়েছে। ২০২১ সালের ৫৫২ মিলিয়নের বিপরীতে ২০২২ সালে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭৮ মিলিয়ন। অন্যদিকে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে কোরিয়ার রপ্তানি ৪৪.১% বেড়েছে। ২০২১ সালের ১.৬৩৬ বিলিয়নের বিপরীতে ২০২২ সালে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২.৩৫৭ বিলিয়ন।

ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস সূত্রে আরো জানা গেছেঃ কোরিয়াতে বাংলাদেশের রপ্তানি ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো ১০০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করার পর থেকে তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০১১ সালে তা ২০০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৩ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছে। কিন্তু, তারপর প্রায় এক দশক ধরে সেটি স্থবির ছিল। করোনা মহামারীর বিরূপ প্রভাবে ২০২০ সালে ২.৯% হ্রাস পেয়ে সেটি ছিল ৩৯৩ মিলিয়ন ডলার। তবে, ২০২১ সালে আগের বছরের চেয়ে ৪০.৪% বৃদ্ধি পেয়ে তা ৫৫২ মিলিয়নে গিয়ে ঠেকে।

বিজ্ঞাপন
পরের বছরও (২০২২) আগের বছরের চেয়ে ২২.৯% বৃদ্ধি পেয়ে তা রেকর্ড ৬৭৮ মিলিয়নে গিয়ে ঠেকে।

কোরিয়াতে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ তৈরি পোশাক (আরএমজি), খেলাধুলা ও অবকাশের সামগ্রী এবং ব্রোঞ্জে স্ক্র্যাপস ইত্যাদি। কোরিয়ায় বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৩.২% ই হলো আরএমজি। ২০২২ সালে যার পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২৫.৮% বৃদ্ধি পেয়ে ছিল রেকর্ড ৫৬৪ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, কাগজের পণ্য এবং খাবার-দাবার যথাক্রমে ১৬৮.৬% এবং ১৬৫% বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৬ মিলিয়ন এবং ৩.১ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছিল। আর ব্রোঞ্জ স্ক্র্যাপ রপ্তানি ৪১.৮% বেড়ে ১৭.৭৬ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।

ওদিকে, বাংলাদেশে কোরিয়ার রপ্তানি ২০১১ সালে ১.৬৩ বিলিয়নে গিয়ে উঠলেও প্রায় এক দশক ধরে সেটি ১.২ বিলিয়ন ডলারে নেমে থমকে ছিল। ২০২০ সালে করোনাকালে সেটি আরো নেমে ১.০৩ বিলিয়ন ডলার হয়। এক দশকের স্থবিরতার পর ২০২১ সালে অবশেষে তা বেড়ে ১.৬৩৫ বিলিয়ন ডলার হয়, আগের বছরের চেয়ে ওই বছর যা ৫৮.৩% বৃদ্ধি পেয়েছিল৷ ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় ৪৪.১% বৃদ্ধি পেয়ে সেটি হয় ৭৩৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২১ এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশে কোরিয়ার রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ ছিল মূলতঃ দেশটি থেকে বাংলাদেশের ডিজেল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া। আগের বছরের চেয়ে ৭০৩.৮% বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে যেটি ৯৭২ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। ২০২১ সালে বাংলাদেশে কোরিয়ার ডিজেল রপ্তানি ৪৫০% বৃদ্ধি পেয়ে ছিল ১২১ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে কোরিয়ার অন্যান্য প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে যন্ত্রপাতি, পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য, ইস্পাত এবং কীটনাশক ইত্যাদি থাকলেও ২০২২ সালে সেগুলো হ্রাস পেয়েছে। এটি প্রধানত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর বৈদেশিক রিজার্ভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আরোপিত আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বলে মনে করা  হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২৩ সাল করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক হিসেবে চিহ্নিত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাত কোরিয়ার অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য নীতির সুবিধা গ্রহণ করবে যার অধীনে ২০০৮ সাল থেকে কোরিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য ৯৫% শুল্ক এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার লাভ করে। অপ্রচলিত বাজার কোরিয়ায় রপ্তানিতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কমপক্ষে ৪% নগদ প্রণোদনা পাওয়ার সুবিধাও দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status