অনলাইন
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার
এবার নীলফামারীর ৩ আইনজীবীকে তলব
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ দিন আগে) ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ২:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর আদালতে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ তিন আইনজীবীর প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তিন আইনজীবী হলেন- নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজুল হক, সহসভাপতি মো. আজহারুল ইসলাম ও আইনজীবী ফেরদৌস আলম। আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি নিজেদের ভূমিকার ব্যাখ্যা দিতে তাদেরকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদালত অবমাননার স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না এবং আদালত অবমাননার জন্য শাস্তি দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
নথিপত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৮শে নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় হাজতি আসামির জামিন এবং অপর আসামিদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেন নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার। এ আদেশ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ওই মামলায় নিয়োজিত তিন আইনজীবীসহ তাদের অপর সহযোগী আইনজীবীরা ‘মারমুখী ও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এজলাসের টেবিল চাপড়িয়ে বিকট শব্দে’ বিচারকের প্রতি বিভিন্ন উক্তি করে হামলা করার প্রয়াস চালান। পরের দিন গত ২৯ নভেম্বর বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর একটি চিঠি পাঠান। এতে ঘটনা অবহিত করার পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠাতে নির্দেশ দেন।
পাঠকের মতামত
আইন লংঘন কারী, আইনজীবী দের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, তা না হলে এটা চলতেই থাকবে। ও বিচারকরা জিম্মি হয়ে থাকবে।
ওরা আইনজীবী লিগ, শাস্তি কি হবে? দেখা যাক। অবশ্য আজ এর দায় বিচারকদেরো কম নয়।
অপরাধী আইনজীবী দের আইন পেশার লাইসেন্স বাতিল করা না হলে এটাই চলতে থাকবে । যখন আইনজীবী অপরাধ করে দেখে সবাই পেশায় নিয়োজিত আছেন তখন উৎসাহিত হয়।
শাস্তি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত এমন হচ্ছে। দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।