অনলাইন
পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার, ৪:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোল হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বড় বাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস ২০০০ টাকা, ছোট বাস ১৪০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২ হাজার ৮০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৩০০ টাকা, পিকআপ ১২০০ টাকা, কার/জিপ ৭৫০ টাকা ও মোটরসাইকেল আরোহীকে ১০০ টাকা গুনতে হবে । গত ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতুর জন্য টোল হার প্রস্তাব করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় সেতু মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমোদনের পর আজ তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সেতু বিভাগ থেকে যে টোল হার প্রস্তাব করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তা হুবহু অনুমোদন দিয়েছে।
সরকারের নির্ধারণ করা টোলের হার অনুসারে, বর্তমানে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হতে যে টাকা লাগে, সেতু পার হতে এর চেয়ে গড়ে দেড় গুণ বেশি টাকা খরচ করতে হবে। আর দ্বিতীয় দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলের সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে প্রায় দ্বিগুণ।
সরকার আগামী মাসের শেষের দিকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। আগেই ঢাকা-ভাঙ্গা পথে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে এই পথে যাতায়াতের সময় কমে এক ঘণ্টায় নেমে আসবে বলে সওজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রকাশ করেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৮ শতাংশ। নদী শাসনের কাজের অগ্রগতি ৯২ শতাংশ।
পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। সেতু চালুর আগে প্রকল্প প্রস্তাব আবার সংশোধন করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। তবে ব্যয় বাড়বে কি না এবং বাড়লে কত বাড়তে পারে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত
নিজের খরচে পদ্মাসেতু বানানো হয়েছে। তাহলে নিজের সেতুতে উঠতে টোল ভাড়া দিতে হবে কেন বুঝতে পারছি না। নিজের বাড়ী থাকবো তাও ভাড়া দিতে হবে!!! মেইনটেন্যান্স খরচ হিসাবে কিছু চার্জ নিলেই তো হয়।
টোল সম্বাবনার চেয়ে বেশী হইছে । পদ্মা সেতুর আনন্দের এক ধাপ আঘাতের মত হইছে ।
'বর্তমানে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হতে যে টাকা লাগে, সেতু পার হতে এর চেয়ে গড়ে দেড় গুণ বেশি টাকা খরচ করতে হবে।' হয়ে গেল আরেক পশলা ভাড়া বাড়ানোর বন্দোবস্ত। জিনিস পত্রের দাম অতিরিক্ত নেয়ারও ভাল একটা উসিলা হয়ে যাচ্ছে। আর ব্রিজের গোঁড়ায় একটি চেতনার আওয়ামী লীগের জন্য একটি চাঁদার বাক্স বসিয়ে দিলেই ষোলকলা পূর্ণ হতে পারে।
নির্ঝঞ্ঝাট দশ মিনিটে পদ্মা পাড়ি দিতে দেড়গুন টোল ও ভাল । ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে না । নদী পারাপারের সময় ফেরির দুর্ঘটনার ভয় নাই । সময় সাশ্রয় হবে যার ফলে যানবাহন ট্রিপ দিতে পারবে বেশি । টোল দেশের কাজে লাগবে । ফেরিতে বরাদ্দ টোলের চেয়ে সব সময় বেশি টাকা নেওয়া হয় অভিযোগ পড়ি পত্রিকায় । সে হিসাবে ফেরির সম পরিমাণ টোল বলা যায় ।