অনলাইন
বিশ্বকাপে মুখোশের মাহাত্ম্য
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ৯ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার, ৬:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
ইনি কি ব্যাটম্যান? নাকি সুপারম্যান? একঝলক দেখলে অনেকেই হয়তো সেটাই ভাববেন। ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে ইনি আসলে ক্রোয়েশিয়ার তারকা জোসকো গারদিওল অথবা দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবলের পোস্টার বয় সন হিউং-মিন।
এই বছরের টুর্নামেন্টে সুপারহিরোর মতো মুখোশ পরা অনেক খেলোয়াড়ের মধ্যে এই দুজন বেশ বিখ্যাত হয়েছেন। না, এটি কোনো বিশ্বকাপ উদযাপনের অংশ নয়। তারা মুখোশ পরেছিল, চোখ এবং নাক ঢেকে রাখার জন্য, একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবে। ১ নভেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মার্সেইয়ের বিপক্ষে টটেনহ্যামের জয়ের সময় ৩০ বছর বয়সী সন হিউং-মিনের চোখে ফ্র্যাকচার হয়েছিল। চোট সারাতে বাঁ-চোখে অস্ত্রোপচার করে কাতার বিশ্বকাপে এই তারকার অংশ নেওয়া নিয়েই চলছিল শঙ্কা। তবে দেশের স্বার্থে এমন শারীরিক অবস্থা নিয়েও মাঠে নামতে প্রস্তুত সন। ঝুঁকি নিয়েও বিশ্বকাপ খেলতে নামেন টটেনহাম ফরোয়ার্ড। চিকিৎসক একটি উপায় বাতলে দিয়েছেন তাকে। তা হলো মুখোশ পরে খেলার।
বিশ্বকাপে প্রতিরক্ষামূলক মুখোশ পরেই মাঠে নামেন সন হিউং-মিন।
তবে সন একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন না যিনি প্রতিরক্ষামূলক মুখোশ পরে বিশ্বকাপে খেলছিলেন।জার্মানিতে তার ক্লাব আরবি লাইপজিগের হয়ে খেলার সময় মাথায় চোটের জেরে নাক ও চোখের সমস্যার কারণে গারদিওলও মাস্ক পরেছেন। তিউনিসিয়ার এলিস স্খিরি অক্টোবরে জার্মানির এফসি কোলনের সঙ্গে খেলার সময়ে তার গালের হাড় ভেঙেছিল, তাই তিনিও নাক এবং মুখের পাশ ঢেকে রাখতে মুখোশও পরেছিলেন ।
প্রথম গ্রুপ খেলায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাথায় আঘাতের পরে ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দ অনুশীলনের সময় একটি মুখোশ পরেছিলেন। যদিও পরের খেলাগুলিতে তিনি এটি না পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি ওয়েলসের বিপক্ষে ইরানের বি গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচটি মিস করেন তবে দলের চূড়ান্ত গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মুখোশহীনভাবেই খেলেছিলেন। মুখের আঘাত সারিয়ে মাঠে ফিরে আসা খেলোয়াড়দের জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই ধরণের মুখোশগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই মরসুমের শুরুর দিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শাখতার ডোনেটস্কের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় জার্মানি ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার সনের মতো একটি মুখোশ পরেছিলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আমরা হ্যারি কেন, রবার্ট লেভান্ডোস্কি, ভিক্টর ওসিমহেন এবং সার্জিও রামোসের মতো আলোচিত খেলোয়াড়দেরও মাঠে মুখোশ পরে থাকতে দেখেছি।