শিক্ষাঙ্গন
৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির আগে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আলাদা গণবিজ্ঞপ্তি ও বদলি চান
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার, ৫:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ। এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অসামান্য ও অনবদ্ধ সাফল্য রেখে আসছে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ ও চৌকস শিক্ষক মণ্ডলী। সারাদেশে প্রায়ই ৩০ (ত্রিশ হাজার) এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫(পাঁচ) লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত। সরকারের সকল রকম জাতীয় কর্মকাণ্ডে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অংশগ্রহণ থাকে। শিক্ষাবিদদের মতে, বাংলাদেশের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা সেক্টরকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এমপিওভুক্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা।
তারা বলছেন, আমাদের দেশে সরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সেক্টরের পাঠ্যসূচি ও কারিকুলাম একই ধরনের, কোন রকম পার্থক্য নাই। কিন্তু সরকারিদের সাথে আমাদের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রয়েছে আকাশ-পাতাল বৈষম্য। যা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈষম্য হল, বাড়িভাড়া,চিকিৎসা ভাড়া,শিক্ষা ভাতা ও বদলি প্রথা। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া পাই মাত্র ১০০০ (এক হাজার) টাকা,বড় পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশের কোন প্রান্তে এক হাজার টাকায় বাড়ি ভাড়া আছে? নামে মাত্র ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। শিক্ষকরা জাতির শিক্ষা নিয়ে গবেষণা ও খেলামেলা করে তাদের সন্তানের জন্যই শিক্ষা ভাতা নাই।
তারা আরো বলেন, আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বদলি।
চাকরি ছেড়ে দেবার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে এই বদলি না থাকার কারণে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষক দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ১২৫০০ টাকা বেতন দিয়ে এক দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করতেছে।
তাই এই শিক্ষকরা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি ও বদলি কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন। এই দাবিতে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত শিক্ষকদের বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শুক্রবার ও শনিবার তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শাহবাগে। তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আগে বেসরকারি এমপিওভুক্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদেরকে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির পূর্বে আলাদা গণবিজ্ঞপ্তি সুযোগ দিয়ে নিজ নিজ উপজেলায় বা নিজ নিজ জেলায় বদলির সুযোগ করে দেয়া।