বাংলারজমিন
সিলেটে বরুনা পীরের ইজতেমা আয়োজন নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৫ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
সিলেটে বর্তমান সময়ে যে ক’জন শীর্ষ উলামা রয়েছেন তার মধ্যে মুফতি মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক অন্যতম। গোটা দেশের আলেম সমাজে রয়েছে সুসংহত অবস্থান। মৌলভীবাজারের বরুনার এই প্রখ্যাত আলেম এবার সিলেটে ব্যাপক আয়োজন করছেন দু’দিনব্যাপী ইজতেমার। এই ইজতেমার আয়োজন করছে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম। এটি সিলেটের একটি প্রাচীন সংগঠন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ শাইখুল ইসলাম আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী (রহ.) অরাজনৈতিক এ সংগঠন প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। সংগঠনের ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এতে শরীক হচ্ছেন সিলেটের প্রায় সকল পর্যায়ের আলেম উলামারা। সিলেট শহরতলীর পারাইরচকের ট্রাক টার্মিনাল চত্বরে আয়োজিত ইজতেমার কাজ শুরু হয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে। সিলেটে আগামী ১৭ ও ১৮ই নভেম্বর- বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী ইজতেমা চলবে। আয়োজনের মিডিয়া কমিটির সদস্য নিয়ামত উল্লাহ ও আদনান শাহ গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- বৃহস্পতিবার বাদ ফজর সংগঠনের সভাপতি প্রখ্যাত আলেম মুফতি রশিদুর রহমান ফারুকের প্রারম্ভিক বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে দু’দিনের ইজতেমা। আর শুক্রবার বাদ জুম্মা শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এ মাহফিল শেষ হবে। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের দেওবন্দ থেকে আওলাদে রাসুল হযরত মাওলানা মাহমুদ আল মাদানী ও হযরত মাওলানা আশ্বাস রশিদীও উপস্থিত থাকবেন। এবারের ইজতেমার মূল আকর্ষণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার শেষ রাতে তাহাজ্জুদ, জিকির ও দোয়া। এটি পরিচালনা করবেন বরুনার পীর সাহেব নিজে। তারা জানান- শহরতলীর পারাইরচকের ট্রাক টার্মিনালে লক্ষাধিক মুসল্লির অবস্থানের জন্য বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে। বুধবার বিকালের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করা হবে। আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা শাব্বীর আহমদ ফতেহপুরী জানিয়েছেন- ‘১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের ছয় দফা কর্মসূচি হচ্ছে- ইসলামের দাওয়াত, সংগঠন, সুশিক্ষা, আত্মশুদ্ধি, সৃষ্টিজগতের সেবা, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা।’ এসব বিষয়কে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’। পথচলার ৭৭ বছর পূর্তিতে সিলেটে দুই দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। এরইমধ্যে অনুষ্ঠানস্থল সাজানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আগত মুসল্লিদের থাকা-খাওয়া ও সব সুযোগ-সুবিধাসহ প্রায় ৯০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসল্লি জমায়েত হওয়ার আশা করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।