অনলাইন
কোচিং না করায় শিক্ষার্থীর ওপর বর্বরতা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
(৩ দিন আগে) ১৪ মে ২০২২, শনিবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২২ অপরাহ্ন

শিক্ষকের কাছে কোচিং না করায় সাতক্ষীরার নলতা আইএইচটির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শুক্রবার রাত দশটার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা আইএইচটির একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম সোলায়মান হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে নাহিদ ও রশিদ কলেজের চারতলায় একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে জিআই পাইপ দিয়ে শরীরের স্থানে বেধড়ক পেটানো হয়। মাথায় কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। নির্যাতনের শিকার সোলায়মান পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মোহাম্মদ হানিফের ছেলে। তিনি আইএইচটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
সোলায়মানের সহপাঠী রিপন জানান, রেডিওলজি বিভাগের শিক্ষক সাইদ হাসানের নির্দেশে রাত ১০টার দিকে সোলায়মানকে ডেকে নিয়ে যায় নাহিদ, রশিদ ও রানা। তাদের মধ্যে নাহিদ ও রশিদ আইএইচটির ছাত্র এবং রানা ম্যাটসের ছাত্র। সেখানে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে মাখা ফাটিয়ে দেয়
পাঠকের মতামত
কোচিং বাণিজ্যের কারণে নীতি বান শিক্ষকদেরও সম্মান হানি হচ্ছে দুর্বৃত্ত টাইপের কিছু শিক্ষকের কর্মকাণ্ডের ফলে। কোচিং বাণিজ্যের ফলে অনেক শিক্ষক ক্লাসে ভালো মতো পড়ান না। অনেক শিক্ষার্থী ভয়ের মধ্যে থাকে কোচিং এ পড়তে না গেলে পরীক্ষায় উপযুক্ত নম্বর পাওয়া নাও যেতে পারে। ভয়ের কারণে মানসিক ক্ষতি হচ্ছে। কোচিং বাণিজ্য করে ঢাকা শহরের অনেক শিক্ষক একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। উত্তরোত্তর তাদের লোভের বলি হচ্ছে নিরীহ শিক্ষার্থীরা। কোচিং বাণিজ্যের ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে সীমিত পরিসরে এবং জ্ঞান অর্জনের চেয়ে জিপিএ পাওয়ার জন্য কোচিং থেকে কোচিং এ ছুটে চলছে। কোচিং বাণিজ্য একটা নৈতিক ও আর্থিক দুর্নীতি। এই দুর্নীতি দুদক ও প্রশাসনের সামনেই চলছে। কারো যেনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু এভাবে শিক্ষার্থীদের কোচিং বাণিজ্যের বলির পাঠা বানানো যায়না। সুতরাং, অনতিবিলম্বে সারাদেশের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।