বাংলারজমিন
সংবাদ সম্মেলন
আছমার হাত থেকে রেহাই পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মনিরুল
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবারযশোর সদর উপজেলার ঘুণির শাখারিপাড়ার বহুল আলোচিত মোছা. আছমা আক্তারের (৩৬) হাত থেকে রেহাই পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মনিরুল ইসলাম নামের এক যুবক। ওই নারীর মাদক ব্যবসা ও সেবন এবং এলাকায় আপত্তিকর কাজে বাধা দেয়ায় মিথ্যা মামলার ঘানি টানছেন তিনি। সেই সঙ্গে একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। গতকাল দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ভুক্তভোগী নিজেই।
লিখিত বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম বলেন, যশোর সদর উপজেলার ঘুণি গ্রামের আছমা আক্তার এলাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করতেন। একটার পর একটা বিয়ে করে অর্থ আদায়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া মাদক সেবনের ফলে উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করতেন। এমনকি সে নিজের আপন চাচাতো বোনকে দেবরের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে চরম নির্যাতন করেন। তাকে দিনের পর দিন ভাতের পরিবর্তে পশুখাদ্য খেতে দেন এবং এসিডে মুখ ঝলসে দেন। এ সকল বিষয়ে এলাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আছমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে স্বামী দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় তাকে জেলেও যেতে হয়। এ সকল ঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আছমাকে এলাকা ছাড়া করে। পরবর্তীতে যশোর আদালত সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে সে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলার ঘানি টানতে টানতে এবং নানা ষড়যন্ত্রের মুখে পড়ে নিজেকে নিঃস্ব দাবি করে ভুক্তভোগী বলেন, বর্তমানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় দিনমজুরি করে কোনোরকম জীবন-যাপন করছেন। তিনি মামলাবাজ ভয়ঙ্কর এই নারীর হাত থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, আমি এক যুগেরও বেশি সময় আমার স্বামীর সঙ্গে সংসার করছি। তার চরিত্রে আজ পর্যন্ত খারাপ কিছু দেখিনি। একের পর এক বিয়ে করে অর্থ হাতানো ভয়ঙ্কর ওই নারীর রোষানলে পড়ে আমাদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. মনিরুল ইসলাম মনিরের ছোট ভাই মো. অন্তর আহমেদ, প্রতিবেশী মো. নাজিম উদ্দিন, মো. জামাল হোসেন ও তার শাশুড়ি তাহমিনা খাতুন।
এ ব্যাপারে আছমা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মনিরুল ইসলাম নামের ওই যুবক তাকে বিয়ে করেছে। সে তার কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার সকল তথ্য প্রমাণ তার কাছে আছে।