বাংলারজমিন
চবিতে ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে না আসায়...
চবি প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণে এবং একইসঙ্গে ছাত্রলীগ না করার কারণে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের ২১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ভুক্তভোগী রেদওয়ান আহমাদ বলেন, গত রাতে একজন ছাত্রলীগ কর্মী আমাকে ডাকতে আসেন এক ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিন অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য। আমি সাংবাদিক পরিচয় দেয়ায় তারা আমাকে হুমকি দেয় এই বলে যে ছাত্রলীগ না করলে আবাসিক হলে থাকা যাবে না। এরপর আরশিল আজিম তিনি ২০১৮-১৯ সেশনের এবং তার সঙ্গে থাকা শোয়েব আতিককে মারধর করার নির্দেশ দিলে তারা কিছু না বলেই মারধর শুরু করে। এ সময় আমি সঙ্গে সঙ্গে বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিনকে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তিনি তাদের নিষেধ করার পরও সে আমাকে মারধর করে। তবে আবু বকর শুধু ঘটনাস্থলে ছিলেন, তিনি আমাকে মারধর করেননি। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আরশিল আজিম নিলয়, একই সেশনের নাট্যকলা বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শোয়েব আতিক। এরা দুইজনই শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের অনুসারী। এ বিষয়ে জানতে শোয়েব আতিক ও অভিযুক্ত আরশিল আজিমকে নিলয়কে একধিকবার কল দেয়া হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিন বলেন, সাংবাদিকদের গায়ে যারা হাত তোলে আমরা কখনোই তাদের সমর্থন করি না। ঘটনার সময় রেদওয়ান আমাকে কল দিয়েছিল। আমি নিষেধ করার পরও তারা ওর গায়ে হাত তুলেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা এর আগেও সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার তাদের শাস্তি দেয়া না হলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং নিয়মানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।