শেষের পাতা
কক্সবাজারে ডেঙ্গুর প্রকোপ
২৪ মৃত্যুর ২২ জন রোহিঙ্গা
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার কক্সবাজারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার। সর্বশেষ নুরুল আবছার (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই যুবক। তার বাড়ি টেকনাফে। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এরমধ্যে ২২ জনই রোহিঙ্গা ও ২ জন স্থানীয়। মৃত ২৪ জনের মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানীয় ২ জনসহ মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের; আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৩৪ জন। আর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তির রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার শহর ও রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। সেপ্টেম্বর মাস খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। যে বাসায় রোগী থাকে তার আশপাশের এলাকার মশানাশক ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দেন তিনি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, কক্সবাজারে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৩৯৬ জন। এরমধ্যে স্থানীয় ৭৪১ জন এবং রোহিঙ্গা ১২ হাজার ৬৫৪ জন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, বর্তমানে সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এপর্যন্ত ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন। এরমধ্যে স্থানীয় ৫২৬ জন ও রোহিঙ্গা ১৮৬ জন। ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ১২ জন মারা গেছে। এরমধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গা।
ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, আগে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ডেঙ্গু রোগী বেশি পাওয়া গেলেও এখন স্থানীয় ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলের নাজিরারটেক, সমিতির পাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া ও পাহাড়তলী এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।
তিনি আরও জানান, এমনিতেই বর্ষাকাল ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তার উপর কক্সবাজার পর্যটন এলাকা হওয়ায়, ভ্রমণে আসা অনেক পর্যটক আবাসিক হোটেলে মশারি ব্যবহার না করায় ঝুঁঁকি বাড়ছে। ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে কোনো ব্যক্তি কক্সবাজার এসে রাত যাপন করলে, তাকে কোনো মশা কামড়ানোর পর অন্য ব্যক্তিকে কামড় দিয়ে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে।