শেষের পাতা
গাজীপুরে প্রাইভেটকার থেকে শিক্ষক দম্পতির লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে শিক্ষক দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলেন- নগরের টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জিয়াউর রহমান মামুন ও তার স্ত্রী টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা মাহমুদা জলি। ওই শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুতে গাছা ও টঙ্গী এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর স্কুল থেকে প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজেদের প্রাইভেটকারযোগে নগরের কামারজুরী এলাকার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যায় নিহতের ছেলে তৌসিফুর রহমান মেরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ তাদের কথা হয়। এরপর থেকে তাদের মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। রাত গভীর হলেও ওই দম্পতি ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে এক কিলোমিটার দূরে খাইলকৈরের বগাটেক এলাকায় রাস্তার পাশে তাদের গাড়িটি দেখতে পায় ছেলে তৌসিফুর। এ সময় গাড়ির ভেতরেই তার বাবা ও মায়ের লাশ পাওয়া যায়।
স্বজনদের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের কেউ কেউ এতে স্কুলের আর্থিক লেনদেনের ঘটনা থাকতে পারে ইঙ্গিত করে তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সঙ্গে বিষ মাখিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। গাড়ি থেকে উদ্ধার করে তাদের প্রথমে স্থানীয় তায়ারুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করলে পরে তাদের মরদেহ পুলিশ নিয়ে যায় গাজীপুর গাছা থানায়। সেখানে সুরতহাল রিপোর্টের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। চিকিৎসকগণ বিকালে ময়নাতদন্ত করে মরদেহ দুটি নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের তদন্ত টিম কাজ করছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মরদেহ পাঠানো হয় হাসপাতাল মর্গে। তিনি জানান, আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেন নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল কিনা কিংবা পারিবারিক কোনো বিরোধ ছিল কিনা- এসব নানা বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম চলছে।