ঢাকা, ১২ মে ২০২৫, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

সিকৃবি’র সাবেক ভিসি জামালের বেপরোয়া দুর্নীতি

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১২ মে ২০২৫, সোমবার
mzamin

আওয়ামী লীগের শাসনের পুরোটাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরতে পরতে দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগসহ নানা কারণে আলোচিত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আর এসব দুর্নীতিতে যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত সেটি হচ্ছে প্রফেসর জামাল উদ্দিন ভূঞা। আওয়ামী লীগের শাসনের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও হয়েছিলেন। ভিসি থাকার সময় তিনি দু’হাতে দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের দিন তার ওপর ক্ষোভে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তার বাসভবনও ভাঙচুর হয়। জীবন বাঁচাতে ভিসি তখন আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্যান্টনমেন্টে। অনেক কাঠখড় পুড়ানোর পর তিনি ফিরেছেন ক্যাম্পাসে। তবে ভিসি পদ গেছে তার। পূর্বের শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এখন গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া কোনো রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়- জামাল উদ্দিন ভিসি থাকাকালে গবেষণা সামগ্রী খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিনা টেন্ডারে ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার কেনাকাটা দেখানো হয়েছে। মালামাল না কিনে প্রত্যেক বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে দাপট দেখিয়ে প্রত্যয়নপত্র নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জামাল উদ্দিন ভূঞা একইসঙ্গে ভিসি ও পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও  ওয়ার্কস) পদে থেকে নিজেই কার্যাদেশ দিয়েছেন। এই অনিয়ম কাজের সঙ্গে ‘পালক পুত্র’ সাবেক পিএসটু ভিসি সালাউদ্দিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আশোক বিশ্বাস ও উপপরিচালক খলিলুর রহমান জড়িত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাজ ই-টেন্ডারের মাধ্যমে করার নিয়ম থাকলেও ল্যাব যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল টেন্ডার দেখানো হলেও কোনো টেন্ডার ডকুমেন্ট অডিটের কাছে হস্তগত না হওয়ায় সরকারি অডিট দল আপত্তি দিয়েছে। জামাল উদ্দিন ভূঞা ভিসি হয়েও নিচের পদে দায়িত্ব পালন করে দায়িত্ব ভাতা নিয়েছেন। কৃষি বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা সিকৃবি’র নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন  সিকৃবি’র সাবেক ভিসি জামাল উদ্দিন ভূঞা। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার কয়েক কোটি টাকার হিসাব জমা দেননি তিনি। জামাল উদ্দিন ভূঞা ২০১১ সালে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালকের দায়িত্বে থাকাবস্থায় সিকৃবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সাময়িকী ছাপানো ও অন্যান্য খাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করলেও এ পর্যন্ত তার সমন্বয় দেননি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়া ভিসি তালুকদারের সময়ে ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা ৯৬ পদে অবৈধভাবে শিক্ষক ও কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে তখন সাদা দলের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মামলা করেন। এই মামলা মোকাবিলার অজুহাতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২২ লাখ টাকা অগ্রিম উত্তোলন করে নিজের পকেট ভারী করেন জামাল ভূঞা। ২২ লাখ টাকার এখন পর্যন্ত  সমন্বয় দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। অবৈধ জনবলের বেতনভাতা প্রদানের জন্য তৎকালীন সময়ে প্রকল্পের ১১ কোটি টাকা ধার নিয়ে অবৈধভাবে বেতনভাতা প্রদান করার অভিযোগ উঠে তখন। ২০০০ সালের ৯ অক্টোবর সহকারী প্রফেসর হিসেবে তিনি সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে যোগ দেন। জোট সরকারের আমলে মাত্র ২ বছর ৬ মাস ৫ দিনের মধ্যে তিনি সহযোগী প্রফেসর ও ১ বছর ২ মাস পর প্রফেসর হয়ে যান। যদিও চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রতিটি পদোন্নতিতেই ৫ বছর করে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল। ২০০৬ সালের ২রা নভেম্বর থেকে সিকৃবির প্রফেসর হিসেবে জামাল ভূঞা  নিয়োজিত আছেন। ২০০৯ সালের মার্চে প্রফেসর আউয়াল ভিসি হিসেবে যোগ দেয়ার পর জামাল ভূঞার ভাগ্য ফিরে যায়। একাধারে তিনি সিন্ডিকেট সদস্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক, আবার বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব হাতিয়ে নেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বড় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। ২০১০ সালে কোনো রকম নীতিমালা ছাড়াই ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ১০৭ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেন। জামাল ভূঞার দুর্নীতি ঠেকাতে না পেরে মাত্র দেড় বছরের মাথায় ২০১০ সালে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন ভিসি  ড. আউয়াল। একই বছরের ৯ই সেপ্টেম্বর নতুন ভিসি  হিসেবে যোগ দেন প্রফেসর  ড. শহিদ উল্লাহ তালুকদার। নতুন ভিসির প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন জামাল ভূঞা। এ কারণে তার অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা হয়নি। ২০২২ সালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে যোগদানের পর নিজের সব অবৈধ কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিতে শুরু করেন জামাল উদ্দিন ভূঞা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে শুধু প্রকল্প চলাকালীন সময়ের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৫ সালে। ওই বছরের ১৪ আগস্ট ৫টি পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। যেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২২ আগস্ট সকালে প্রকল্পটির পরিচালক প্রফেসর নজরুল ইসলামের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে- এ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার ক্ষেত্রেও কোনো প্রশাসনিক অনুমোদন নেননি প্রকল্প পরিচালক। ২০১৫ সালের ২২শে আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা শেষে যাদের নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়, তাদের মধ্যে প্রকল্পের পরিচালক ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর নজরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলামকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য প্রফেসর জামাল উদ্দিন ভূঞা তার বোনের ছেলে আব্দুল রকিব রাব্বুকে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সহযোগী প্রফেসর রানা রায়ের ছোট ভাই বাপ্পা রায়সহ ৫টি পদে অস্থায়ী নিয়োগ দেন। পরীক্ষার পরদিন ২৩ আগস্ট সবাইকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তারা যোগদান করেন। ২০১৮ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়। চুক্তি অনুযায়ী তাদের চাকরিও শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্প শেষ হওয়ায় তাদের বেতনভাতাও বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই পরিচালক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম নিজের ছেলেসহ ৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্তীকরণের জন্য চিঠি চালাচালি শুরু করেন। একটি কমিটিও হয়। সেই কমিটির সদস্য সচিব হন জামাল উদ্দিন ভূঞা। কমিটির আলোচ্য সূচি ছিল এই প্রকল্পকে জনবলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী অঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ। কিন্তু ২০১৯ সালের শুরুতে প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতে নেয়া হলেও আগে যোগদান করা অস্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ করা যায়নি। সে বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি আইকিউএসি দপ্তরে সেকশন অফিসার, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, অফিস সহকারী ও সাপোর্ট স্টাফের জন্য জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি প্রফেসর মতিয়ার রহমান হাওলাদার। এতে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অস্থায়ী ৫ জনও আবেদন করেন। প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতে নেয়ার পর তিনি  সরকারি বিধিমালা মেনে নতুন করে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিলেন; কিন্তু  নিয়োগ দিতে পারেননি। পরপর দুই উপাচার্য যে অবৈধ কাজটি করতে পারেননি, তা করে দেখিয়েছেন জামাল উদ্দিন ভূঞা। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫ বছর আগে চাকরি শেষ হওয়ার পরও নিজের বোনের ছেলেসহ ৫ জনকে ২০২৩ সালের ১৮ই জুন ৪২তম সিন্ডিকেটে তুলে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরাসরি আত্তীকরণ করেন। অভিযোগ রয়েছে- ২০২৩ সালে অনিয়মের মাধ্যমে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী, ড্রাইভার ও হেলপার পদে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ২১ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও। বর্তমানে যাদের বেতন ইউজিসি বন্ধ রেখেছে। কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে  সাবেক ভিসি  প্রফেসর  ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তার ‘পালকপুত্র’খ্যাত সাবেক পিএস সালাউদ্দিন আহমেদ, ‘উকিল বাবা’খ্যাত  সাবেক সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলমসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নিয়োগে আপন ভাতিজাসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন জামাল ভূঞা। আর পিএস সালাউদ্দিনের তিন আত্মীয় নিয়োগ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি মতিয়ার রহমান হাওলাদার। কিন্তু ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে ভিসি হিসেবে যোগ পান জামাল উদ্দিন। এরপর  ২০২৩ সালের এপ্রিলে একাধিক  বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৬৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই নিয়োগে ভিসির আপন ভাতিজা আরাফাত ভূঞা, আত্মীয় রমজান ভুইয়া, মো. শাহ আলম, মো. আব্দুল কাজল মুন্সি, মানিকুর রহমান, মো. এনায়েতুল্লাহ, হাসিন রায়হান ফাহিম নিয়োগ পান। এ ছাড়া অতিথি ভবনের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পান বর্তমান স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময় শিক্ষার্থী ছিলেন সাবেক ভিসির পিএস সালাউদ্দিন। নিজেকে  সাবেক ভিসির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করেন তিনি।  কথিত এই ‘পালকপুত্রের’ তিন আত্মীয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি পেয়েছেন। তারা হলেন ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে মো. আবুল হাসেম ও মো. আবুল খায়ের এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সামছুজ্জামান। ভিসির দ্বিতীয় বিয়েতে ‘উকিল বাবা’ ছিলেন সাবেক সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলম। তিনিও ভিসির ঘনিষ্ঠ। এবারের নিয়োগে তার সুপারিশে আব্দুর রহিম নামের একজন সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুকের মেয়ে মোছা. তাহেরা আক্তার মিলিকে অফিস সহায়ক পদে, সার্টিফিকেট জালিয়াতি (বয়স টেম্পারিং) করে পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামার বোন অর্পনা কুমারী বুক সর্টার পদে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরুর স্ত্রী মোছা. শাহনাজকে সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরুর মাধ্যমে আরও দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকারের শ্যালক জয় দাস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অশোক বিশ্বাসের শ্যালিকা স্মিতা দে মমিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি দেয়া হয়েছে। অফিস সহায়ক পদে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সিকৃবি শাখার সভাপতি আশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল ইসলামের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বিশ্বজিৎ দেব এবং সহকারী বাবুর্চি পদে মো. মোবারক আলী নিয়োগ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে সাবেক ভিসি জামাল উদ্দিন ভূঞা মানবজমিনকে জানিয়েছেন- বিনা টেন্ডারে কোটি টাকার কাজ কখনো হয়নি। ৫ই আগস্ট ভিসি থাকাকালীন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাকে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছিলো। বাসাও ভাঙচুর হয়েছে। কিছু দিন ক্যান্টমেন্টে আশ্রয়ে ছিলেন। তিনি বলেন- টেন্ডারের কাগজপত্র সবই দপ্তরে আছে। হয়তো বর্তমানে যারা আছেন তারা পাননি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটি সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি। 
 

পাঠকের মতামত

সে তো চারিত্রিকভাবে অসত এবং ভন্ড। তার বউয়ের সাথে মিলে না।সে একজন সমকামী। ২০১৮ সালে সে আমাকে তার খারাপ ইচ্ছা পুরণ করতে চেয়েছিল।

রানি
১২ মে ২০২৫, সোমবার, ৬:০৩ পূর্বাহ্ন

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status