অনলাইন
লিভ-ইন সম্পর্ক মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের পরিপন্থী: এলাহাবাদ হাইকোর্ট
মানবজমিন ডিজিটাল
(৯ ঘন্টা আগে) ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, ২:১৭ অপরাহ্ন

বর্তমান যুগের নাগরিক সভ্যতায় বহু যুগল পাকাপাকিভাবে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান না। তারা বেছে নিচ্ছেন লিভ-ইন সম্পর্ক। সম্প্রতি এই লিভ-ইন সম্পর্ককে ভারতের মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
একটি জামিনের আবেদনের শুনানিতে আদালত বলেছে, লিভ-ইন সম্পর্ক ছেদে নারীরাই সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহ নিরপেক্ষ সম্বন্ধ চালিয়ে যাওয়া ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজ-মানসিকতার পরিপন্থী। এলাহাবাদ হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি সিদ্ধার্থের এজলাসে মামলাটির শুনানি চলছিল।
আদালতে শানে আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা ও পকসো আইনে মামলা করা হয়েছিল। যার ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল শানে আলমকে। অভিযোগ আলম এক নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এবং পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। ওই নারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, অভিযুক্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার মক্কেলকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। কিন্তু শেষমেশ বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। এতে ওই নারীর জীবন ধ্বংসের কিনারায় এসে ঠেকেছে। কারণ ওই নারীকে এখন আর কেউ বিয়ে করতে রাজি হবে না।
আদালত অবশ্য শানে আলমের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দিয়েছে তবে একইসঙ্গে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে যে, এ ধরনের মামলা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আদালতের অভিমত, লিভ-ইন সম্পর্ককে শীর্ষ আদালত আইনি স্বীকৃতি দেয়ার পর এমন মামলা নিয়ে বিচার ব্যবস্থা বিরক্ত। আসলে ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজের কাছে এমন সম্পর্ক আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। আর সেই কারণে আদালতে এই ধরনের মামলা ভুরি ভুরি আসছে। এমন সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে নারীদের ক্ষতি হয়। কারণ পুরুষ অন্যত্র সরে যেতে পারে। এমনকী বিবাহের পরেও। কিন্তু সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর কোনও নারীর পক্ষে সহমর্মী সহযোগী পাওয়া কঠিন।
সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড