অনলাইন
সহযোগীদের খবর
নিজেদের মামলা তদন্তে ‘বেশি সতর্ক’ পুলিশ
অনলাইন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম- ‘নিজেদের মামলা তদন্তে ‘বেশি সতর্ক’ পুলিশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৭৬১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় পুলিশের ১ হাজার ১৬৮ সদস্যও রয়েছেন।
তাদের মধ্যে পুলিশের কয়েকজন সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) থেকে শুরু করে কনস্টেবল পদের সদস্যরা রয়েছেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর কিংবা গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দেড় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৪২ জন। ঘটনার প্রায় ১১ মাস পরও কোনো মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। ফলে তদন্ত নিয়ে ধীরে চলার অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।
তবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, এসব স্পর্শকাতর মামলা। পুলিশ সদস্যরা আসামি থাকায় তদন্ত করতে হবে নির্ভুল। কারণ, তাদের বেশিরভাগ বাহিনীতে কর্মরত থাকায় তাড়াহুড়োর তদন্তে ভুল হলে বাহিনীতে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে।
তাই প্রশ্ন ও বিতর্কমুক্ত রাখতে মামলাগুলোর তদন্ত ধীরেসুস্থে করতে চান তারা। একই কারণে কর্মরত সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ না পেলে গ্রেপ্তারও করা হবে না।
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আটটি রেঞ্জেই অতিরিক্ত ডিআইজি (অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) পর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। একটি মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ৪৬ সদস্য নিহত হন।
সমকাল
দৈনিক সমকালে প্রধান শিরোনাম- ‘অর্থনীতির প্রাণ ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ অথবা কর্মসংস্থানে নেই। এ হিসাব বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর।
বিপুলসংখ্যক নিষ্ক্রিয় জনগোষ্ঠীর অর্ধেককেও কাজে লাগানো গেলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটানো সম্ভব। এ জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প হলো ছোট ছোট উদ্যোগ এবং তার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন।
দেশে প্রতিবছর অন্তত ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে আসছে। কিন্তু তাদের অনেকের জন্য আনুষ্ঠানিক খাতে কোনো কাজের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। আবার নিজ উদ্যোগে কিছু করার সুযোগও খুব কম।
বিশ্বের অনেক উদীয়মান দেশে বিশেষত পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো তরুণদের দক্ষতা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের বিস্তৃত কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ অর্থনৈতিক শুমারির (২০২৪) প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী দেশে ১ কোটি ১৮ লাখ অর্থনৈতিক ইউনিট রয়েছে।
বিবিএস এখনও শুমারির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। তবে দেশের অর্থনৈতিক ইউনিটের বেশির ভাগই ক্ষুদ্র উদ্যোগ। অধিকাংশ উদ্যোগে একজন ব্যক্তি সম্পৃক্ত। অর্থনৈতিক ইউনিটের মধ্যে ৬২ লাখ স্থায়ী এবং ৬ লাখ ক্ষণস্থায়ী।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমএসএমই একটি শ্রমনিবিড় ও স্বল্প পুঁজিনির্ভর খাত। উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এমএসএমইর অবদান অনেক।
অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও সিএমএসএমই খাতের বিকাশ ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রথম আলো
‘এনবিআরে তালা, সেবা বিঘ্নিত’ - প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্কার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অচলাবস্থার নিরসন হয়নি; বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে কলমবিরতি পালন শুরু করেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পৌনে ১২টার দিকে এনবিআর প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন। এ সময় এনবিআর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনবিআর ফটকগুলোতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এর পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেননি, বের হতেও দেননি। ফলে আন্দোলনকারীদের একাংশ ভেতরে আটকে পড়ে। আরেক অংশ প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২টার পর থেকে এনবিআরে কার্যত কোনো কাজ হয়নি।
এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
উদ্দেশ্য হলো, করহার নির্ধারণের মতো নীতিগত কাজ এবং কর আদায়ের কাজ পৃথক রাখা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের একটি শর্ত ছিল রাজস্বনীতি ও আদায়ের কাজে আলাদা সংস্থা করা।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে গতকাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, আন্দোলনে রাজস্ব আদায় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “যেকোনো ধরনের সংস্কার করি, আইন করি বা আন্দোলন ও সংগ্রাম করি, সবই যেন আমাদের নিজেদের জন্য না হয়ে দেশের জন্য হয়।”
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাণিজ্য, বন্দর ইত্যাদি হলো অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ (চালিকা শক্তি)। লাইফ লাইন চালু রাখতে কাজ করে এনবিআর। জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনীতির দৃষ্টিতে বলা যায়, এনবিআরে অচলাবস্থায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।
তিনি বলেন, এই অচলাবস্থা দূর করতে হবে। আলোচনা ছাড়া সমাধানের পথ নেই।
যুগান্তর
যুগান্তর পত্রিকায় প্রধান শিরোনাম- ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক ভোটের তারিখ ঘোষণার আভাস’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি শিগগির জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট হতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠকের মধ্য দিয়ে এমন আভাস মিলেছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কয়েকজন এমনটিই মনে করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে কোনো তরফ থেকে ব্রিফ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, ‘সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে বলে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।
সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু আমাদের সংবিধানের যে নিয়ম ছিল, সেটা এখন আর কার্যকর নেই।
সে কারণে আমার ধারণা-প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে সিইসি সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন এবং সেটা অফিশিয়ালি ফেব্রুয়ারির কথাই জানিয়েছেন। এখন নির্বাচন কমিশন সুবিধামতো একটা ঘোষণা দেবে। আমার মনে হয় বেশি দেরিও করবে না।
আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, লন্ডন বৈঠকের পর দুই পক্ষ থেকেই বলা হয়-আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং সেখানে ফেব্রুয়ারির বিষয়ে একটা আভাস ছিল।
কালের কণ্ঠ
‘জাতির উদ্দেশে ভাষণে খামেনি বললেন- যুক্তরাষ্ট্রকে কষে চড় মেরেছি’- কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির দুই দিন পর জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি ‘বিজয়ের’ জন্য মহান আল্লাহ পাকের শুকরিয়ার পাশাপাশি দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর জাতির উদ্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার টিভিতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “ভুয়া ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
“ইসরায়েল পরাজিত হয়েছে এবং ইসলামিক রিপাবলিকের ধাক্কায় চূর্ণবিচূর্ণ ও ধ্বংস হয়েছে। ইহুদিবাদীরা অনেক উচ্চবাচ্য করলেও ইরানের ধাক্কায় তারা পতনের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল।”
এই ধর্মীয় নেতা স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেন, ইরান তার সামরিক দক্ষতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে কষে চড় মারতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, “মার্কিন সরকার যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হয়েছিল, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল, যদি তারা হস্তক্ষেপ না করে তাহলে ইহুদিবাদীদের পতন ঘটবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন কোনো কিছু অর্জন করেনি। এখানে বিজয়ী হয়েছে ইরান এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে চূড়ান্ত আঘাত করেছি।”
ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠার পর থেকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ঘিরে বাড়তে থাকে নিরাপত্তাবলয়। ইসরায়েল-আমেরিকার হামলার পর এখন একটি বিশেষ বাহিনী খামেনির নিরাপত্তার দায়িত্বে এসেছে।
ইউকে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেহরানের প্রশাসনের কিছু উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, খামেনির নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খামেনির নির্দেশ ছাড়া ইরানে ধর্মীয় বা প্রশাসনিক কোনো কাজই হয় না। সামরিক বিষয়েও তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। তাই মনে করা হয়ে থাকে, ইরানের সেনাবাহিনীকে কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর নির্দেশ খামেনিই দিয়েছিলেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় একাধিকবার অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি দিয়েছেন খামেনি।
রয়টার্স জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন এবং অভিজাত ভালি-ইয়ে আমর ইউনিট তাকে সুরক্ষিত রেখেছে।
বণিক বার্তা
বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রধান শিরোনাম- ‘রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ ইস্যুতে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি: আমদানি-রফতানি বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে গত মে মাসে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কাজ বন্ধ রেখে শুরু করেন কলমবিরতি। চরমভাবে ব্যাহত হয় দেশের আমদানি কার্যক্রম। লাগাতার এ আন্দোলনে পিছু হটে সরকার।
আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের আশ্বাসে স্থগিত হয় আন্দোলন। কিন্তু ঈদুল আজহার ছুটির পর এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ইস্যুতে ফের মাঠে নেমেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনের কারণে প্রভাব পড়েছে বন্দরের কার্যক্রমে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে গতকাল সরজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর ফলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় শুল্কায়ন কার্যক্রম হয়েছে ১০ শতাংশের মতো। তবে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
এরই মধ্যে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলোয় কাঁচামাল ছাড় করতে না পারায় উৎপাদন ব্যাহত হতে শুরু করেছে বলে তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যালবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত বণিক বার্তাকে বলেন, “দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখলেই এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়। আর শুল্কায়ন কার্যক্রমে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে এটা ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন বড় ক্ষত তৈরি করবে।”
আমদানি বন্ধের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হলে দেশের অর্থনীতিকেও এর খেসারত দিতে হবে বলে মনে করছেন প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক।
বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, “এমনিতে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনায় রীতিমতো যুদ্ধ করছেন দেশের উদ্যোক্তারা। এমন সময় রাজস্ব কর্মকর্তারা যদি কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচিতে যান সেটি আমাদের কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।”
নয়া দিগন্ত
‘আমেরিকায় নত হবে না ইরান’- নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইরানের কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
কর্মকর্তারা ও আন্দোলনকারীরা রয়টার্সকে জানান, ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো রাস্তায় চেকপয়েন্টগুলোকে ঘিরে অবস্থান জোরদার করে ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। খবর রয়টার্সের।
ইসরাইলের অনেকে ও ইরানের নির্বাসিত সরকারবিরোধী গোষ্ঠীগুলো আশা করেছিল, ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যস্থল করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ইরানজুড়ে ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থান দেখা দেবে এবং বিক্ষুব্ধ জনতা দেশটির ইসলামিক শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটাবে।
কিন্তু বাস্তবে সেরকম কিছু হয়নি।
দেশজুড়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবাদ এ সময় দেখা যায়নি। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত এক ঊর্ধ্বতন ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আরও দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার হুমকির দিকে নজর দিয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির দুই দিন পর নীরবতা ভাঙলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এক্স পোস্টে খামেনি বলেন, “প্রতারণাপূর্ণ জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিজয় উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
আল জাজিরা জানায়, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির দোরগোড়ায়, অভিযোগ তুলে গত ১৩ জুন রাজধানী তেহরান ও অন্যান্য এলাকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। এই অভিযানের জবাবে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা শুরু করে ইরানও।
ইরান-ইসরাইলের এ সঙ্ঘাত শুরুর ১০ দিন পর ২২শে জুন মধ্য রাতে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বিমান বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড এ অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘দ্য মিডনাইট হ্যামার’।
পাঠকের মতামত
পুলিশের মামলার তদন্ত শুধু ভালোভাবে করতে হবে আর জনতার মামলার তদন্ত তাইরে নাইরে করলেও হবে? এমন দেশে জন্ম হওয়া অভিশাপ লাগছে নিজের কাছে।