অনলাইন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন
নির্বাচনের বিষয়ে আলাপ হয়েছে কি না তা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ ঘন্টা আগে) ২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৮:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৪০ অপরাহ্ন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাতে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি আলাপ হয়েছে কি না তা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সাক্ষাৎ হয়েছে, এটা পত্রিকান্তরে দেখলাম। লন্ডন বৈঠকের পরে আমরা আহ্বান করেছিলাম, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে লন্ডন বৈঠকে যেটা সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য, সেই ম্যাসেজটি তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অফিসিয়ালি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অথবা নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। সেই জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাৎ হয়েছে এটা প্রকাশিত হওয়ার পরে আমরা আশা করেছিলাম, হয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে অথবা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে প্রেসকে কিছু জানানো হবে, কী বিষয়ে আলাপ হলো, কী বিষয়ে বৈঠক হলো। সবাই এখন আমরা ধারনা করে নিচ্ছি প্রধান উপদেষ্টা তার ম্যাসেজটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন, ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহনের বিষয়ে, এটা আমাদের ধারনা।
সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা জানি না সত্যি সত্যি উনি এই পরামর্শ দিয়েছেন কিনা বা ইনস্ট্রাকশন দিয়েছেন কি না। যদি উভয় পক্ষের থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয় জাতির সামনে তাহলে আমরা আশস্ত হবো।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কয়েকবারই বলা হয়েছে তাদের সমস্ত প্রস্তুতি সেপ্টেম্বরের ভেতরে সমাপ্তি হয়ে যাবে এবং প্রকিউরমেন্টের যাবতীয় কার্যক্রম সেপ্টেম্বরের ভেতরে সমাপ্ত করতে পারবে। এরকম অনেক বক্তব্য আমরা শুনেছি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ইতিপূর্বে জুলাইয়ের মধ্যে তারা সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবেন এরকম কথাও আমরা শুনেছিলাম। যেহেতু প্রকিউরমেন্ট প্রসিডিউর অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে এবং সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য তারা সকল কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছেন, সেই হিসেবে বলা যায় সেপ্টেম্বর এনাফ টাইম। নির্বাচনের জন্য যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন সেটা হচ্ছে যে, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, হালনাগাদ করা- সেটা হয়ে গিয়েছে এবং অন্যান্য যেসমস্ত বিষয়াদি আছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন সামগ্রি ক্রয়, সেটাও তারা করে ফেলেছেন।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আর বাদ বাকি যেটা আছে ডিলিটেশন সেটা তিন মাসের মধ্যে সমাপ্ত করা যায়। এরপরে তফসিল ঘোষণার পরে অনেক কার্যক্রম থাকবে পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগসহ ভোট কেন্দ্র ঠিক করা, ট্রেনিং করা এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। এগুলোর জন্য প্রস্তুতি লাগে না।
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে তারা অনেক কথাই বলতে পারে। কিন্তু সেটা সম্মত হয়েছে যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মোটামুটি সব দলই একমত। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত অথবা ঘোষিত না বললেও সম্মত বলা যায়, যে সময় সেই সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সব পক্ষ এবং সব রাজনৈতিক দল একমত। দ্বিমত তো হতে দেখিনি কাউকে। যদি তাই হয়, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা বা আয়োজন করা, এটা এক প্রকার অসম্ভব। কারণ প্রতিটি স্তরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে গেলে কমপক্ষে ৬ মাসের বেশি সময় লাগে, সেটা ইউনিয়ন পরিষদ হোক, পৌর সভা হোক, উপজেলা পরিষদ হোক, সিটি করপোরেশন হোক। এটা একটা হিউজ কর্মযজ্ঞ।
পাঠকের মতামত
নির্বাচন নির্বাচন করে পাগল হয়ে গেছে এরা!