প্রথম পাতা
অস্থিরতা কাটছে না সচিবালয়ে
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলন থামছে না। তারা এ আন্দোলন এক মাসে পার করেছেন। এতে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ে অস্থিরতা কাটছে না। অধ্যাদেশকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখেও সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ পুরোপুরি বাতিল না করে তা সংশোধনের পথে এগোচ্ছে সরকার। অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে এবং কর্মচারীদের আপত্তি রয়েছে এসব ধারা প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও ব্যাখ্যা শেষে নতুন করে অধ্যাদেশ জারি করার চিন্তা করা হচ্ছে।
সরকারের দুজন উপদেষ্টাই বলেছেন, এই অধ্যাদেশটি কিছু ক্ষেত্রে অপব্যবহারের আশঙ্কা আছে। অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকার একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তায় আছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব। সেই কমিটি কাজ করছে।
গত ২৫শে মে জারি হওয়া মূল অধ্যাদেশে চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য বিভাগীয় কার্যক্রম ছাড়াই কেবল একটি কারণ দর্শানোর নোটিশের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসন ক্যাডারসহ অন্যান্য ফোরামের প্রতিবাদ শুরু হয়। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অধ্যাদেশটি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রধান করে গত ৪ঠা জুন একটি কমিটি করে সরকার। পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা গত ১৬ই জুন প্রথম সভা করেছেন।
সংশোধনের খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে। কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সংশোধনের ফলে যেন কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়।