প্রথম পাতা
হরমুজ প্রণালি বন্ধে জ্বালানির বাজারে কী ঘটবে?
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবারইরান ও দখলদার ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। এর মধ্যেই ইরানে আগ্রাসী হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। ইতিমধ্যেই প্রণালিটি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে। কারণ বিশ্ব জুড়ে তেল সরবরাহের জন্য এই প্রণালি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে হু হু করে বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম। বৈশ্বিক জ্বালানির বাজারে দেখা দেবে নৈরাজ্য।
পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ হলে এর মারাত্মক ধাক্কা থেকে বাংলাদেশও রেহাই পাবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ কাতার থেকে কেবল এই প্রণালি দিয়েই এলএনজি আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে। এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের শিল্প-কারখানাসহ সব খাতে। বিকল্প জলপথ না থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাহিদার অর্ধেক জ্বালানি আটকে যাওয়ার শঙ্কা বিশ্লেষকদের। প্রথম সপ্তাহেই তেলের দাম ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ৩৪ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই জলপথ চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশেরও।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল কাওসারি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ। ওদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকার হামলার পর বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।