ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

বাংলারজমিন

সাদুল্লাপুরে পেনশন আটকে থাকা শিক্ষকের অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা বন্ধ

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

নিভৃত এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জালাল উদ্দিন। চাকরি করছিলেন এমপিওভুক্ত দাখিল মাদ্রাসায়। এরই মধ্যে তার ছেলে ইয়াহিয়া সরকার (২৮) জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এ ছেলের চিকিৎসাসেবায় নিঃস্ব পরিবারটি। ইতিমধ্যে নষ্ট হয়েছে হার্টের দুইটি ভাল্ব। সুস্থ করতে দরকার ৪ লাখের বেশি টাকা। তুলতেও পারছেন না আটকে থাকা সেই পেনশনের টাকা। ফলে বন্ধ রয়েছে ছেলের সুচিকিৎসা। এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ইয়াহিয়া। সোমবার দুপুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে দেখা গেছে- জালাল উদ্দিনের পরিবারে অসহায়ত্বের দৃশ্য। রোগাক্রান্ত ইয়াহিয়াসহ সবার মলিন মুখ। চরম হতাশার চোখে তাকিয়ে তারা। 
জানা যায়, সাদুল্লাপুরের চকশালাইপুর দাখিল মাদ্রাসায় জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন জালাল উদ্দিন। স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও দুই মেয়ের নিয়ে তার ৬ সদস্যের পরিবার। চাকরিরত অবস্থায় যেটুকু বেতন-ভাতা পেতেন তা খেয়ে-পরেই শেষ। নেই কোনো গচ্ছিত টাকা কিংবা সহায় সম্পদ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর অবসরে গেছেন জালাল উদ্দিন। কল্যাণ ট্রাস্ট ও পেনশনের টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে তার ছেলে ইয়াহিয়া সরকার জটিল রোগে আক্রান্ত। তার ওষুধের টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে শিক্ষক জালাল উদ্দিনকে। বিভিন্নভাবে ঋণ করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। এরপর ঢাকার উত্তরায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেয়া হয়। এখানকার চিকিৎসক ডা. ইব্রাহীম জানিয়েছেন ইয়াহিয়ার দুইটি ভাল্ব নষ্ট হয়েছে। তার উন্নতি চিকিৎসা জরুরি। এতে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হবে। ইতিমধ্যে এই ছেলেকে সুস্থ করার চেষ্টায় একেবারে নিঃস্ব হয়েছে পরিবারটি। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ছেলেকে বাঁচাতে দানশীল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চাচ্ছেন ইয়াহিয়ার বাবা-মা। 
এ বিষয়ে চকশালাইপুর দাখিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র শিক্ষক ও ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে ইয়াহিয়া সরকার এখন মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়িতে শয্যাশায়ী। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। এ ছাড়া এক মেয়েকে পাত্রস্থ করানোর পর তার উপহার সামগ্রীও দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি পেনশনের টাকাও আটকে আছে। যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ছেলেকে সুস্থ করতে মানবিক ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করছি।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

দেনমোহর কমাতে অভিনব কৌশল/ তালাকের পর আবার বিয়ে, কিছুই জানে না গৃহবধূ

প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি নেতার পরকীয়া/ রাতভর গাছে বেঁধে রাখার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status