বাংলারজমিন
তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা চিহ্নিত ডাম্পিং কার্যক্রম ধীর গতিতে ক্ষোভ
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পাউবো’র প্রস্তুতি চলছে। নদীর পাড় ঘেঁষে সারি সারি জিও ট্রেক্সটাইল ব্যাগে বালুভর্তি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু ডাম্পিং কার্যক্রম ধীর গতিতে চলায় তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ভাঙন শুরু হলে এসব বালুভর্তি জিও ট্রেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন রোধে তেমন কোনো কাজ হয় না। অথচ সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিস্তা অববাহিকার দলদলিয়া, থেতরাই, গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিলেও শুধুমাত্র থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নের ১৩টি স্পট ভাঙনের সম্ভাবনা দেখিয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে পাউবো। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ১৩টি গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিলেও তারা শুধু জিও টেক্সটাইল ব্যাগে বালুভর্তি করে সারি সারি করে রেখেছেন। এসব ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে বলে কুড়িগ্রাম পাউবো জানায়।
জানা গেছে, থেতরাই ইউনিয়নের কুমারপাড়া ও বামনপাড়া এলাকার ৯০০ মিটার ও বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামারহাট থেকে কালপানি বজরা পর্যন্ত ২১০০ মিটার চিহ্নিত ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য ২ লাখ ৭০ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সরজমিন থেতরাই ইউনিয়নের কুমার পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ। কবে ডাম্পিং করা হবে তাও নিশ্চিত না ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। পাশেই ডাম্পিং করা জিও টেক্সটাইল ব্যাগের কাছ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ঠিকাদারিী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ফলে এসব এলাকা আবারও ভাঙনের কবলে পড়তে পারে বলে এলাকার মানুষজন জানান।
এ সময় কথা হয় অনেকের সঙ্গে। তাদের অভিযোগ, ভাঙনের তীব্রতা বাড়লে এসব জিও ট্রেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করেও সরকারের কোটি কোটি টাকার এসব প্রকল্প নদী অববাহিকার মানুষের কোনো কাজে আসে না। বছরের পর বছর এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও শত শত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন প্রতিবছর। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ায় ডাম্পিং কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এসব এলাকায় ডাম্পিংসহ অন্যান্য কাজগুলো শেষ হবে।