অনলাইন
কলম্বিয়ার পাহাড়ে কয়েক ডজন সৈন্যকে আটকে রেখেছে স্থানীয়রা
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ ঘন্টা আগে) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৫:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫৪ অপরাহ্ন
কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মাইকে ক্যানিয়ন এলাকায় স্থানীয় বেসামরিক লোকেরা ৫৭ জন সৈন্যকে অপহরণ করেছে। তারা জানিয়েছে, শনিবার ৩১ জন সৈন্যকে এবং রবিবার বাকিদের ২০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোকের একটি দল অপহরণ করেছে। সেনাবাহিনী বলছে, এই নাগরিকরা ফার্ক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ভিন্নমতাবলম্বীদের চাপে কাজ করছে, যারা ২০১৬ সালে সরকারের সাথে একটি শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল।
পাহাড়ি অঞ্চলটি কোকেন উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে দেশটির চলমান সংঘাতের মধ্যে এটি সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বিবৃতিতে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফেদেরিকো আলবার্তো মেজিয়া বলেছেন যে, সপ্তাহান্তে চারজন নন-কমিশনড অফিসার এবং ৫৩ জন সৈন্যকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্কের বৃহত্তম শাখা- ইএমসি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সম্ভবত অপহরণের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও ইএমসি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। জেনারেল এরিক রদ্রিগেজ কলম্বিয়ার সংবাদপত্র এল তিয়েম্পোকে বলেন যে শনিবার একজন সন্দেহভাজন ইএমসি বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তারের পর এই ঘটনাটি ঘটেছে। জেনারেল ব্যাখ্যা করেন সৈন্যরা যখন পাহাড়ি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিমানে তুলে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন তাদের ১০০ জনেরও বেশি লোক ঘিরে ফেলে। পরের দিন স্থানীয়দের একটি বৃহত্তর দল দ্বিতীয় সামরিক ইউনিটটি দখল করে নেয়। জেনারেল রদ্রিগেজ বলেন, সকল সৈন্যকে একই স্থানে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাদের দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনা চলছে।
মাইকে ক্যানিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দরে কোকেন পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, এখান থেকে মাদক অবৈধভাবে অন্যান্য দেশে পাঠানো হয়। কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে তারা অক্টোবর থেকে এই অঞ্চলে নিরন্তর টহল জারি রেখেছে এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের আটক করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর অনুমান অনুসারে, এলাকার ৯০% এরও বেশি বাসিন্দা জীবিকা নির্বাহের জন্য কোকেন চাষের উপর নির্ভরশীল।
জেনারেল রদ্রিগেজ বলেন যে, সৈন্যদের আটক করা হয়েছে কারণ এলাকায় তাদের উপস্থিতি সেখানে বেড়ে ওঠা অবৈধ কোকেন ব্যবসার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর নেতৃত্বে কলম্বিয়ার সরকার ইএমসি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে শান্তি আলোচনা করেছে, কিন্তু ইভান মর্ডিস্কো নামে পরিচিত এর প্রধান নেতা গত বছর আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসেন। কারণ ইএমসি যুদ্ধরত উপদলগুলোতে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
মর্ডিস্কোর নেতৃত্বে, বিদ্রোহীরা কৃষক ও জমির মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, অবৈধ খনির কাজ এবং কোকেন পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
সূত্র : বিবিসি