অনলাইন
ট্রাম্পের হামলা, ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি বিশ্ব অর্থনীতিতে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ ঘন্টা আগে) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৪:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৫৯ অপরাহ্ন

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা বিশ্ব বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন, হরমুজ প্রণালী সম্ভাব্য বন্ধের ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি তীব্র হতে পারে এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা জটিল হয়ে উঠতে পারে। তারা যোগ করেছেন, ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা থেকে সোনা আরও বেশি লাভবান হবে। চীনা সম্পদ তুলনামূলকভাবে সুরক্ষিত থাকতে পারে। সোমবার এক নোটে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটাল কর্পোরেশন বলেছে, ‘সামনে যে ঝুঁকি রয়েছে তা আমরা উড়িয়ে দিতে পারি না। সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে বাজারগুলো বৃদ্ধির সম্ভাবনা পরিমাপ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে পারে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা করেছেন, আমেরিকান সেনাবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ করেছে। তেহরান পারস্য উপসাগরে মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর এবং হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে -যা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের এক পঞ্চমাংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ঝংতাই সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক হে জিয়াহুয়া রবিবার সন্ধ্যায় এক নোটে বলেছেন, ‘সৌভাগ্যবশত, তেলের দামের ব্যাপক পতনের সময় এই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, তাই এর তাৎক্ষণিক প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত। কিন্তু ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুমকি অব্যাহত রাখে তাহলে তেলের দাম ১০০-১২০ মার্কিন ডলারে পৌঁছে যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, যদি তেলের দাম ১০০ মার্কিন ডলারের উপরে ওঠে, তাহলে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। ইসরাইল-ইরান সংঘর্ষে ওয়াশিংটনের সরাসরি জড়িত থাকার পর, সোমবার বিশ্বব্যাপী বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় ৭৯.৪০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। সোমবার সকালের মধ্যে এই দাম কিছুটা কমে। মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার সাথে সাথে গত সপ্তাহে তেলের দাম ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে
চায়না মার্চেন্টস সিকিউরিটিজ বলেছে, যদি আঞ্চলিক সংঘাত তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করে, তাহলে তার প্রভাব কমাতে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে শুল্ক নীতি এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে, বছরের মধ্যে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা খুবই বেশি।
অতীতের প্রবণতা উদ্ধৃত করে সোমবার সিটিক সিকিউরিটিজের বিশ্লেষকরা বলেছেন, নিরাপদ পণ্য হিসেবে সোনা ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কায় মার্কিন ডলারের তুলনায় আরও জোরালোভাবে সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার সকালে, স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে ৩,৩৯১.১৫ মার্কিন ডলারে পৌঁছে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা ৩,৩৬২.৩৮ মার্কিন ডলারে নেমে আসে।
সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট