অনলাইন
জোর করে নির্বাচন করার পরিণতি সম্পর্কে ইসিকে সর্তক করলেন ফারুক
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ ঘন্টা আগে) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৪:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৯ অপরাহ্ন

জোর করে নির্বাচন করার পরিণতি সম্পর্কে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সর্তক করলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘২০১৪,’১৮ ও ’২৪ সালের নির্বাচনে রাতের ভোট করতে সহযোগিতাকারী সকল কর্মকর্তাকে আগামী সংসদ নির্বাচনের কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জোর করে কেউ আর ক্ষমতা দখল করতে পারবেন না তার প্রমাণ রোববার দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গ্রেপ্তার। তাই নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক কমিশন। অতীতে শেখ হাসিনা কাজ করতে দেননি, তার ফল কী? জেলখানা। তার ফল কী? মামলা। তাই আপনাকে (নির্বাচন কমিশন) উদ্দেশ্যে করে বলতে চাই, এখন হাসিনা (শেখ হাসিনা) নাই, এরশাদ (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) নাই, এখন হারুন (সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ) নাই, বিপ্লব (সাবেক ডিএমপির উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার) নাই। এখন বাংলাদেশে আছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সজ্জন ব্যক্তি। উনার ব্যক্তিটির অধীনে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
সাবেক দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তিনি বলেন, রোববার গভীর রাতে দেখতে পেলাম হাবিবুল আউয়াল সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, আমার বিশ্বাস আইনের আওতায় তাদের বিচার হবে। এখন আরও একজন বাকী আছে। যারা আমাদের দেশের ভোটাধিকারকে, আমার ভোটের প্রয়োগের পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন, এই তিনজনের সঙ্গে যারা সহকারি হিসেবে ছিলেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
এনসিপির প্রতীক শাপলা প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, আপনারা কী চেয়েছেন, আপনাদের মার্কা আমার জানার বিষয় নয়। পত্রিকায় দেখেছি, দয়া করে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন এমন কিছু করবেন যেটা বিতর্কিত হয়ে পড়ে, তাহলে বির্তকই নির্বাচনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রমজান আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকম মোজাম্মেলন হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত
ভবিষ্যতে কেউ আর কমিশনার হতে চাবে না।