অনলাইন
৩ দফা দাবি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ২:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৪ অপরাহ্ন

ছবি: সংগৃহীত
চাকরিতে পুনর্বহাল করাসহ ৩ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। গতকাল রোববার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানের পর সোমবার দুপুর ১টার দিকে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। পথিমধ্যে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা বলেন, ‘এর আগেও ন্যায্য দাবি নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার রাস্তায় নেমেছি। প্রতিবারই আশ্বাসের নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সরকারি কোনো পক্ষই আমাদের কাছে দেয়া তাদের কথা রাখেনি। তাই আমরা আবারো রাজপথে নেমেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে লিখিত না দেয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।’
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. পিলখানাসহ সারাদেশের বিডিআর ইউনিটসমূহে বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ, বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দী নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৩. ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনঃস্থাপন করতে হবে।
পাঠকের মতামত
মানবজমিন জনগণের মতামতের বেশি ভাগে ছাপা হয় না বিভিন্ন খবরের ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমারটা ছাড়তে হবে যা বলি না অন্যান্য খবরের ও মত বন্ধন্তব্য ইদানিং খুব কম পাওয়া যাচ্ছে। লক্ষণ ভালো না জনগণ অত্যন্ত সচেতন।
যত যাই কিছু চান রাস্তাঘাট বন্ধ করে যেন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে জনগণের বুঝি না পেলে সমর্থন না পেলে কোন কিছু শেষমেষে পাবেন না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আপনাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আলোচনা করুন সমাধান করুন এই খেলা শেষ করেন তা না হলে নতুন খেলা শুরু হয়ে যাবে তার সহ্য করতে পারবে না দেশ জাতি এবং আপনারা।