অনলাইন
মনোহরগঞ্জে মাদ্রাসা থেকে ছাত্রকে অপহরণ
মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
(৪ ঘন্টা আগে) ২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৯:১৬ অপরাহ্ন

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মাদ্রাসা ক্লাস চলাকালীন সময় সাত বছর বয়সের এক ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২১ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা আশিরপাড় বাজারে আল নুর নূরানী হেফজ মাদ্রাসার আবাসিক ভবন থেকে ছাত্র নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। অপহরণকারী চক্রটিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া অপহরণ ব্যক্তি ও নিখোঁজ ছাত্র রাসেল ছবি দেখে আত্মীয় স্বজনরা রাসেলের সন্ধান পাওয়া জন্য সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়- শিশুর রাসলকে মাদ্রাসা ভবন থেকে সিড়ি দিয়ে কাধে করে নিয়ে যাচ্ছে এক যুবক। সিসি ফুটেজে পুরোপুরি দেখা না গেলেও তার সঙ্গে হয়তোবা দুই একজন রয়েছে তারা শিশুকে নিয়ে চলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত মাদ্রাসার ছাত্র নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশের সদস্যরা মাদ্রাসার ছাত্র ও অপহরণকারীর সন্ধান খোঁজ করতে পারেননি।
শনিবার সকাল ১১টায় দিকে এভাবেই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে উপজেলা মৈশাতুয়া ইউনিয়ন আশিরপাড় বাজারে আল নুর নূরানীয়া মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালীন সময় মাদ্রাসা ভবন থেকে অপহরণের শিকার হয় মাদ্রাসাটির প্রথম শ্রেণির ছাত্র রাসেল আহমেদ।
অপহরণের শিকার রাসেল হোসেন রাপি (৭)। সে মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের মেরুয়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে। এ ব্যাপারে রাসেলের মা রোজিনা বেগম বাদি হয়ে হয়ে শনিবার রাতে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৈশাতুয়া ইউনিয়নের মেরুয়া গ্রামের মহিউদ্দিননের ৭ বছর বয়সের ছেলে রাসলেকে গত একসপ্তাহ পূর্বে আশিরপাড় বাজারে আল নুর নূরানী মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। শনিবার সকালে শিক্ষার্থী রাসেল পেটে ব্যথা হয় বলে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে চলে আসে। পরে রোজিনা বেগম তার ভাসুর জসিমের সঙ্গে রাসেলকে পুনরায় মাদ্রাসা দিয়ে আসতে বলেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় রাসেলের মা রোজিনা বেগম ছেলেকে দেখতে মাদ্রাসা এসে দেখে রাসেল মাদ্রাসায় নেই।
এ দিকে রাসেলের চাচা জসিম উদ্দিন রাসেলকে মাদ্রাসায় এসে শিক্ষকদের মাধ্যমে ক্লাসে দেওয়ার সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি জসিমের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জসিম মাদ্রাসার থেকে আসার পর ওইসময় মাদ্রাসার বারান্দায় একজন প্রায় ২০ বছর বয়সের অপরিচিত ব্যক্তি রাসলকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা কক্ষ থেকে নিয়ে যায় বলে পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছে।
ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং নিখোঁজ রাসেলের বড় বোন মহোনা বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময় আমি দেখি রাসেল এক লোকের সঙ্গে কথা বলছে এবং আমি রাসেলকে তাড়াতাড়ি ক্লাসে আসার জন্য বলছি, পরে মাদ্রাসা শিক্ষক আমাকে বলে তুমি ক্লাসে যাও। তখন ক্লাসে চলে আসার সময় একটু ঘুরতে দেখি রাসেল ওই স্থানে নাই।
ভুক্তভোগীর বাবা মহিউদ্দিন বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী, ২১ জুন শনিবার সকালে আশিরপাড় বাজার আল নুর নরানী মাদ্রাসা ক্লাস চলাকালীন সময় আমার ছেলে রাসেলকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ছেলে উদ্ধারে থানায় মামলা করি। আমি আমার সন্তানের সন্ধান চাই এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। অপহরণের অভিযোগে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোহরগঞ্জ থানার (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, মাদ্রাসার ছাত্র নিখোঁজ সময় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ছাত্র রাসেলকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা অপহরণকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।