অনলাইন
বান্ধবীকে নিয়ে হলে রাত্রিযাপন রাবি শিক্ষার্থীর, সিট বাতিল
রাবি প্রতিনিধি
(৪ ঘন্টা আগে) ২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৬:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০১ অপরাহ্ন
প্যান্ট-শার্ট ও ক্যাপ পরিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে হলে রাত্রিযাপন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী। ঘটনাটি গত ৪ঠা জুন হলের ১৫৩ নম্বর রুমে ঘটে। ঘটনাটি কাউকে না জানিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের হলের আসন বাতিল করেন হলের প্রভোস্ট। তবে, ২১শে জুন ঘটনাটি জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়।
মেয়ে নিয়ে আসা ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা মাদারীপুর। ওই নারী শিক্ষার্থীও একই বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শী দুই ছাত্র জানান, ‘আমরা ৪ তারিখ ভোরে বাড়ি ফিরবো বলে সবকিছু গুছিয়ে হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে দেখি, একটা ছেলে সাইকেল চালিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার সাইকেলের পেছনে একটি মেয়ে বসা, মেয়েটির গায়ে স্কুলের শার্ট আর মাথায় ক্যাপ ছিল। বিষয়টি আমাদের চোখে অস্বাভাবিক ঠেকায় আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করি, কিন্তু সাইকেলের গতি এত বেশি ছিল যে পিছু নিলেও ধরতে পারিনি। এমনকি দারোয়ান মামাও তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, গত ৩ তারিখে আমার জন্মদিন ছিল। সেদিন কেক কেটে রাত হয়ে যায়। এদিকে ওর মেস থেকে ৩ তারিখের মধ্যে চলে যেতে বলে। ও মেসে যেতে পারবে না বলে আমাকে অনুরোধ করে কোথাও রাখার জন্য। পরে আমি ওকে রাতে হলে নিয়ে আসি। মূলত আমি ওকে শেল্টার দেয়ার জন্য রাখি। পরে সকালে চলে যায়। তখন কেউ হয়তো আমাদের দেখে। এ বিষয়ে প্রভোস্ট স্যার আমাকে ডেকেছিল। আমি তাকে বিষয়টি খুলে বলি। তিনি আমাকে হল থেকে বহিষ্কার করেন এবং বিষয়টি জানাজানি হবে না বলেও আমাকে জানান। এদিকে, হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটি একটি ভয়াবহ অপরাধ, এত বড় সাহস হয় কীভাবে? আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ, গেটম্যান ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন গর্হিত কাজ কীভাবে ঘটলো, তার সঠিক ব্যাখ্যা চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. মোতাহার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি এবং ঘটনাটি সত্যি। হল প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তার সিট বাতিল করা হবে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তার বিরুদ্ধে বাকি সিদ্ধান্ত নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, এটা অবশ্যই সাংঘাতিক একটি ঘটনা। এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, সেটা অনেক বড় অপরাধ। আমরা খোঁজ নেবো, বিষয়টি সত্যি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত
ছেলে মেয়ে দুজনকেই শিক্ষা জীবন থেকে বের করে দেওয়া হোক এবং ওদের পরিবারবর্গের ছবি প্রকাশ্যে জনগণকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
রাগিব তে শিবির ছাড়া এই রকম দুঃসাহস আর কেউ দেখাবে???
দূর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য।