বাংলারজমিন
ভালুকায় মানুষের তিনটি খুলিসহ ১৫০ হাড় উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ও ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
২১ জুন ২০২৫, শনিবার
ময়মনসিংহের ভালুকায় মানুষের মাথার তিনটি খুলি, ১৫০টি হাড়সহ মানবদেহের কঙ্কাল বিক্রি চক্রের মো. মাসুদ রানা (২২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার মেহরাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. মাসুদ রানা শেরপুরের নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামের মো. ইউসুফ আলীর ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনটি স্কুলব্যাগে করে কঙ্কালগুলো ঢাকায় নিয়ে যেতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মেহরাবাড়ী এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন মাসুদ রানাসহ আরেকজন। এ সময় চেকপোস্টে থাকা সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের দেখে সন্দেহ করে। পরে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগগুলো তল্লাশি করে মানুষের মাথার তিনটি খুলিসহ ১৫০টি হাড় উদ্ধার করা হয়। এ সময় পালিয়ে যায় সঙ্গে থাকা আরেকজন। ওসি বলেন, বিভিন্ন এলাকার কবর থেকে যারা কঙ্কালগুলো তুলেছেন। তাদের কাছ থেকে এই কঙ্কালগুলো নিয়ে এসেছেন ওই দু’জন। এরপর এগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলো। কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার মাসুদ রানার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে গত ২১শে এপ্রিল রাত ১টার দিকে একই উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সোনারবাংলা স্কুলের সামনে থেকে সেনাবাহিনী ও ভালুকার ভরাডোবা হাইওয়ে থানা পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির সময় মানবদেহের কঙ্কালসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যায় একজন। ওই তিনজনের সঙ্গে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে মানুষের মাথার খুলি, একটি পিঠের মেরুদণ্ডসহ ৭৮টি হাড় উদ্ধার করা হয়। এরপরও থামানো যায়নি কঙ্কাল চুরি। ১৬ই মে দিনগত মধ্যরাতে একই উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের লবণকৌঠা গ্রামে একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। একই গ্রামের মৃত শাহ আলম, ইয়াকুব আলী, তোকমান মোল্লাহ, কাশেম আলী ও রহমত আলীর কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরদিন সকালে স্থানীয়রা কবরের মাটি খোঁড়া দেখে কঙ্কাল চুরির ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।